AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Beets:গর্ভবতী মহিলাদের রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে, যদি এই ভাবে খেতে পারেন বিট! রইল পুষ্টিবিদের পরামর্শ

Healthy recipes: বিটের মধ্যে থাকা ফোলেট আমাদের শরীরে রক্তের ঘাটতি মেটায়। গর্ভবতীদের জন্য খুবই ভাল। রইল দুটি হেলদি রেসিপি।

Beets:গর্ভবতী মহিলাদের রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে, যদি এই ভাবে খেতে পারেন বিট! রইল পুষ্টিবিদের পরামর্শ
বিটের মধ্যে থাকা ফোলেট গর্ভবতীদের জন্য খুব ভাল
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2021 | 11:49 PM
Share

শীতের বাজারে লাল বিট দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে। বিট দেখতে যেমন সুন্দরী তেমনই কিন্তু এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে। বিটের জুস থেকে স্মুদি অনেকেই বানিয়ে খান শীতে। সেই সঙ্গে প্রচুর ফাইবার ছাড়াও মিলবে ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন আর ভিটামিন সি।

কাঁচা খেতে পারেন স্যালাডে দিয়ে, সিদ্ধ বা রান্না করেও খাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন, বিটে কিন্তু গ্লুকোজ় আর ফ্রুকটোজ়ের পরিমাণ বেশি। তাই যাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রাধিক্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

বিটের যে পাতাগুলি থাকে, তার অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে ভিটামিন এ আর ক্যারোটিনয়েড। সেই সঙ্গে থাকে লুয়েটিন নামক অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। এর প্রত্যেকটিই ফ্রি র‍্যাডিকালসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। আমাদের ত্বক সুস্থ ও টানটান রাখার জন্য প্রতিদিন নতুন কোশের উৎপাদন হওয়া প্রয়োজন, ভিটামিন এ এই প্রক্রিয়াটিকে সুনিশ্চিত করে। ভিটামিন সি-এর ফলে কোলাজেন সিন্থেসিসের হার বাড়ে। যার ফলে শীতেও বজায় থাকে ত্বকের সুস্বাস্থ্য।

অ্যানিমিয়া থেকে রক্তচাপ, যে কোনও সমস্যার সমাধানে কিন্তু বিটের কদর রয়েছে। বিটের লাল রং দেখলেই বোঝা যায় বিট আয়রনে ভরপুর। যে কারণে বিট কাটলেই হাত কিন্তু লাল হয়ে যায়। বিট শরীরে রক্তের জোগান দেয়। যাঁরা রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন, যাঁদের পিরিয়ডস নিয়মিত নয় কিংবা যাঁরা মা হতে চলেছেন তাঁরাও কিন্তু নির্ভয়ে খেতে পারেন বিট। কিন্তু পিরিয়ডসের সমস্যার সঙ্গে যদি রক্তে শর্করার পরিমাণও বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

যে সব গর্ভবতী মায়েদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাঁরাও খেতে পারেন বিট। বিটের মধ্যে থাকা ফোলেট সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। কিন্তু কিডনির সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁরা কিন্তু বিট খাবেন না। বিটের দারুণ ২ টি স্বাস্থ্যকর রেসিপির খোঁজ দিলেন ডায়াটেশিয়ান নন্দিনী সুষমা দাস

বিটের স্যালাড

বিট ভাল করে ধুয়ে গ্রেট করে নিন। হাফ গাজর গ্রেট করে নিন। এবার এতে মেশান ২ চামচ ক্যুইনোয়া, টক দই, ধনে পাতা, কাসুন্দি ১ চামচ, অলিভ অয়েল ১ চামচ, স্বাদমতো নুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।

ক্যুইনোয়া তে আছে ফাইবার, ভিটামিন ই, অ্যামাইনো অ্যাসিড, লাইসিন। যা প্রোটিন সিন্থেসিসে সাহায্য করে। আছে ফোলেট আর আয়রন যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই ভাল। আছে ম্যাগনেশিয়াম, যা আমাদের শরীরের এনজাইম নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে বিট, গাজর কাটার আগে ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন।

বিট টিক্কা

বিট সিদ্ধ করে নিন। এবার এর সঙ্গে আদা-রসুন বাটা, হালকা করে ভেজে রাখা পেঁয়াজ, নুন, ধনেপাতা, আমন্ড কুচি, মটরশুঁটি, ভাজা মশলা দিয়ে ভাল করে মেখে চপের আকারে গড়ে নিন। এবার ওটসের গুঁড়োতে তা একবার কোটিং করে স্যালো ফ্রাই করে নিন। টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করুন। ইভিনিং স্ন্যাকস হিসেবে খুবই ভাল এই টিক্কা।

আরও পড়ুন: Healthy Eating: শীতের দিনে সুস্থ থাকতে বানিয়ে নিন আপেল-চা, সঙ্গে থাক বিশেষ এই প্রোটিন বার