AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Keto Diet: কিটো ডায়েট কি সবার জন্য সমান কার্যকরী? পড়ুন বিশেষজ্ঞের মতামত…

Ketogenic Diet Plan: এই ডায়েটে তাড়াতাড়ি ফ্যাট গলে ঠিকই, কিন্তু তার সঙ্গে দেখা যায় একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। ফলে যাঁদের জিনগত কোনও সমস্যা রয়েছে, হাই ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁরা অবশ্যই চিকিৎকের পরামর্শ নেবেন

Keto Diet: কিটো ডায়েট কি সবার জন্য সমান কার্যকরী? পড়ুন বিশেষজ্ঞের মতামত...
যে কারণে সবার জন্য উপকারী নয় কিটো ডায়েট...
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2022 | 7:57 AM
Share

চটজলতি ওজন কমাতে সেলেব্রিটি থেকে আমজনতা সকলেরই প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে কিটো ডায়েট (Keto Diet)। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয় এই ডায়েট। অনেকের মুখেই আজকাল শোনা যায় এই ডায়েটের কথা। এমনকী পরিসংখ্যান বলছে, কিটো ডায়েট চার্ট জানতে গুগলে প্রায় ১০ লক্ষ বার সার্চ করা হয়েছে। ওয়েবসাইট, ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে ট্যুইটার- “কেটোজেনিক ডায়েটারি থেরাপির” (KDTs)উল্লেখ কিন্তু রয়েছে সর্বত্র। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হওয়াতে (Low-Glycemic Foods)অনেকেই আজকাল এই ডায়েট মেনে চলতে পছন্দ করছেন। তবে যে কোনও ডায়েট শুরুর আগেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার উপদেশ দেন পুষ্টিবিদরা। কারণ, সকলের জন্য ডায়েট চার্ট সমান নয়। সকলের ডায়েট সমান নয়। এছাড়াও কিটো ডায়েট যে সবার জন্য কাজ করবে এমনটাও কিন্তু নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, কিছুজনের ক্ষেত্রে এই ডায়েট কিন্তু একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এমনকী বেশিদিন এই ডায়েট করলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট একেবারেই থাকে না। বরং উচ্চ মাত্রায় প্রোটচিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াটেশিয়ান লেনি ইউনকিনের মতে, ১৯২০-তে মৃগী রোগের চিকিৎসায় প্রথম এই ডায়েট তৈরি করা হয়েছিল। কেটোসিস প্রক্রিয়ায় শরীরে সঞ্চিত ফ্যাটকে পোড়াতে সাহায্য করে এই বিশেষ ডায়েট। কিটোজেনিক ডায়েট প্ল্যানটি (Ketogenic Diet Plan)মেনে চললে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে বেশি করে খেতে হবে প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার। আর তা থেকেই শরীরের এনার্জির ঘাটতি মিটবে। মস্তিষ্কের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পড়বে, শরীর তাও সংগ্রহ করবে প্রোটিন এবং ফ্যাটি খাবার থেকেই। চিকিৎসকেদের মতে শরীর যখন কিটোসিস স্টেটে থাকে, তখন প্রচুর মাত্রায় ফ্যাট বার্ন হয়, যে কারণে ওজন কমতে একেবারেই সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার না খাওয়ার কারণে ব্লাড সুগার এবং ইনসুলিন লেভেল একেবারে ঠিক থাকে। এছাড়াও আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিলে চলবে না। প্রতিদিন অন্তত ৫০ গ্রাম অবশ্যই রাখতে হবে তালিকায়।

তবে ক্রীড়াবিদ, প্যানক্রিয়াটাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন এরকম কেউ, লিভারের সমস্যা, কিডনির সমস্যা এবং অন্যান্য মেটাবলিজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে কিন্তু এই ডায়েট মেনে চলা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ পরবর্তীতে এখান থেকেই সমস্যা জটিল হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন কিংবা সন্তানকে স্তন্যপান করান তাঁদেরও কিন্তু এই ডায়েট এড়িয়ে যাওয়া উচিত। পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও যদি জেনেটিক কোনও সমস্যা থাকে, খাবার হজমে অসুবিধে হয় এবং উচ্চ ডায়াবিটিস থাকে তাহলে কিন্তু এই ডায়েট না মেনে চলাই ভাল। যেহেতু এই ডায়েটে, ক্রিম, পনির, বাদাম, মাছ, ডিম এসব খাওয়ার কথা বলা হয় তাই পরবর্তীতে আসতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা।

আরও পড়ুন: Nutrition in adolescence: বয়ঃসন্ধিকালে পরিবর্তন আসে শরীর ও মনে, চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি