ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ছোট থেকে বড় সকলেই আজকাল আক্রান্ত হচ্ছে এই সমস্যায়। ডায়াবেটিস হলে মেপে খাওয়া দাওয়ার কথা বলা হয়। শর্করা, ক্যালোরি এসব একেবারেই মেপে খেতে হয়। আর তাই শাক সবজি যত বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে ততই ভাল। অনেকেই শীতে বিভিন্ন সবজির জুস বানিয়ে খান। বিশেষত পালং, গাজর, বিটের জুস। পালং শাক শরীরের জন্য খুব ভাল। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। তবে ডাক্তার থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই বলছেন এই পালং শাক একেবারেই কাঁচা খাওয়া ঠিক নয়। স্মুদি আকারে তো একেবারেই না। কারণ পালং শাক কাঁচা খেলে আইবিএসের সমস্যা যেমন হতে পারে তেমনই কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি। রোজ যদি কাঁচা পালং খাওয়া হয় তাহলে স্টোন হবেই। তখন আর ওষুধে কাজ হবে না অপারেশন ছাড়া গতি নেই।
পালং শাকের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এছাড়াও এর মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কার্যকরী হল এই পালং শাক। জুস বা স্মুদি বানিয়েও অনেকে পালং শাক খান। এই শাকের মধ্যে অক্সালিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে থাকে। যা ক্যালশিয়াম আর আয়রন শোষণে বাধা দেয়। যে কারণে কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আর তাই কিডনি স্টোনের ঝুঁকি কমাতে পালং শাক একেবারে কম পরিমাণে খেতে হবে। সেই সঙ্গে পালং শাক আগে গরম জলে ফুটিয়ে নিয়ে তবেই খান। যদি নিতান্তই স্মুদি খেতে হয় তাহলে গরম জলে আগে ভাল করে এই শাক ফুটিয়ে নিন। এবার এর জুস বার করে নিয়ে এর মধ্যে রোস্টেড ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, মৌরি গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। প্রয়োজনে সামান্যয় গোলমরিচের গুঁড়োও মেশাতে পারেন। এছাড়াও পালং শাকের স্যুপ বানিয়ে খেতে পারেন। শীতের দিনে এই স্যুপ খেতেও বেশ ভাল লাগে। পালং শাক দিয়ে পনির, চিকেন বানিয়ে নিতে পারেন। এতে খেতেও ভাল লাগবে আর সেই সঙ্গে পুষ্টিগুণও থাকবে ভরপুর। তবে কাঁচা কোনও ভাবেই খাওয়া চলবে না।