Oats in Breakfast: পুষ্টিগুণ থেকে চটজলদি রান্না, যে সব কারণে সকালের জলখাবারে বাড়ছে ওটস খাওয়ার প্রবণতা
Health Benefits of Oats in Breakfast: যতদিন যাচ্ছে সকালে জলখাবারে ওটস খাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। আর গুগ সার্চ করে মানুষও ওটসের নিত্যনতুন রেসিপি পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সকালের জলখাবারেই কেন বাড়ছে ওটস খাওয়ার প্রবণতা, জানেন? পুষ্টিগুণ ছাড়াও রয়েছে আরও একটি কারণ।

কেউ ওটসের স্মুদি, পোরিজ খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ ওটসের তৈরি ইডলি, খিচুড়ি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওটস খাওয়া হয় ব্রেকফাস্টে। যতদিন যাচ্ছে জলখাবারে ওটস খাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। আর গুগ সার্চ করে মানুষও ওটসের নিত্যনতুন রেসিপি পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সকালের জলখাবারেই কেন বাড়ছে ওটস খাওয়ার প্রবণতা, জানেন? পুষ্টিবিদদের মতে, আপনি যে কোনও আকারে এবং দিনের যে কোনও উপায়ে ওটস খেতে পারেন। কিন্তু সকালের জলখাবারে ওটস খেলে বিশেষ উপকারিতা মেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সেগুলো কী-কী।
ওটস সকালের জলখাবারের জন্য সেরা খাবার। কারণ ওটসের মধ্যে রয়েছে বিটা গ্লুকোন। এই উপাদানটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যখনই আপনি সকালের জলখাবারে ওটস খাওয়া শুরু করেন, আপনার ওজন থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রা, হরমোনের ভারসাম্য সবকিছু বজায় থাকে। এখানেই শেষ নয়। দিনের শুরুতে এই খাবার খেলে ওটস দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে।
দিনের শুরুতে ওটস খেলে এটি আপনার এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু ওটসের মধ্যে কার্বোহাইড্রেটেড রয়েছে, এটি ধীরে-ধীরে হজম হয় এবং আপনার মধ্যে কাজ করার শক্তি বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ, সকালের ক্লান্তি নিমেষে দূর করে দেয় এই খাবার। অন্যদিকে, ওটসের মধ্যে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়াতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী এই ওটস। তার সঙ্গে এই ওটস খেলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকি। এই কারণেই মানুষের মধ্যে বাড়ছে ওটস খাওয়ার চাহিদা।
সকালে জলখাবারে ওটস খাওয়ার রয়েছে আরও এক সুবিধা। ওটস চটজলদি রান্না হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুল, কলেজ, অফিস যাওয়ার তাড়া থাকে। তারই মাঝে নিত্যনতুন জলখাবার বানানো সম্ভব নয়। তাড়াহুড়োর মাঝে আপনি যে কোনও উপায়ে ওটস বানিয়ে ফেলতে পারেন।
সকালের জলখাবারে যে সব উপায়ে ওটস খেতে পারেন-
কলা, দুধ, ওটস মিক্সিতে দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। ওভারনাইট ওটস বানাতে পারেন। আগের দিন রাতে দুধে ওটস ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই ওটসের সঙ্গে পছন্দের মতো ফল মিশিয়ে খান। আবার ওটসের পায়েসও বানাতে পারেন। শুধু দুধের সঙ্গে ওটস সেদ্ধ করে নিন। এতে মধু, আমন্ড, আখরোট মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। এছাড়াও ভারতীয় স্টাইলে মশলা ওটস, ওটসের খিচুড়ি, ওটসের ইডলি, ওটসের রুটি ইত্যাদি বানাতে পারেন। ওটসের তৈরি পদ বানানো যেমন সহজ, তেমনই খেলে পুষ্টিও মেলে অনেক।
