Cooking Tips: ১৫ টাকার এই উপকরণ দিয়ে রাঁধলেই মাস শেষে ২০০ সাশ্রয়!
Curd For Cooking: রান্নায় দই ব্যবহার করলে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ে তেমনই জল ঝরানো টকদই ব্যবহার করলে আলাদা করে ক্রিমের ব্যবহার প্রয়োজন পড়ে না
রোজ রোজ একঘেঁয়ে ভাত-ডাল খেলে জিভ যেমন বিরক্ত হয়ে যায় তেমনই রান্না করতেও ইচ্ছে করে না। আমাদের খাবার প্রয়োজনে রান্না করতে হয় ঠিকই কিন্তু কুকিং একরকম আর্ট। মনযোগ দিয়ে রান্না করলে সেই রান্না খেতে যেমন ভাল হয় তেমনই সহজ কিছু টিপস কাজে লাগাতে পারলেও কিন্তু রান্নার স্বাদ বাড়ে। ভারতীয় মশলার মধ্যে থাকে প্রচুর গুণ। আর এই মশলার সঠিক ব্যবহারেই কোনও খাবারের স্বাদ বাড়ে। তেমনই রান্নায় গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক মাপ অনুযায়ী নুন-চিনির ব্যবহার এবং ম্যারিনেশন। মাছ, মাংস, পনির এসব রান্নার আগে যদি ম্যারিনেট করে রাখা হয় তাহলে খেতে যেমন ভাল হয় তেমনই রান্না করতেও কম সময় লাগে। এর সঙ্গে বাঁচে তেলের খরচও। লেবু বা দই দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখা যে কোনও খাবার রান্না করতে তেল একদমই অল্প পরিমাণে লাগে।
টকদইয়ের কিন্তু উপকারিতা অনেক। দুধের ফার্মেন্টেশন করে দই তৈরি করা হয়। রান্না থেকে রূপচর্চা দইয়ের ব্যবহার সর্বত্র। এছাড়াও ওজন কমাতে সাহায্য করে টকদই। টকদই হল প্রোবায়োটিক। এর মধ্যে দুটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। ল্যাক্টো ব্যাসিলাস ও বাইফিডো। এই দুটি ব্যাকটেরিয়া শরীরের পক্ষে কিন্তু ভালো। শরীরে কোনও জীবানু অনুপ্রবেশ করলে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে দেহকে সুরক্ষা দেয় এই ব্যাকটেরিয়া। ১০০ গ্রাম টকদইতে প্রোটিন থাকে অনেকখানি। এছাড়াও দই হজম করতে সাহায্য করে। আর তাই মাছ, মাংসের ম্যারিনেশনে ব্যবহার করা হয় টকদই।
টকদই দিয়ে মাংস যদি ম্যারিনেট করে রাখা হয় তাহলে মাংস নরম হয়, সুসিদ্ধ হয়, রান্না করতেও কম সময় লাগে। এছাড়াও আরও একটি কারণ রয়েছে। দইয়ের মধ্যে থাকে জল, ফ্যাট। মাংসের মধ্যে থাকে নিজস্ব ফ্যাট। এই দুই ফ্যাট মিলে গেলে তখন তেল খুবই কম লাগে। শুধু তাই নয়, দই মাছ-দই পনির-দই বেগুন… দই দিয়ে যে খাবারই বানানো হোক না কেন তা খুব হালকা হয়। সেই খাবার খেলে ওজন কমে, হার্ট ভাল থাকে। আর বাসন মাজতেও কম পরিশ্রম হয়। কারণ ? দই দিয়ে রান্না করলে তেল কম লাগে, তাই কড়াও তুলনায় অনেকটা কম পোড়ে। এসবের জন্য বাসন মাজতে কোনও রকম কষ্ট হয় না। আর হজম নিয়ে কোনও রকম চিন্তা থাকে না। রোজকার কোনও না কোনও খাবারে টকদই ব্যবহার করতে পারলে আখেরে লাভ আপনারই।