Weight Loss Diet Tips: ওটস নাকি ডালিয়া? ব্রেকফাস্টে কোন দানাশস্য খেলে চটজলদি রোগা হবেন?
Oats Vs Dalia for Weight Loss: পাউরুটি, মুড়ি, রুটির থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ওটস ও ডালিয়া। কেউ টক দই দিয়ে ওটস খান, কেউ খিচুড়ি বানিয়ে নেন। আবার অনেকে ডালিয়া দিয়েও খিচুড়ি, পায়েস, পোলাও বানিয়ে খান। কিন্তু যখনই ওজন কমানোর প্রসঙ্গ আসে, তখন কী খাবেন?

ওজন কমাতে চাইলে বুঝেশুনে খাওয়া-দাওয়া করতেই হবে। সাধারণত ডায়েটে ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর রাখতে হবে। তবেই ফিট থাকা যায়। ওজন কমানোর থেকেও জরুরি সুস্থ থাকা। সেটার জন্যও সঠিক খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি। যেহেতু দিনের শুরুটা স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে করা উচিত, তাই ব্রেকফাস্টের উপরই বেশি জোর দেওয়া উচিত। সাধারণত ব্রেকফাস্টে পাউরুটি, মুড়ি, রুটি খান। আবার অনেকে ওটস, ডালিয়াও বেছে নেন। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য কোন খাবারটি ব্রেকফাস্টে খাবেন? ওটস নাকি ডালিয়া?
পাউরুটি, মুড়ি, রুটির থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ওটস ও ডালিয়া। কেউ টক দই দিয়ে ওটস খান, কেউ খিচুড়ি বানিয়ে নেন। আবার অনেকে ডালিয়া দিয়েও খিচুড়ি, পায়েস, পোলাও বানিয়ে খান। কিন্তু যখনই ওজন কমানোর প্রসঙ্গ আসে, তখন কী খাবেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, জলখাবারে ওটস, ডালিয়া দুটোই খাওয়া যায়। কিন্তু এই দুই খাবার কেন খাবেন, তা কি জানেন?
সুগারকে বশে রাখে
ফাইবার ভরপুর দানাশস্য ওটস ও ডালিয়া। এই দুই খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট নেই বললেই চলে। আর গ্লাইসেমিক সূচকও কম। অর্থাৎ, ডালিয়া ও ওটস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ক্যালোরি কম
ওজন কমানোর জন্য কমবেশি সকলেই কম ক্যালোরি যুক্ত খাবারের খোঁজ করেন। ১০০ গ্রাম ওটসের মধ্যে ৩৮৯ ক্যালোরি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম ডালিয়ায় ৩৪২ ক্যালোরি পাওয়া যায়। সুতরাং, আপনি ওটস খান বা ডালিয়া, দেহে বেশি ক্যালোরি প্রবেশের ভয় নেই।
পুষ্টিতে ভরপুর
ডালিয়ার মধ্যে ভিটামিন বি এবং ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো বিভিন্ন পুষ্টি রয়েছে। ওটসের মধ্যেও আপনি প্রোটিন, ভিটামিন ই, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ-এর মতো পুষ্টি রয়েছে। ডালিয়া ও ওটস খেলে দেহে কোনও পুষ্টির ঘাটতি হবে না।
ফাইবারে ভরপুর
১০০ গ্রাম ডালিয়ায় ৬.৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। ১০০ গ্রাম ওটসের মধ্যে ১০.৬ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে, বদহজমের সমস্যা দূর করে। ওটসের মধ্যে বিটা-গ্লুকান নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।
