অষ্টমীর দিন অনেক কষ্টে নিরামিষ খাবারের মধ্যে দিয়ে কাটিয়ে নেওয়ার পর নবমীর সকালটা মাংস দোকানে লম্বা লাইন পড়ে যায়। আবার মাংসটা যদি মাটন হয় তাহলে তো কথাই নেই। এই মাটনের ঝোল হোক কিংবা রোগান যোশ, যে কোনও রেসিপিই যদি সুস্বাদু হয়, তাহলেই অতুলনীয়। মাটনের যে নিজস্বতা আছে, তা খুব কম মাংসের মধ্যেই থাকে।
মাটনের রান্নার ক্ষেত্রে সব সময়ই ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। কারণ এত ভাল মাংস রান্নার সময় আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে অল্প ত্রুটি আপনার সমস্ত খাটনি নষ্ট করে দিক। আজ আপনার জন্য রইল মাটন কোর্মা কারির রেসিপি। এটা বানানো খুবই সহজ। আপনাকে শুধু একটু সময় দিতে হবে এই রান্নায়।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম মটন (আগে থেকে অল্প সেদ্ধ করে নেওয়া)
২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ (সেদ্ধ করে বাটা)
২ টেবিল চামচ আদা-রসুন বাটা
১ চা চামচ লঙ্কা বাটা
৪ টেবিল চামচ টক দই
২ টেবিল চামচ কাজুবাদাম বাটা
১/২ চা চামচ গরম মশলা, জায়ফল,জয়িত্রী গুঁড়ো করে সব এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ কাশ্মীরি মির্চি পাউডার
১/২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
স্বাদ অনুযায়ী নুন এবং চিনি
পরিমাণ মতো বেরেস্তা ভাজা
প্রয়োজন অনুযায়ী সাদা তেল
পদ্ধতি:
প্রথমে সাদা তেলে গরম মশলা,জায়ফল, জৈত্রি গুঁড়ো সব এক সঙ্গে দিয়ে যখন মশলার সুন্দর গন্ধ বেরুবে তাতে সেদ্ধ পেঁয়াজ বাটা,আদা-রসুন বাটা, লঙ্কা বাটা দিয়ে দিন। এবার তাতে হলুদ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, কাশ্মীরি মির্চি পাউডার দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
মশলার মধ্যে থেকে যখন তেল ছেড়ে বেরিয়ে আসবে তখন আগে থেকে কুকারে ২ টি সিটি দিয়ে সেদ্ধ করে নেওয়া মাটন ঢেলে অল্প নেড়ে নিন।
তার ওপর টক দই, কাজু বাদাম বাটা দিয়ে খুব ভাল করে কষতে থাকুন।
স্বাদানুযায়ী নুন আর চিনি দিয়ে আবার ভাল করে নাড়তে থাকুন।
সুন্দর রং যখন আসবে তখন ওপর থেকে সামান্য হালকা গরম জল দিয়ে আবার একটু ভাল করে কষাতে হবে।
মাংস থেকে যখন তেল বেরনো শুরু হবে অর্থাৎ মাটন পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে আসবে, তখন ওপর থেকে বেরেস্তা আর অল্প গরম মশলা ছড়িয়ে কিছুক্ষণ তাপে রেখে নামিয়ে ফেলুন।
রুটি, পরোটা বা বাসন্তী পোলাও এর সঙ্গে খুবই ভাল লাগে মাটনের এই রেসিপি।