Ghee Rice: রাহার জন্মের পর এই দেশি খাবারেই ওজন কমিয়েছেন আলিয়া, উপকারিতা জানলে আপনিও রোজ খাবেন
Alia Bhatt's Weight Loss Tips: নিয়মিত ভাবে দই, দুধ আর পনির তিনি খেতেন। এছাড়াও দুপুরে গরম ভাত-ডালের সঙ্গে খেতেন গাওয়া ঘি। কোনও দিন আবার শুধুই ঘি ভাত
২০২২ আলিয়া ভাটের জীবনে খুবই উল্লেখযোগ্য একটি বছর। গাঙ্গুবাঈ এর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে সাফল্য পাওয়ার পর হঠাৎই রণবীর কাপুরের সঙ্গে হঠাৎই সাত পাক ঘোরার পরিকল্পনা, নভেম্বরে মেয়ে রাহার জন্ম- সব মিলিয়ে দর্শকদের একের পর এক চমক উপহার দিয়েছেন আলিয়া। প্রশংসা কুড়িয়েছেন নিজের কাজ নিয়ে তেমনই তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হবার খবরেও কম জলঘোলা হয়নি। বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন তিনি এমন খবরে একটা সময় রে রে করে উঠেছিলেন নিন্দুকেরা। তবে সেব কিছুকেই পাত্তা দেননি আলিয়া। নিজের মত করে কাজ করেছেন, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন আর মেয়ের জন্মের পর থেকে তিনি একরকম ব্যস্ত ছিলেন মেয়েকে নিয়েই। কাজে খানিকটা সময় নিয়ে ফিরবেন সেকথা তিনি আগেই জানিয়েছিলেন। এছাড়াও এবার থেকে তিনি বেছে বেছে কাজ করবেন এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
নভেম্বরে মেয়ের জন্মের পর ফেব্রুয়ারি মাসে আলিয়া যখন ডাবিং স্টুডিয়োতে প্রথম গেলেন এবং সেই ছবি শেয়ার করলেন তা দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছিল। মেয়ের জন্মের পর এত দ্রুত কী ভাবে সব ফ্যাট গলিয়ে ফেললেন আলিয়া তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত ছিল না। এই সময় আলিয়া যে কঠোর ভাবে শরীরচর্চা করেছেন তার ইঙ্গিতও তিনি দিয়েছেন বেশ কয়েকটি ভিডিয়োতে। এছাড়াও ডায়েট করেছেন। তবে ডায়েটে কোনও বিদেশী খাবার নয়। দেশি খাবারেই ওজন কমালেন তিনি। এই দেশি খাবারের নাম শুনলেই চোখ কপালে তুলবেন আপনি। তা হল ঘি ভাত!
নিয়মিত ভাবে দই, দুধ আর পনির তিনি খেতেন। এছাড়াও দুপুরে গরম ভাত-ডালের সঙ্গে খেতেন গাওয়া ঘি। কোনও দিন আবার শুধুই ঘি ভাত। গরম ভাতে গাওয়া ঘি, একটু নুন আর আলু সিদ্ধ অধিকাংশ বাঙালির কাছেই অমৃত সমান। এছাড়াও ঘি দিয়ে রান্না করলে যে কোনও খাবারের স্বাদ হয় দ্বিগুণ। খিচুড়িতে একটু গাওয়া ঘি পড়লে যেমন দারুণ লাগে তেমনই মাংস, মোচার ঘন্টে গাওয়া ঘি না পড়লে ঠিক স্বাদ আসে না। ভাত খেতে শেখার পর প্রথম দিকে অধিকাংশ বাচ্চাকেই বাড়িতে ঘি, ভাত, ডাল, আলুসিদ্ধ এসবই খাওয়ানো হয়। ঘি-ভাত আমাদের কাছে খুবই শুভ। কিন্তু অনেকের ধারণা ঘি খেলে ওজন বাড়ে। আর তাই এই ভয় থেকে ঘি এড়িয়ে চলেন। ঘি কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। এর মধ্যে আছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ঘি আমাদের হজমশক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে আবার ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও খুব ভাল ঘি।