AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Keto Diet: কিটো ডায়েট করছেন? কিন্তু তার আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি জেনে নিন…

কিটো ডায়েটে দ্রুত ওজন কমে। ফলে সেলেব্রিটি থেকে আমজনতা সকলেরই কিন্তু এই ডায়েট বেশ পছন্দের। কিন্তু এই ডায়েটের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কিন্তু রয়েছে

Keto Diet: কিটো ডায়েট করছেন? কিন্তু তার আগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি জেনে নিন...
কিটো ডায়েটের ফলে ক্ষতি হয় চুল, ত্বকের
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2022 | 12:59 AM
Share

ওজন কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন কিটো ডায়েটে ( Keto Diet)। গত ২ বছর ধরে কিন্তু এই ডায়েট বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু কী এই কিটো ডায়েট? কিটো ডায়েট ( Keto Diet) কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ডায়েট হিসেবেও পরিচিত। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার বেশি খেলে শরীরে বেশি পরিমানে ফ্যাট জমা হয়। এদিকে কম খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ফ্যাটটুকুও থাকে না। যার ফলে প্রোটিন বেশি খেতে বলা হয়। আর একটানা অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে লিভারে কিটোন উৎপন্ন হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটাকেই কিটোসিস বলা হয়। যার ফলে ব্লাড সুগার , ইনসুলিন হঠাৎ করেই অনেকটা কমে যায়।

এই ডায়েট প্রক্রিয়ায় শরীর ৭০ শতাংশ ফ্যাট গ্রহণ করে। অন্যদিকে প্রোটিন থাকে ২৫ শতাংশ, কার্বোহাইড্রেট ৫ শতাংশ। ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে এই ডায়েটের পরামর্শ দেওয়া হয়। লো-ফ্যাট ডায়েটের তুলনায় এই ডায়েটে বেশি ওজন কমানো যায়। আর এই ডায়েট শুরু করার কিছুদিনের মধ্যে খিদে কমে যায়। ফলে এই ডায়েট সেলেব মহলে এত জনপ্রিয়। তবে যাঁদের ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা থাকে তাঁদের এই ডায়েট কিন্তু প্রাণঘাতী হতে পারে।

এই ডায়েটে বেশি করে প্রোটিন খাবার কথা বলা হয়। চিকেন, ডিম, মাটন, মাছ এসবই কিন্তু খাওয়া হয়। এছাড়াও থাকে পালং, মেথি শাক, পনির, ড্রাই ফ্রুটস। তবে ত্বক বিশেষজ্ঞ অনুপ্রিয়া গোয়েল কিন্তু একেবারেই উল্টো কথা বলছেন। তাঁর মতে এই কিটো ডায়েটের ফলে ত্বক, চুলের মারাত্মক ক্ষততি হচ্ছে। কারণ ত্বক ঠিকমতো পুষ্টি পাচ্ছে না। প্রোটিন, ফাইবার এসব পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে যাচ্ছে না। যে কারণেই কিন্তু চুল বেশি ঝরে পড়ে। এছাড়াও হঠাৎ করে অতিরিক্ত ওজন কমে গেলে চামড়া কুঁচকে যায়। ত্বকেও আসে নানা সমস্যা। ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর একেবারেই পায় না। এর ফলে নখও ভঙ্গুর হয়ে যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এছাড়াও কিটো ডায়েটের ফলে চাপ পড়ে কিডনিতে। যদি দীর্ঘদিন ধরে কেউ এই ডায়েট মেনে চলেন তাহলে পরবর্তীতে পড়তে পারেন জটিল সমস্যায়। আর তাই আগে থেকেই সচেতন থাকুক।

শরীরের জন্য ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সবেরই কিন্তু প্রয়োজন। ফলে এমন ভাবে ডায়েট মেনে চলুন যে খানে শরীর তার প্রয়োজনীয় সব উপাদান পায়। তবেই কিন্তু ভিতর থেকে সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য কিন্তু কিটো ডায়েট নয়। একমাত্র যাদের এপিলেপসির সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদেরই এই ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দিতেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।