Nutrition in adolescence: বয়ঃসন্ধিকালে পরিবর্তন আসে শরীর ও মনে, চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি

Diet Tips: এই বয়স থেকেই শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। মেয়েদের হরমোনজনিত সমস্যাও শুরু হয় এই বয়স থেকেই। আর তাই এই বয়স থেকে নজর দিন পুষ্টিতে। বাইরের খাবার একেবারেই নয়

Nutrition in adolescence: বয়ঃসন্ধিকালে পরিবর্তন আসে শরীর ও মনে,  চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে চাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি
পুষ্টির দিকে নজর দিন এখন থেকেই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 27, 2022 | 4:41 PM

কৈশোর এবং যৌবনের (Adolescence) মধ্যবর্তী এই সময়টা কিন্তু সকলের কাছেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তের সেরা সময় হল ১৩-১৮। এই সময় তাই সন্তানের পাশে থাকা মা-বাবার একান্ত কর্তব্য। সন্তান যাতে ভুল না বোঝে, কোনও ভাবেই যাতে মানসিক আঘাত না পায়- এ বিষয়ে খেয়াল রাখাও কিন্তু নিতান্ত জরুরি। শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে অনেকেই ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারে না। আজকাল পরিবেশ বদলেছে, জীবনযাত্রা বদলেছে। যে কারণে বয়ঃসন্ধিকালীন নানা সমস্যাও (Adolescent problems) কিন্তু জাঁকিয়ে বসেছে। আর তাই এই সময় বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার দিকে (Adolescent food) নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আজকাল অধিকাংশজনই ওবেসিটি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে। খুব কম বয়স থেকেই শরীরে জাঁকিয়ে বসছে ডায়াবিটিস। এছাড়াও অ্যানিমিয়া, হরমোনের সমস্যা-সহ একাধিক সমস্যা রয়েছে শরীরে। ফলে ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ই কিন্তু শরীরে পুষ্টির ঘাটতি জনতি সমস্যাও প্রকট হয়। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। এই সময় থেকেই সকলের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ তৈরি হতে শুরু করে। বর্তমানে বিজ্ঞাপনও প্রভাব ফেলে খাবারে। তাই এমন কিছু খাবার দিন যাতে পুষ্টি থাকে, প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই বাদ দিন, মিষ্টি, ক্যালোরি যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভাল। ডায়াবিটিস আর ক্যানসার রোধে প্রথম থেকেই জোর দিন খাবারে। খাবারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।

দীর্ঘ দুবছর কোভিডের কবলে প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিক জীবনেও। গৃহবন্দি থাকতে থাকতে অনেকেই মানসিক সমস্যার শিকার। আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ফলে বেঁচে থাকাটাই কিন্তু এখন চ্যালেঞ্জ। এই অর্থনৈতিক পরিবর্তন প্রভাব ফেলেছে স্কুল, কর্মক্ষেত্রেও। যে খান থেকে অনেকেই ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। আর তাই ডায়েটের ক্ষেত্রে যে সব নিয়ম অবশ্যি মেনে চলবেন-

স্থানীয় খাবার খান- আহামরি বিদেশি খাবার নয়, রোজদিন বাড়ির তৈরি সাধারণ খাবারই খান। অঞ্চলভেদে যে সব শাক-সবজি পাওয়া যায় তাই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে ভাল। ভাজ, ডাল, মাছ, সবজিতে যে পুষ্টি পাওয়া যায় তা কিন্তু আর অন্য খাবারে পাওয়া যায় না। রোজকার ভাত, রুটি, মুড়ি. চিঁড়েতেই অভ্যস্ত থাকুন।

ফল বেশি করে খান- রোজকার ডায়েটে ফল বেশি করে রাখুন। মরশুমি ফল খান। আমদানিকৃত ফল নয়, বরং স্থানীয় ফলই রাখুন তালিকায়। আপেল, পেয়ারা, খেজুর, বেদানা, লেবু, কা এসব নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে কিন্তু খুবই ভাল।

হেলথ ড্রিংক- বাজার চলতি হেলথ ড্রিংকের পরিবর্তে ঘরেই বানিয়ে নিন। দুধের মধ্যে খেজুর, ড্রাইফ্রুটস মিশিয়ে খেতে দিন। এতে মস্তিষ্কের বিকাশ হয়, দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে, সেই সঙ্গে শরীরেরও অনেক উপকারে আসে।

ফাস্ট ফুড নয়- এই বয়সে সবথেকে বেশি আকর্ষণ থাকে বাজার চলতি ফাস্ট ফুডের প্রতি। আর তাই প্রথমেই ওড়িয়ে চলুন ফাস্ট ফুড। চিনি, ক্যালোরি একেবারেই বাদ দিন। আইসক্রিম, কোল্ডডেরিংক যতটা সম্ভব কম খান।