Caffeine During Summer: ক্রমশ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। কালবৈশাখী তো দূরের কথা, ছিটেফোঁটা বৃষ্টিরও দেখা নেই প্রায় গোটা দেশজুড়েই। দেশ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। আমাদের রাজ্যের কলকাতা আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা বাদে বেশিরভাগ জেলাতেই চলছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল অবধি তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার থেকে একটু বেশি হলেও ২৯ এপ্রিল থেকে ৫ মে-র মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি থাকবে। সেই সঙ্গে আপাতত বৃষ্টিপাতেরও কোনও সম্ভাবনা নেই। রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে তাপপ্রবাহ বিষয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা। তবে গরমের দুপুরে ঘরে বসে কাজ করার সুখ সকলের নেই। দীর্ঘ দু’বছর পর আবারও অফিস পাড়া ফিরেছে পুরনো ছন্দে। ভ্যাপসা গরমে ঘেমে-নেয়ে অফিস যে কতখানি ক্লান্তিদায়ক সে বিষয়ে নিত্যযাত্রীদের নতুন করে বলবার কিছুই নেই। অতিরিক্ত ঘাম-গরমে শরীরের এনার্জিও তলানিতে।
গরমের দিনে শরীরের আর্দ্রতার পরিমাণ ঠিক রাখতে বেশি করে জল খেতেই হবে. সেই সঙ্গে ডিটক্স ওয়াটার, ফলের রস, ডাবের জল এসব যত বেশি খাওয়া যায় ততি কিন্তু ভাল। তাপমাত্রা প্রায় চল্লিশ ছুঁই ছুঁই, সেই সঙ্গে গরম হাওয়ার দাপট। সব মিলিয়ে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি এসব কিন্তু ঘিরেই থাকে। এখন বেশিরভাগ অফিসেই এয়ারকন্ডিশন। আর রোদের থেকে সরাসরি এসির মধ্যে আসলে যেমন আরাম লাগে, তেমনই তা শরীরের জন্য মোটেই আরামদায়ক নয়। এতে ঠান্ডা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে সর্দি, কাশি, কফ এসব লেগেই থাকে। অফিসে কাজের ফাঁকে নিজেকে একটু চাঙ্গা করে নিতে মাঝেমধ্যে কেউ দেন চায়ে চুমুক কেউ আবার কফিতে। কিছু জনের আবার এমনও অভ্যাস থাকে যে, কফি না খেলে কাজ করার ইচ্ছেটাই যেন চাগাড় দিয়ে উঠে না। কিন্তু কফির এই এক চুমুকেই আপনার শরীরের যে কতখানি ক্ষতি হচ্ছে তা জানেন কি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফির মধ্যে যে ক্যাফেন থাকে তা গরমের দিনে শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। খেয়াল করে দেখবেন, চিনি ছাড়া এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে যেমন এনার্জি আসে তেমনই কিন্তু বেশিবার বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যে কারণে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। দিনের মধ্য ২৫০ এমএল পর্যন্ত কফি খেতে পারেন। এর চেয়ে বেশি কফি খেলেই কিন্তু বিপত্তি। হৃদস্পন্দন বাড়তে পারে, সেই সঙ্গে হতে পারে মাথাব্যথার সমস্যাও। আর কফি কিন্তু খালি পেটে খাবেন না। কফির সঙ্গে পপকর্ন খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বা খেতে পারেন বাদাম। এতে শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হবে না। কিংবা গ্যাস-অ্যাসিডিটির সমস্যাও আসবে না। তবে কফি খেলে সকালের দিকে খান। দুপুরের দিকে এড়িয়ে চলাই কিন্তু ভাল।
আরও পড়ুন: Banana: রোজ সকালে খালি পেটে ১টা কলা, উপকার পান হাতে-নাতে!