Belly Fat Burn Tips: মেথি জল নাকি আদা জল, পেটের চর্বি গলাতে ভাল কাজ করে কোনটা?
অনেকেই ঘুম থেকে উঠে লেবু-মধু-হালকা গরম জল পান করেন। কেউ কেউ আবার জিরে জল, মেথির জল, আদার জল পান করেন। প্রতিটি উপাদান ভেজানো জল মেদ গলাতে কার্যকরী। অবশ্য আদা আর মেথির জলের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিতে বললে কোনটি বাছবেন?

ভুঁড়ি কমানোর জন্য সবসময় কসরত করলেই হয় না, তার সঙ্গে খেতে হয় সঠিক পানীয়। অনেকেই ঘুম থেকে উঠে লেবু-মধু-হালকা গরম জল পান করেন। কেউ কেউ আবার জিরে জল, মেথির জল, আদার জল পান করেন। প্রতিটি উপাদান ভেজানো জল মেদ গলাতে কার্যকরী। নানা গবেষণাও বলছে, মেথি জল, আদা জল সত্যিই দ্রুত গতিতে পেটের মেদ গলিয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মেথি জল নাকি আদা জল, কোনটা বেশি কার্যকরী।
মেদ গলাতে চুমুক দেবেন মেথি জলে নাকি আদা জলে?
আসলে মেথি জল ও আদা জল দুটোই মেদ গলাতে পারে। তবে দুটোই বেশ কিছু আলাদা গুণাবলী রয়েছে। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল যে কোন জল খেলে শরীরে কী তফাৎ নজরে পড়বে।
মেথি জল —
নানা পদের স্বাদ বাড়াতে মেথি যেমন কার্যকরী, তেমনই এর জল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেলে ওজন কমতে পারে। মেথির মধ্যে রয়েছে গ্যালাক্টোম্যানান। যা বারবার খিদে পাওয়া আটকায়। বিপাক হার বাড়ায়। মেথি ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করে। পেট ফাঁপা, বদহজমের সমস্যা ও কোলেস্টেরল কমায়।
আদা জল —
আদার ভেষজ গুণ নিয়ে যত বলা হয়, ততই যেন কম! সেই সঙ্গে আদা জল খেলে ভুঁড়ির সমস্যা কেটে যায়। ক্যালোরি পোড়াতে ও বারবার খিদে পাওয়া আটকাতে সাহায্য করে আদা জল। নিয়মিত আদা জল সকালে খেতে পারলে একদিকে যেমন পেটের মেদ কমে, তেমনই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ঠান্ডা লাগা, কাশির সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়, পরিপাক হার ভাল করে, কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
কোন পানীয় বেছে নেবেন?
যদি কারও বিপাক হার বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়, তা হলে আদার জল খাওয়া ভাল। যদি কেফ রক্তে শর্করার মাত্রা এবং হজমের উপর মনোযোগ দিতে চান, তা হলে মেথির জল বেছে নিতে পারেন। তবে একেবারেই নতুন করে কোনও পানীয় খাওয়া শুরু করতে চাইলে, অল্প পরিমাণ দিয়ে শুরু করা ভাল।
