Garlic Side Effects: রসুন ভালো তবে অতিরিক্ত খেলে শরীরে কতটা ক্ষতি করে জানেন…
Too Much Garlic: পেঁয়াজ, রসুন, অ্যাসপারগাসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটান থাকে, যা এক ধরমের কার্বোহাইড্রেট। এই কার্বোহাইড্রেট সহজেই শরীরের মধ্যে ফোলাভাব সৃষ্টি করে
ভারতীয়দের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি রন্ধন উপকরণ হল রসুন। রসুনের স্বাদ আর সুগন্ধের জন্যই কিন্তু তা এত বেশি জনপ্রিয়। ডাল থেকে শুরু করে স্টু, সস, পিৎজা, পাস্তা সব খাবারেই ব্যবহার করা হয় রসুন। ডালে কয়েক কুচি রসুন পড়লে যেমন স্বাদ বদলে যায় তেমনই গরম ভাতে রসুনের আচার খেতেও কিন্তু বেশ লাগে। মুখের স্বাদ ফেরাতেও ভূমিকা রয়েছে রসুনের। এসব ছাড়াও রসুনের মধ্যে বেশ কিছু ঔষধি গুণও রয়েছে। যে কারণে আয়ুর্বেদে রসুনকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। রসুন আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি-কাশির সমস্যার হাত থেকেও উপশম দেয় রসুন। দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখা থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ…সবেতেই কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই রসুনের। রোজ সকালে খালি পেটে এক কোয়া করে রসুন খেলেও যাবতীয় সমস্যা থেকে পাওয়া যায় চটজলদি মুক্তি। রসুন খাওয়া ভাল বলেই যে প্রচুর পরিমাণে খীবেন এমন কিন্তু নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলেই গেরো। হতে পারে এই সব জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ে- প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রসুন খেলেই বেড়ে যায় রক্তপাতের ঝুঁকি। বিশেষ করে যাঁদের রক্ত পাতলা বা যাঁদের সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিথ্রোমেবোটিক বৈশিষ্ট্য, যা আমাদের রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। যাঁরা নিয়মিত ভাবে ১২ গ্রাম রসুন খান তাঁদের মধ্যে এই সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। আর তাই যদি রোজ এমন কোনও ওষুধ খান যা রক্তকে পাতলা রাখে এবং সেই সঙ্গে সামনেই অস্ত্রোপচারের কোনও সম্ভাবনা রয়েছে তাহলে প্রথম থেকেই রসুন এড়িয়ে চলুন।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়- রসুনের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সালফার জাতীয় যৌগ। যা আমাদের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ ছড়ায়। বিশেষ করে যখন প্রচুর পরিমাণ রসুন খাওয়া হয় সেখান থেকেই এই সমস্যা কিন্তু বেশি হয়। কারণ রান্না করলে রসুনের মধ্যেকার এই সালফার ভেঙে যায়।
হজমের সমস্যা- পেঁয়াজ, রসুন, অ্যাসপারগাসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটান থাকে, যা এক ধরমের কার্বোহাইড্রেট। এই কার্বোহাইড্রেট সহজেই শরীরের মধ্যে ফোলাভাব সৃষ্টি করে। সঙ্গে গ্যাস, পেটেব্যথা এসব সমস্যা তো থাকেই। যাঁদের ফ্রুকটানে অ্যালার্জি রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। কারণ ফ্রুকটান অন্ত্র শোষণ করতে পারে না। কোলনের মধ্যেই তা জমা হতে থাকে। যে কারণে সমস্যা হয় অনেক বেশি।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স- যাঁরা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজে ভুগছেন তাঁদের রসুন একেবারেই কম খাওয়া উচিত। এই GERD-হল খুব সাধারণ একটি সমস্যা যেখানে পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড উৎপন্ন হয়ে খাদ্যনালীতে ফিরে আসে। সঙ্গে অম্বল, বমি বমি ভাব একাধিক উপসর্গ থাকে। সেই সঙ্গে খাদ্যনালীর নীচের দিকে থাকা পেশির কার্যক্ষমতা বন্ধ করে দিতে পারে। যেখান থেকে খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক নিঃসরণে বাধা পায়। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মত ঘটনা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়।