Airplane: ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ, প্লেনের বাথরুমে কেন অ্যাশট্রে থাকে জানেন?
Knowledge Story: একটা অবাক করা বিষয়ও রয়েছে। প্লেনে ধূমপান নিষিদ্ধ হলেও এর বাথরুমে থাকে অ্যাসট্রে! এটা কী কারণে? এর নেপথ্যে বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে! এমন কৌতুহল জাগাটাই স্বাভাবিক। কী হতে পারে কারণ?

ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। জানেন সকলেই। তবে অনেকেই ধূমপান করেন। পাবলিক প্লেসে ধূমপান এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। তাতে অন্তত অন্যের ক্ষতি আটকানো যায়। ট্রেন, প্লেন, রেলস্টেশন, বিমানবন্দরের মতো জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ। ধূমপানের কারণে অনেক বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। মূলত সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এমনটা করা হয়ে থাকে। তবে একটা অবাক করা বিষয়ও রয়েছে। প্লেনে ধূমপান নিষিদ্ধ হলেও এর বাথরুমে থাকে অ্যাশট্রে! এটা কী কারণে? এর নেপথ্যে বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে! এমন কৌতুহল জাগাটাই স্বাভাবিক। কী হতে পারে কারণ?
নিয়ম কী বলে? বেশিরভাগ বিমান সংস্থাই ধূমপান নিষিদ্ধ করার এই নিয়ম এনেছে। ১৯৮০ সাল থেকেই এই নিয়ম মূলত চলে আসছে। তেমনই এই সহস্রাব্ধের শুরু থেকে প্রত্যেকটা দেশের বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয়। নিয়ম ভাঙলে বড় অঙ্কের জরিমানা হতে পারে। আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। প্যাসেঞ্জার এবং বিমানের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই নিয়ম।
এর উদ্দেশ্যও রয়েছে। যত কড়া নিয়মই করা হোক, কেউ যদি তা ভাঙার চেষ্টা করেন? এমন তো হতেই পারে, কেউ লুকিয়ে বাথরুমে ধূমপান করছেন, হঠাৎ বিমানকর্মীরা টের পেলেন। সেই ব্যক্তি হয়তো দ্রুত তা নেভানোর চেষ্টা করবেন। যেখানে সেখানে নেভানোর এবং লুকোনোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরও বড় রকমের বিপদ হতে পারে। হতেই পারে তিনি ডাস্টবিনেই ফেলে দিলেন! সেখান থেকে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকবে, তাতে প্লেনের সুরক্ষা নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন পড়ে যাবে। ফলে কোনও প্যাসেঞ্জার যদি নিয়ম ভাঙেও তাতে যাতে ঝুঁকি আটকানো যায়, সে কারণেই এমন ব্যবস্থা রাখা থাকে।





