Micheline Roquebrune: বয়স তো সংখ্যামাত্র, ৯৩-তেও বিকিনিতে তাক লাগালেন জেমস বন্ডের স্ত্রী…

Sean Connery: সম্প্রতি ২৬ বছরের নাতনি সাস্কিয়ার সঙ্গে ইয়ট ভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানে নাতনির সঙ্গে ৯৩ বছরের ঠাকুমাও তাক লাগালেন বিকিনিতে

Micheline Roquebrune: বয়স তো সংখ্যামাত্র, ৯৩-তেও বিকিনিতে তাক লাগালেন জেমস বন্ডের স্ত্রী...
চেনেন এনাকে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 9:55 PM

মনের বয়স বাড়ছে বাড়ুক, দেহের বয়স বাড়তে দিয়ে না- কথায় এসব জ্ঞানের বাণী ছোটালেও খুব কম মানুষই তা মন থেকে মানতে পারেন। বলা ভাল সেই মনের জোরটা পান না। মনের বয়সকে মোটেও বাড়তে দেননি ৯৩ বছরের মিশেলিন রোকব্রুন। এবং তিনি তা প্রমাণও করে দিয়েছেন। পরিচয়ে তিনি শঁ কোনারি ওরফে জেমস বন্ডের স্ত্রী। বাস্তব জীবনেও বন্ড গার্ল ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে শঁ কোনারির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। মিশেলিন পেশায় ছিলেন চিত্রশিল্পী।

সম্প্রতি ২৬ বছরের নাতনি সাস্কিয়ার সঙ্গে ইয়ট ভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানে নাতনির সঙ্গে ৯৩ বছরের ঠাকুমাও তাক লাগালেন বিকিনিতে। অবাক হচ্ছেন? মাঝসমুদ্রে আকাশি রঙা বিকিনি, রোদচশমা আর বিশেষ ট্রাভেল ক্যাপে দেখা গেল মিশেলিনকে। গলায় ছোট্ট পেনডেন্ট। সুপার স্মার্ট ঠাকুমাও এই বয়সে ১০ গোল দিলেন নাতনিকে। আকাশের রং, জলরাশি আর ৯৩-এর মিশেলিনির মনের রং তখন যেন মিলেমিশে গিয়েছে।

৯৩-এসেও শরীর যেন তাক লাগানো। বয়সের ভারে চামড়া স্বাভাবিক ভাবে গুটিয়ে এসেছে। বয়সজনিত মেদ ছাড়া অতিরিক্ত মেদ কোখাও নেই। এমনকী পেডিকিওর করা পায়ে সুন্দর করে নেলপলিশে রাঙানো। ইন্টারনেটে মিশেলিনির ছবি দেখে মুগ্ধ সকলেই। ভেসে এসেছে প্রশংসার বন্যা। নাতনির পাশে তরুণী ঠাকুমাকে যে এক কথায় অনবদ্য লাগছে তা বলতে কোনও দ্বিধা রাখেননি নেটাগরিকরা।

মরক্কোর একটি গলফ্ টুর্নামেন্টে প্রথম দেখা হয় তাঁদের। এর পাঁচ বছর পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। রোকব্রুনের এটি তৃতীয় বিবাহ হলেও কোনারির ছিল এটি দ্বিতীয় বিবাহ। এর আগে বন্ডের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার অভিনেত্রী ডায়ান সিলেন্টোর। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই লাভবার্ডস থাকতেন বাহামাসের নিউ প্রভিডেন্স দ্বীপে।

মিশেলিন যে বরাবরই ফ্যাশানিস্তা ছিলেন তা তাঁর এই ছবি দেখেই বেঝা যায়। ফ্যাশান তাঁর মনে। বয়সের তোয়াক্কা তিনি কোনও ভাবেই করেন না। আর তাই জীবনের শেষ পর্বে এসেও বজায় রাখতে পেরেছেন নিজের অদম্য যৌনতাকে। মনের ইচ্ছেতেই তিনি আজও রঙিন। হোক না ঠাকুমা, বিকিনিতে তাঁর সোয়্যাগই শেষ কথা।