সরস্বতী পূজাতে (Saraswati Puja) এই বছর অনেকেই হয়তো প্রথমবার শাড়ি (Saree) পরবেন। বহুদিন থেকেই হয়ে আসছে এমন। শাড়ি পরা আর শাড়ি ক্যারি করা, এই দুই বিষয়ের মধ্যে একটা বিস্তর তফাৎ আছে। যাদের নিয়মিত শাড়ি পরা (Saree Wearing Tips) অভ্যাস নেই, তাদের পক্ষে শাড়ি পরা এবং আঁচল ও কুঁচি সামলে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করাটা একটু ঝক্কিরই ব্যাপার। এখানে রইল কয়েকটা ছোট্ট টিপস, যে কীভাবে আঁচল আর কুঁচি সামলে শাড়িতে মধ্যমণি হয়ে উঠবেন।
জুতো পরে শাড়ি পরুন:
আপনি শাড়ির সঙ্গে হিলওয়ালা জুতো পরুন বা ফ্ল্যাট চটি, শাড়ি পরার আগে জুতোটা পরে নিন। জুতো আগে পরে নিলে শাড়ির কুঁচি করতে সুবিধে হবে, কারন আপনি শাড়ির কুঁচি কতটা নিচু করবেন, তার একটা আইডিয়া পেয়ে যাবেন। যদি আগে শাড়ি পরেন, তাহলে জুতোর সাথে শাড়ির ঝুলের হাইট ম্যাচ নাও করতে পারে, তখন আবার নতুন করে শাড়ি পরতে হবে।
অতিরিক্ত নীচু বা উঁচু করে শাড়ি পরবেন না:
অনেকেই দেখবেন এমনভাবে নিচু করে শাড়ি পড়েন যে কুঁচি মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এতে একে তো শাড়ির নিচের অংশ নোংরা হয়, এবং দ্বিতীয়ত হোঁচট খেয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। আবার অনেকেই বেশ উঁচু করে শাড়ি পরেন, তাতে গোড়ালি দেখা যায়, যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু।
আঁচলের সঙ্গে কুঁচিতেও পিন লাগান:
শাড়ি পরে হাঁটতে বা এমনিই চলাফেরা করতে যাতে অসুবিধে না হয়, সেজন্য ভাল করে আঁচলে আর কুঁচিতে সেফটিপিন লাগিয়ে নিন। এতে আরও একটা সুবিধে হল আঁচল খুলে পড়ে যাবে না এবং কুঁচিও সমান থাকবে।
মাঝে মধ্যেই শাড়ি পরে হাঁটা প্র্যাকটিস করুন:
আপনি হয়তো ভেবে রেখেছেন যে কোনও একটা অনুষ্ঠানে শাড়ি পরবেন, কিন্তু শাড়িতে আপনি খুব একটা স্বচ্ছন্দ নন। এই অবস্থায় অনুষ্ঠানের ক’দিন আগে থেকে বাড়িতে শাড়ি পরা এবং শাড়ি পরে হাঁটা অভ্যাস করলে সেই অনুষ্ঠানের দিন খুব একটা অসুবিধেয় পড়তে হবে না আপনাকে।
বুদ্ধি করে ফ্যাব্রিক বেছে নিন:
শাড়ি পরার সময়, সঠিক ফ্যাব্রিক বাছাটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিফন বা জর্জেটের শাড়ি হঠাৎ করেই খুলে যাওয়ার একটা আশঙ্কা সব সময়েই থেকে যায়। আবার তাঁত পরলে শাড়িটা ফুলে ফুলে থাকে। তাই আপনি যদি শাড়ি পরতে অভ্যস্ত না হন, তাহলে এমন শাড়ি পরুন যেটা গায়ের সঙ্গে লেগে থাকে।
তথ্যসূত্র: পপএক্সো