Kidney Stones: কিডনিতে স্টোন? সার্জারি না করিয়েও সেরে উঠতে পারেন যে ৫ প্রাকৃতিক নিয়মে

Kidney Problem: মূলত জল কম খাওয়া থেকেই কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত। এছাড়াও ডায়াবিটিস থাকলে কিডনির সমস্যা আসবেই

Kidney Stones: কিডনিতে স্টোন? সার্জারি  না করিয়েও সেরে উঠতে পারেন যে ৫ প্রাকৃতিক নিয়মে
ঘরোয়া উপায়েই সারিয়ে ফেলুন কিডনি স্টোন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 9:58 PM

শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। যাবতীয় রেচন ক্রিয়া চলে এই কিডনির মাধ্যমেই। কিডনি আমাদের শরীর থেকে দূষিত বর্জ্য বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে রক্তকে ফিল্টার করার কাজটিও গুরুত্ব সহকারে সামাল দেয় কিডনি। কিডনি ঠিকমতো কাজ করলে তবেই শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ বজায় থাকে। কিডনিতে পাথর বা Kidney Stones বর্তমানে অতিপরিচিত একটি রোগ। ডাক্তারি ভাষায় একে Nephrolithiasis বা Urolithiasis-ও বলা হয়। প্রায় সব ঘরেই রয়েছে এমন সমস্যা। মূলত জল কম খাওয়া থেকেই কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত। এছাড়াও ডায়াবিটিস থাকলে কিডনির সমস্যা আসবেই। কিডনির সমস্যা হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। কিডনি বিকল হয়ে গেলে মৃত্যু অবধারিত। খারাপ খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন এবং নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতে কিডনিতে স্টোন হয়। সব সময় কিডনিতে স্টোন হলেই যে অপারেশন করতে হয় এরকম নয়। ওষুধ এবং প্রাকৃতিক এই নিয়ম মানতে পারলেও উপকার পাবেন। প্রয়োজনে কোনও রকম অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।

লেবু খান- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বেশি করে খেতে হবে। লেবুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। লেবু যেহেতু সহজেই পাওয়া যায় তাই রোজ লেবু খেতে বলা হয়। প্রাকৃতিক ভাবে কিডনিতে স্টোন হতে বাধা দেয় লেবু। অন্যান্য ফলের রসের মধ্যে অক্সালেট থাকে যা কিডনিতে স্টোনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। দু লিটার জলে দুটো গোটা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে থাকে ক্যালশিয়াম-ফোর্টিফাইড, যার ফলে কিডনিতে স্টোনের সম্ভাবনা কম থাকে।

জল খান- জল কম খেলে কিডনি স্টোনের প্রবণতা বাড়ে। জল যত বেশি খাওয়া হবে শরীরেরও তত ভাল ডিটক্সিফিকেশন হবে। জল কম খেলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যাও হয়। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের দিনে ৩.৭ লিটার জল খেতেই হবে। মহিলাদের ২.৭ লিটার।

বেদানার জুস- কিডনির সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে বেদানার জুস। কিডনির স্টোনের মূল উৎস হল ক্যালশিয়াম অক্সালেট। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। এর ফলে কিডনি ভাল থাকে, প্রস্রাবের মধ্যে অ্যাসিডের পরিমাণ কমে এবং সেই সঙ্গে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি কমে।

রাজমা- রাজমার অপর নাম কিডনি বিনস। শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই রাজমার। এছাড়াও রাজমার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। সঙ্গে থাকে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এছাড়াও রাজমার মধ্যে থাকে ভিটামিন বি। যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

গম ঘাসের জুস- দীর্ঘদিন ধরে গম ঘাসের জুস ব্যবহার হয়ে আসছে স্বাস্থ্যরক্ষায়। এই জুস প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ঘাসের মধ্যে বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যা কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রোজ সকালে এই জুস খেতে পারলে খুব ভাল।