Intermittent Fasting: বয়স ৪০ পেরিয়েছে? ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করবেন কী ভাবে, রইল টিপস…

ওজন কমাতে এই উপবাস পদ্ধতি ভাল, কিন্তু এই পদ্ধতি মেনে চলার আগে বিশেষ নজর দিন নিজের শরীরের উপর। প্রোটিন আর জল বেশি করে খেতেই হবে। সেই সঙ্গে যাতে ঘুম ভাল হয় সেদিকেও কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

Intermittent Fasting: বয়স ৪০ পেরিয়েছে? ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করবেন কী ভাবে, রইল টিপস...
ওজন কমানোর আগে যে সব বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2022 | 1:55 AM

ওজন কমাতে এখন ননা রকমের ডায়েট প্রচলিত রয়েছে। আর তাদের মধ্যে কিন্তু জনপ্রিয় হল এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermitent fasting)। সেলেব্রিটি থেকে ফিটনেস ফ্রিক- চটজলদি ওজন কমাতে বেশিরভাগ মানুষ দ্বারস্থ হচ্ছেন এই পদ্ধতির। অতরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলে এখন সকলেই সুস্থ থাকতে চাইছেন। ফলে ডায়েট করার এখন কিন্তু আর নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। বেশ খানিকক্ষণ উপবাস থেকে খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ের পর খাবার এড়িয়ে চলা এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে পারলে কিন্তু ভাল। এতে কর্মদক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে খাবার হজম করতেও কিন্তু কোনও রকম অসুবিধে হয় না। এছাড়া এই উপবাসের কিন্তু কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে ওজন ঝরানো কিন্তু বেশ কঠিন হয়ে যায়। আর সেক্ষেত্রে মেয়েরা অবশ্যই সাহায্য নিতে পারেন এই পদ্ধতির।

২০-৩০ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যেও কিন্তু এই ডায়েট খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু যখন ৪০ বছর বা তার বেশি বয়সী কোনও মহিলা এই ডায়েট মেনে চলতে চান তখন তাঁকে আলাদা করে আরও কিছু বিষয় মাতায় রাখতে হবে। বিশেষত তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে সমান ভাবে নজর দেওয়াটা কিন্তু জরুরি। কারণ ৪০ বছর পেরোলেই মেয়েদের দেহে একাধিক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। হরমোন জনিত সমংস্যা একটু বেশিই দেখা দেয়। এছাড়া বিপাক ক্রিয়া কমে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে মেনোপজের সমস্যাও আসে। এক্ষেত্রে যদি খুব কঠিন ডায়েট হয় বা একটানা অনেকক্ষণ পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হয় তাহলে তাঁদের শরীর ভেঙে পড়ে সহজেই। আর ৪০ বছর বয়সী যে কোনও মহিলার ক্ষেত্রে স্ট্রেস থাকে অনেক বেশি। তাই এই কয়েকটি দিক অবশ্যই কিন্তু বিবেচনা করে দেখবেন।

প্রোটিন কিন্তু শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন আমাদের কোশের গঠনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ খিদে থেকেও দূরে রাখে। আর তাই অতি অবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখবেন প্রোটিন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রোটিন খেলে খিদেও যেমন কম পায় তেমনই পেশিও কিন্তু শক্তিশালী হয়।

অনেকেই আছেন যাঁরা ডায়েট করলে বা এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে জল খেতে ভুলে যান। বা খেলেও সেই জলের পরিমাণ বেশ কম থাকে। কিন্তু এরকম ভুল না করাই ভাল। কারণ জল আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনগুলোকে বাইরে বের করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরকে আর্দ্র রাখে। আর তাই যদি প্রতিদিন নিয়ম মেনে জল না খান তাহলে কিন্তু ডিহাইড্রেশন হতে বাধ্য। জল, ডাবের জল এসব সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। আর যত জল বেশি খাবেন ততই কিন্তু ওজন কমানোর প্রক্রিয়াও অনেক বেশি সহজ হবে।

এই সবের সঙ্গে ভাল ঘুম হওয়া প্রয়োজন। ঘুম ভাল মতো হলে তখন হজমও কিন্তু ঠিকমতো হয়। গ্যাস-অম্বলের কোনও সমস্যা থাকে না। ফলে শরীর, মন সুস্থ থাকে। শরীর ভিতর থেকে সুস্থ থাকলে তবেই ডায়েট করা সম্ভব। কিন্তু ঘুম ঠিকমতো না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। তখন খিদেও বেশি পায়। অতিরিক্ত পরমাণ ক্যালোরি খাওয়া হয়ে যায়। এছাড়াও কম ঘুম হলে স্ট্রেস বাড়ে। আর তাই আগেভাগেই এই সব সমস্যা থেকে দূরে থাকুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।