Sustainable Fashion: ফ্যাশনকে দীর্ঘ মেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য এই বিষয়গুলির ওপর নজর রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ
আপনি আপনার ফ্যাশনকে দীর্ঘমেয়াদি করে তুলতে চান? সাস্টেনেবেল ফ্যাশন অন্বেষণে আপনাকে সাহায্য করার জন্য পাঁচটি সহজ পদক্ষেপের কথা জানানো হল।
ফ্যাশন আদপে সব সময়ই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। আমরা অনেকেই ট্রেন্ডি জামা কাপড় পরার চেষ্টা করি সব সময়। ফ্যাশনের দুনিয়া অদ্ভুত মজার। হাজার হাজার ক্রমবর্ধমান ব্র্যান্ড, তাদের মধ্যে আবার ট্রেন্ডিং ফ্যাশনের ঝুঁকি, এদের মাঝেও আমাদের পছন্দের ট্রেন্ডিং ব্র্যান্ডের পোশাকটি কম দামের মধ্যে দরকার।
সাস্টেনেবেল ফ্যাশন অন্বেষণে আপনাকে সাহায্য করার জন্য পাঁচটি সহজ পদক্ষেপের কথা জানানো হল:
সাস্টেনেবেল ফ্যাশনকে আলিঙ্গন করার বেস তৈরি করুন:
আপনার যা দরকার তা হল একটা লক্ষ্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের ওয়াড্রবগুলো খামখেয়ালে কেনা পোশাকে ভর্তি থাকে। এখন যেহেতু সবকিছু আমাদের আঙ্গুলের ডগায় তাই কোনও কিছু না ভেবেই কেনাকাটা করাটা আমাদের অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাস্টেনেবেল ফ্যাশনের আসল লক্ষ্যই হল পোশাকের দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবহার এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পোশাকের বাছাই। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ৯ মাস নতুন জামা কাপড় না কিনে, সংগ্রহের পোশাকই ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি কার্বনের ব্যবহার, শক্তির অপচয় এবং বর্জ্যের পরিমাণ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারবেন।
জামাকাপড় সম্পর্কে ধারণা বদলান:
ফ্যাশন সামান্য পোশাকই নয়, এটা তার চেয়ে অনেক বড় একটা ক্ষেত্র। এটি আমাদের ব্যক্তিত্ব, রঙ এবং টেক্সচারের অনন্য স্বাদ আর সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটায়। এটি আমাদের স্বত্বার আত্মপ্রকাশের একটি মাধ্যম। সেজন্য ফ্যাশন সম্পর্কে আমাদের ধারণাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি করার জন্য, আমাদের পোশাকের সঙ্গে নিজেদের আত্মিক মূল্যায়ন করা খুব জরুরি। আরও বিস্তারে বললে, আমাদের ব্যবহার করা পোশাক আগামীকালে পৃথিবীর বর্জ্যে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কতটা সে বিষয়ে ধারণা স্পষ্ট রাখা দরকার। সাস্টেনেবেল ফ্যাশনের অর্থই হল ফ্যাশনের সামাজিক এবং পরিবেশগত অবস্থান বোঝা আর তাঁর সঙ্গে আমাদের কেনার অভ্যাস সম্বন্ধে সম্যক ধারণা।
প্রয়োজন নাকি ইচ্ছা?
আপনার আলমারি ঘাঁটলে দেখা যাবে এমন অনেক পোশাক আছে যা আপনি ব্যবহার করেন না, শুধুমাত্র নতুন পোশাকের জায়গা ভরিয়ে তুলছে তারা। এই অভ্যেস আমাদের বদলাতে হবে। সাস্টেনেবেল ফ্যাশনের অন্যতম উদাহরণ হল কম পরিমাণে জামা কাপড় রেখে সেগুলিকে দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা।
স্থানীয় ব্র্যান্ডকে ঘিরে সোচ্চার হওয়া:
টেকসই ব্র্যান্ডগুলি অনেক রূপে আসে যেমন ন্যায্য মূল্য, নৈতিক উৎপাদন, শ্রমিকদের অধিকার এবং নিরাপদ কাজের শর্ত। এদের মধ্যে শিশুশ্রমের ব্যবহার না করা, পশুর ব্যবহার না করা এবং অন্যান্য নানান প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে চলা হয়। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, প্রতিবছর ৩.৮ বিলিয়নেরও বেশি গরু এবং অন্যান্য গবাদি পশুর চামড়া জামা কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
রিসাইকেল এবং প্রাকৃতিক:
ফ্যাশন শিল্পে যে রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হয় তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এটা আটকাতে আমরা কী করতে পারি? এই বিষয়ে যাওয়ার একটি ভাল উপায় হল গ্লোবাল অর্গানিক টেক্সটাইল স্ট্যান্ডার্ড (GOTS) প্রত্যয়িত উপকরণ খুঁজে পাওয়া। অনেক টেকসই পোশাকের ব্র্যান্ড এখন ফ্যাব্রিকের বর্জ্য রিসাইকেল করছে, প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় নয়া ট্রেন্ড রেনপ্রুফ শেরওয়ানি ! কেমন সেই বিশেষ পোশাক, দেখে নিন