Mango On Diabetes: হাই সুগারে পাকা আম তো রোজ খেয়ে চলেছেন, কিন্তু কখন খেতে হবে প্রিয় ফল?

Diabetes Diet: বাজার ছেয়েছে পাকা হিমসাগরে। এই মরশুমে আম খাওয়ার লোভ সামলানো ভারী মুশকিল। কিন্তু যাঁদের সুগার রয়েছে, তাঁরা কি পাকা আম খেতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে-র সঙ্গে।

Mango On Diabetes: হাই সুগারে পাকা আম তো রোজ খেয়ে চলেছেন, কিন্তু কখন খেতে হবে প্রিয় ফল?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 2:58 PM

গ্রীষ্মকাল মানেই আম খাওয়ার দিন। আর এখন বাজার ছেয়েছে পাকা হিমসাগরে। এই মরশুমে আম খাওয়ার লোভ সামলানো ভারী মুশকিল। কিন্তু যাঁদের সুগার রয়েছে, তাঁরা কি পাকা আম খেতে পারবেন? এই প্রশ্ন কমবেশি সব ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরই মনে জাগে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে-র সঙ্গে।

তিনি যা বললেন… 

কথায় আছে, কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ! ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইভাবে প্রযোজ্য। বাজারে পাকা আম উঠলেই এঁদের মুখ ভার। আম মুখে দিলেই তো পরিবারের সদস্যরা রে-রে করে উঠবেন। তাই হাতের সামনে আম থাকলেও তাঁরা খেতে পারেন না। কিন্তু যে ফলের দেখা বছরে মাত্র একবারই মেলে, মাত্র কয়েক সপ্তাহ দেখা পাওয়া যায়, সেটা কি একটাও খাওয়া যাবে না? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ফলের রাজা আম

ফলের রাজা, তাই আমের যে হাজার গুণ থাকবে, এই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করাও বোকামির সমান। আমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাঙ্গানিজ়, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ফসফরাল, কপার ইত্যাদি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও মজুত রয়েছে এই ফলে। তাই আম খেলে শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকে। এই কারণেই গ্রীষ্মের দাপটের মাঝেও পাতে থাকুক আম। এতে দেহের উপকারই হবে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের কি আম খাওয়া উচিত?

সুগার রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই তাঁদের এমন খাবার থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়, যা চটজলদি সুগার বাড়াতে পারে। যদিও আম সেই অর্থে সুগার বাড়ায় না। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মোটামুটি ৫১ থেকে ৫৬, যা মিড লেভেল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। তাই আম খাওয়া নিয়ে খুব বেশি ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

কারা খেতে পারবেন? কতটা খাবেন?​

​সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকা যে কোনও ডায়াবেটিসের রোগী অনায়াসে আম খেতে পারেন। আর মাঝেমধ্যে নয়, বরং রোজ আম খেলেও কোনও ক্ষতি নেই। রোগীর এইচবি১সি (HbA1c) লেভেল ৭-এর নিচে থাকলেই নিশ্চিন্তে আম খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে দিনে ২ থেকে ৩ টুকরো আম খেলে তেমন কোনও সমস্যা হবে না। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার নিজের চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

কখন আম খাবেন?

অনেকে রাতে রুটির সঙ্গে আম খান। আবার কেউ ব্রেকফাস্টে দই-চিঁড়ের সঙ্গে আম খান। বড় মিলের সঙ্গে (লাঞ্চ বা ডিনার) সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। ভারী খাবারের সঙ্গে ফল খেলে রক্তে শর্করা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বরং, আপনাকে দু’টি বড় মিলের মাঝে খেতে হবে ফল। এক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মাঝে কিংবা লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝে ফল খাওয়া দরকার। তবেই মিলবে উপকার। আম খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ফলও খান। এক্ষেত্রে পেয়ারা, আপেল সব মিলিয়ে মোটামুটি ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ফল খেতে পারেন। এতে সুগার বাড়বে না।

নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করান​

আম তো খাচ্ছেন, তাতে বাধা নেই। তবে, রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়মিত মাপা চাই। বাড়িতে গ্লুকোমিটারে সুগার চেক করুন। খাবার খাওয়ার মোটামুটি ২ ঘণ্টা বাদে সুগার পরীক্ষা করতে হবে। তখন সুগারের মাত্রা ১৪০-এর নিচে থাকলে চিন্তার কিছুই নেই। তবে এর বেশি হলেই আম খাওয়া বন্ধ।