Food Tips: লাঞ্চে এই ৭ খাবার খেলেই ঘুম পাবে আর খাবারও ঠিক মতো হজম হবে না
Unhealthy Lunch: পরোটার পরিবর্তে চিলা বানিয়ে খান। এই চিলা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। লাঞ্চে বিরিয়ানি, ফ্রায়েডরাইস বা পোলাও খাওয়া ঠিক নয়। এই সব খাবারের মধ্যে কার্বস বেশি

একে গরম। তার উপর রোজ এক থেকে দু ঘণ্টার জার্নি করে ঘেমে-নেয়ে অফিস যাওয়া-আসায় শরীর এমনিই ক্লান্ত থাকে। একে গরম, ঘাম তার উপর দূষণ সব মিলিয়ে শরীরের অবস্থা দফারফা। গরমের দিনে খেতেও খুব একটা ইচ্ছে করে না। খাওয়ারে রুচি থাকে না। জল, তরল এসব বেশি খাওয়া হয়। আবার বেশি করে নুন-চিনি দেওয়া জল, শরবত খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেক বেশি হয়। এই গরমের দুপুরে অফিসে লাঞ্চ করলেই তার কিছুক্ষণ পর ঘুম পেতে থাকে। কোনওক্রমে ৩০ মিনিট কাটলেও তারপর কোনও ভাবেই চোখ খুলে রাখা যায় না। মনে হয় একবার পাওয়ার ন্যাপ নিতে পারলে বোধহয় ভাল হত। সব সময় তো আর সেই সুযোগ থাকে না। ঘুম পাওয়া অস্বাভাবিক কোনও কিছু নয়। এর জন্য দায়ী আমাদের খাদ্যাভ্যাস।
অফিসের প্রয়োজনে ঘুম ঠিকমতো হয় না। সেই সঙ্গে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হয়। আর তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে দুপুরের দিকে ঘুম পেতেই পারে। লাঞ্চে অধিকাংশই ভাত কিংবা রুটি নিয়ে আসেন। আর যাঁরা বাড়ি থেকে খাবার আনতে পারেন না তাঁদের বািরের খাবারের মধ্যে প্রথম পছন্দ থাকে আলুর পরোটা। দুপুরে আলুর পরোটা, টকদই রায়তা বা চাটনি খেলে কিছু সময় পর ঘুম পাবেই। আলু পরোটার মধ্যে অনেক বেশি স্টার্চ থাকে। আর এই পরোটা হজম করতে বেশি সময় লাগে। ফলে ঘুম পেতে থাকে। পরিবর্তে ছাতু, সবজি বা পনির চলতে পারে। তবে একটার বেশি পরোটা নয়। পরোটার সঙ্গে এক বাটি স্যালাড খান।
পরোটার পরিবর্তে চিলা বানিয়ে খান। এই চিলা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। লাঞ্চে বিরিয়ানি, ফ্রায়েডরাইস বা পোলাও খাওয়া ঠিক নয়। এই সব খাবারের মধ্যে কার্বস বেশি। এতে মেলাটোনিন আর সেরাটোনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই দুই হল স্লিপ হরমোন। এতেই বেশি ঘুম পায়। এই সব রাইসের পরিবর্তে একদম অল্প চাল আর প্রচুর সবজি দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিন পোলাও।
পিৎজা, বার্গার, ফ্রায়েজ, নুডলস এসব লাঞ্চে একদম খাবেন না। এই সব খাবারের মধ্যে ক্যালোরি অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এছাড়াও নানা রকম সস, সসেজ এসবও ব্যবহার করা হয়। ফলে এমন ফাস্টফুড বেশি খেলে শরীরে বেশি ক্যালোরি যায়। এই সব খাবার স্বাদে খুবই ভাল তবে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বেশি ঘুম পায়। এবং কিছুক্ষণ পর আবারও খিদে পায়। পিৎজার সঙ্গে অনেকেই কোল্ডড্রিংক খান। এই দুই এর প্রভাবে সুগার খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। যে কারণে শরীর বেশি ক্লান্ত লাগে। পরিবর্তে বাড়ি থেকেই হেলদি রোল বানিয়ে আনুন। এছাড়াও খেতে পারেন স্যান্ডউইচ। এতে ক্ষতি অনেকটাই কম হয়।
অফিসে বসে চিপস, বিস্কুট কেক বেশি খেলেও ঘুম পায়। কারণ এর মধ্যো সোডিয়াম অনেক বেশি থাকে। যা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তাই সব সময় চেষ্টা করুন বাড়ির বানানো খাবার খেতে।
