Cooking Oil: সর্ষের তেল নাকি সাদা তেল? কোন তেলের গুণে ভাল থাকবে আপনার হার্ট?

Mustard Oil: যখনই স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গ আসে, তখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগে, যে সর্ষের তেল নাকি অন্য কোনও সাদা তেল। আপনিও যদি এই দ্ব‌ন্ধে থাকেন তাহলে জেনে নিন কোন তেল বেশি স্বাস্থ্য়কর।

Cooking Oil: সর্ষের তেল নাকি সাদা তেল? কোন তেলের গুণে ভাল থাকবে আপনার হার্ট?
তেল যেমনই হোক, যত কম খাবেন শরীর তত বেশি সুস্থ থাকবে।Image Credit source: istockphoto.com
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2022 | 12:02 PM

এখন যে হৃদপিণ্ড জনিত রোগের সমস্যা বেড়ে চলেছে, তাতে প্রত্যেকটা মানুষ হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকছে। এখন কম বয়সেই মানুষ হৃদরোগের শিকার হচ্ছে। হার্টের স্বাস্থ্য (Heart Health) ভাল রাখতে গেলে খাওয়া-দাওয়ার ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে তেল হচ্ছে খাবারের সবচেয়ে জরুরি উপাদান। উপরন্ত হার্টের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে গেলে খাবারে কোন তেল ব্যবহার করা হয় তা জানা জরুরি। এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল উপলব্ধ। সোয়াবিন অয়েল, রাইসব্র্যান অয়েল, ভেজিটেবল অয়েল- এই ধরনের তেলগুলোই সাধারণত আমরা খাবারে ব্যবহারে করি। এর পাশাপাশি বাঙালির রান্নাঘরে সবচেয়ে ব্যবহৃত হয় সর্ষের তেল। কিন্তু যখনই স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গ আসে, তখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগে, যে সর্ষের তেল (Mustard Oil) নাকি অন্য কোনও সাদা তেল (Refined Oil)। এই বিষয়ে নিয়ে বহু মানুষের নানা মত। আপনিও যদি এই দ্ব‌ন্ধে থাকেন তাহলে জেনে নিন কোন তেল স্বাস্থ্য়কর।

সোয়াবিন অয়েল, রাইসব্র্যান অয়েল, ভেজিটেবল অয়েল- এই ধরনের তেলগুলো পরিশোধিত তেল। এই তেলগুলো উৎপাদন করতে বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, সর্ষের তেল সর্ষের বীজ থেকে উৎপন্ন হয়। এতে কোনও রকম রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর প্রয়োজন পড়ে না।

সর্ষের তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১৪.৪ গ্রাম এবং সাদা তেলে ১১.৫৮২ গ্রাম এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ২৩.৩ গ্রাম এবং ৫৯.১৮৭ গ্রাম। যদি আমরা পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে সর্ষের তেলে ৫৭.৯ গ্রাম এবং সাদা তেলে রয়েছে ২১.২৩ গ্রাম। সর্ষের তেলে উপস্থিত এই মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি পারে।

সর্ষের তেলের অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি শরীরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। NCBI-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, অন্যান্য অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল তেলের তুলনায়, সর্ষের তেল প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, সর্ষের তেলে অ্যালিল আইসোথিওসায়ানেট থাকে, যা নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। এটি শরীরে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণা অনুসারে, সর্ষের তেলে প্রদাহ-বিরোধী গুণ রয়েছে, যার কারণে বাতের উপসর্গগুলি উপশম করা যায়। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে, যা শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং প্রদাহকে অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করে।

স্পষ্টতই, অনেক গবেষণায় সর্ষের তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বেশি বলা হয়েছে। এটি বাকি তেলের চেয়ে বেশি উপকারী। সুতরাং রান্নায় যদি তেল ব্যবহার করতেই হয় তাহলে সর্ষের তেল ব্যবহার করুন। তবে তেল যেমনই হোক, যত কম খাবেন শরীর তত বেশি সুস্থ থাকবে।

আরও পড়ুন: বাজারের কেনা অ্যালোভেরা জ্যুসে কাজ দিচ্ছে না? এই ভাবে অ্যালোভেরার রস খান, ওজন কমবে দ্রুত