Bloating symptoms: একবাটি ঘুগনি সাবড়ে দেওয়ার পর পেট ফুলে-ফেঁপে যায়? রান্নার পদ্ধতিটা একটু পরিবর্তন করলে মিটে যাবে সমস্যা!
Dried beans: এই বিনস যেমন শরীরের জন্য ভাল তেমনই কিন্তু এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। মটর ডাল, রাজমা রান্না করার আগে বেশ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর রান্না করুন
রাজমা কিংবা মটরের ঘুগনি খেতে কিন্তু বেশ লাগে। সেই সঙ্গে মটরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। ঘুনির উপর পেঁয়াজ, লঙ্কাকুচি, ঝুরিভাজা, লেবুর রস ছড়িয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে মেলায় বিক্রি হওয়া ঘুগনির স্বাদ কিন্তু এসবের থেকে একেবারে অন্যরকম। মাংসের কিমা দিয়ে ঘুগনি বানানোর মধ্যে লুকিয়ে থাকে বাঙালির আভিজাত্য। তবে লোভে পড়ে এক বাটি ঘুগনি খেয়ে ফেলার পরই অনেকে পড়েন নানা সমস্যায়। বুক জ্বালা, ঢেকুর, অস্বস্তি, গ্যাস এসব লেগেই থাকে।
কিন্তু শখের এই সব খাবার এড়িয়েও চলা যায় না। আর তাই পুষ্টিবিদ সোনালি সাভেরওয়াল বাতলে দিলেন নতুন টিপস। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর বই, ‘Beauty Diet: Eat Your Way to a Fab New You’। আর এই বইতেই রাজমা, মুগ, ছোলা, বিউলি, মুসুর ডাল রান্না করার কিছু উপায় বাতলেছেন তিনি। এই পদ্ধতিতে রান্না করলে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়বে তেমনই কিন্তু খেলে গ্যাসের সমস্যাও হবে না।
এই সব বিনস কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এগুলোর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সেই সঙ্গে ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন একটুও ফাইবার না খান তাহলে কিন্তু সমস্যা হবেই।
দেখে নিন কীভাবে রান্না করবেন-
যে কোনও বিনস আগে জলে ভিজিয়ে রাখুন। ছোলার ডাল, মটর, রাজমা, মুগ এসব অন্তত ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
৮ ঘন্টা পর জল ছেঁকে নিন। এই সব ডাল বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রান্না না করলে কিংবা ভেজানো জল বারে বারে ধুয়ে ফেলে না দিলে কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হবেই।
৮ ঘন্টা পর মটর/ ছোলার ডাল জল থেকে তুলে এক ঘন্টা গরজম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে মটরের দানা যেমন বড় হয়ে যাবে তেমনই কিন্তু সহজে রান্না হবে।
মটর যখন রান্না করবেন তখন ভাল করে দেখে নেবেন যাতে তাতে কোনও রকম ফোনা না থাকে।
মটর, রাজমা, ডাল কিন্তু সব সময় প্রেসার কুকারে রান্না করবেন। এতে ভাল সিদ্ধ হবে।
রান্নার একদম শেষে নুন, টমেটো, ভিনিগার এসব দিন। এতে মটর নরম হবে, স্বাদ ভাল হবে আর হজমের কোনও অসুবিধেও হবে না।
View this post on Instagram
দেখে নিন মটর ডালের চাট রেসিপি
মটর সিদ্ধ করে নিন। সারারাত ভিজিয়ে রেখে জল ফেলে তারপর প্রেসার কুকারে দিয়ে সিদ্ধ করুন। এরপর এর সঙ্গে পেঁয়াজ, লঙ্কা কুচি, আলু সিদ্ধ, শসা কুচি, টমেটো কুচি , ধনেপাতা, চানাচুর দিয়ে মেখে নিন। দরকারে চানাচুর এড়িয়ে যান। সন্ধের খাবারে কিন্তু খুবই স্বাস্থ্যকর এই চাট। যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁরা কিন্তু খেতেই পারেন।
আরও পড়ুন: Weight loss: ডায়েট করছেন, এদিকে মন বলছে খাই খাই! রইল খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখার দারুণ কিছু টিপস