Diabetes Breakfast: ডায়াবেটিস রোগীরা ব্রেকফাস্ট নিয়ে দিশেহারা? এই সব খাবারে চটজলদি কমবে সুগার
World Diabetes Day: ডায়াবেটিস হলে অনেকেই ভেবে পান না ঠিক কী খাওয়া উচিত আর কী খাওয়া উচিত নয়। এদিকে সকালে ওষুধও খেতে হয়। আর তাই সকালে খালি পেটে না থেকে কিংবা ব্রেকফাস্টে লুচি, পরোটা না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান
টেকনোলজি এবং চিকিৎসা যতই উন্নত হোক না ক্ন ডায়াবেটিসের হাত থেকে নিস্তার নেই। একবার ডাসাবেটিস হলে তা কিছুতেই সারিয়ে তোলা যায় না। বরং তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। আর হাই ব্লাডসুগার থাকলে সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। ডায়াবেটিস ২ রকম। টাইপ ১ আর টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিসের কারণ হল জিন। যাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের এই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। যদিও আজকাল অধিকাংশ ডায়াবেটিসের কারণ হল জীবনযাত্রা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কোনও রকম ডায়েট না মেনে চলা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা হল ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ। আর তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্রেকফাস্ট খুবই জরুরি। আর সেই ব্রেকফাস্ট যাতে যথাযথ হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস হলে অনেকেই ভেবে পান না ঠিক কী খাওয়া উচিত আর কী খাওয়া উচিত নয়। এদিকে সকালে ওষুধও খেতে হয়। আর তাই সকালে খালি পেটে না থেকে কিংবা ব্রেকফাস্টে লুচি, পরোটা না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। গোটা শস্য, টকদই এসব খেতে পারলে খুবই ভাল। সেই সঙ্গে পনির, ডালিয়া, ওটস এসবও চলতে পারে। যে খাবার খাবেন তার মধ্যে প্রোটিন আর ফাইবার যাতে বেশি থাকে এই ব্যাপারে কড়া নজর রাখতে হবে। কার্বোহাইড্রেট ডায়েট থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলতে হবে। আর তাই যা কিছু রাখতে পারেন ব্রেকফাস্টে-
ব্রেকফাস্টে অনেকেই টোস্ট পছন্দ করেন। কিন্তু সাধারণ পাঁউরুটি হলে তাতে শর্করার ভাগ অনেক বেশি থাকে। তাই মাল্টিগ্রেন টোস্ট খান। প্রয়োজনে পিনাট বাটার ব্যবহার করুন। এছাড়াও মাল্টিগ্রেন টোস্টে জ্যাম দিয়েও খেতে পারেন।
প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের একটি চমৎকার উৎস ডিম, টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের ডিম হল সেরা ব্রেকফাস্ট। অন্যান্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে রোজ একটা করে ডিমসিদ্ধ খেতে পারেন কোনও অসুবিধে নেই। তবে খাবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য সবচাইতে ভাল খাবার হল ওটস। টকদই, বিভিন্ন ফল আর ওটস মিশিয়ে খেতে পারেন। দুধ, ওটস, বেদানা আর পিনাট বাটার দিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ওটসের চিল্লা বা রুটিও খেতে পারেন।
বাজারে এখন অনেক রকম সিরিয়ালস পাওয়া যায়। স্বাদ বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু প্যাক্টজাত খাবারে অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে। সুগার রোগীদের এই সব সিরিয়াল এড়িয়ে যাওয়া উচিত। সুগার ফ্রি সিরিয়াল কিনুন। কেনার আগে দেখে নিতে ভুলবেন না তার মধ্যে ফাইবার, প্রোটিন কতখানি আছে।