Relationship And Intimacy: প্রেমের বয়স আড়াই বছর, তবুও কাটেনি আড়ষ্টতা! সমস্যা কোথায়?
Physical Intimacy In Relationship: বয়স এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমে শরীরের গুরুত্বও বাড়ে। এ বিষয়ে লজ্জা পাওয়ার বা লুকনোর কিছু নেই। প্রেমে শরীর থাকবে এটাই স্বাভাবিক...

How To Build Trust In Relationship: সুপ্রতীকের সঙ্গে তনয়ার প্রথম আলাপ সোশ্যাল মিডিয়া মারফত। ছবি তুলতে ভালবাসে সুপ্রতীক। সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল ভর্তি তার ফটোগ্রাফিতে। নিজে ক্যামেরা হাতে ছবি তুলতে ভাল না বাসলেও নিজে ‘ছবি তোলাতে’ বেশ ভালবাসে তনয়া। সেলফির পর সেলফিতে ক্লান্ত না হলেও বন্ধুরা তনয়ার স্বভাবে যার পর নাই বিরক্ত। বন্ধুদের উপর একরকম রাগ করেই নেটপাড়ায় প্রেমিক খুঁজতে বেরিয়েছিল তনয়া। আর সেখান থেকেই সুপ্রতীকের সঙ্গে পরিচয়। গান-সিনেমা এবং কবিতা বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে প্রেমের সূত্রপাত। তারপর অবশ্য দু-একটা ফটোগ্রাফি ট্যুর, চিত্র প্রদর্শনী এসব দিয়েই ওদের ‘ডেটিং’ এর শুরু। তবে সাহস করে বাড়িতে লুকিয়ে ঘুরতে যাওয়া কিংবা কফি-ডেট কোনওটাই দুজনে করে উঠতে পারেনি। বরং টেক্সট মেসেজেই রাত কাবার হয়ে যেত। টেনে টুনে একটা বছর কোনও মতে চলার পর তনয়ার মনে হল এই সম্পর্কটা ঠিক যেন প্রেমের নয়। এদিকে বন্ধুমহলে গর্ব করে বলে ফেলেছে নিজের প্রেমের কথা। গেয়েছে প্রেমিকের গুণগানও। অন্যদিকে সুপ্রতীকেরও মনে হতে থাকল তনয়ার জন্যই বোধহয় তার কাজে সাফল্য আসছে না। সম্পর্ক থেকে দুজনে বেরিয়ে আসতে চাইল না, কিন্তু কোথাও যেন মনের টান-টা ‘মিসিং’। আর ভালবাসা?
রোজ ভোর রাত পর্যন্ত টেক্সট করলে আর নিয়ম মাফিক রোজ ‘Good Morning’মেসেজ পাঠালেই যে প্রেম টেকে না একথা অনেকেই জানেন না। প্রথম থেকেই শরীরী ঘনিষ্ঠতার প্রয়োজন না হলেও মানসিক ঘনিষ্ঠতার প্রয়োজন আছে ভীষণভাবে। দুটো মনের মিল না হলে কোনও ভাবেই সেখান থেকে কোনও সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে না। আর তাই সম্পর্কে ‘Intimacy’ ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। বয়স এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমে শরীরের গুরুত্বও বাড়ে। এ বিষয়ে লজ্জা পাওয়ার বা লুকনোর কিছু নেই। প্রেমে শরীর থাকবে এটাই স্বাভাবিক। না থাকাটাই বরং অস্বাভাবিকতা। শরীর আর মন দুই একসঙ্গে মিশলে তবেই কিন্তু ভালবাসা বাড়ে। স্রেফ ঘনিষ্ঠতার অভাবে অনেক সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে-এই রকম উদাহরণও কিন্তু কম নয়। এমন সমস্যার ভুক্তভোগী আপনিও! ভেবে দেখেছেন কেন এমনটা হচ্ছে?
যে কোনও সম্পর্কে ভরসা হল জরুরি। যে বন্ধুকে আপনি মন থেকে ভরসা করেন, যার সঙ্গে সমস্ত কথা শেয়ার করতে পারেন, যে বন্ধুর উপর আপনি অভিমান করতে পরেন সেই কিন্তু আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়। তেমনই প্রেমিক-প্রেমিকা হতে গেলে একে অন্যকে ভরসা করা জকরুরি। একে অন্যের প্রতি সেই ভরসাটা না থাকলে মন খুলে কথা বলবেনই বা কি করে!
*আজকাল সকলের জীবনেই সময়ের অভাব। ২৪ ঘন্টার দিন-রাত যে কী ভাবে ১০ ঘন্টায় ফুরিয়ে যায় তা টেরও পাওয়া যায় না। নিজেদের জীবনে কেরিয়ার, পরিবার, বন্ধু , আড্ডা সামলে অনেকেই তাঁর প্রিয়জনকে সময় দিতে পারেন না। আর সেখান থেকে কিন্তু একাধিক সমস্যা আসে পরবর্তীতে।
*এমনও অনেকে আছেন যাঁরা প্রথম থেকেই সঙ্গীর প্রতি উদাসীন থাকেন। নিজের বন্ধু , আত্মীয়দের যত না গুরুত্ব দেন তার ছিটেফোঁটাও দেন না সঙ্গীকে। ফলে সেখান থেকে মনোমালিন্য, দূরত্বের সৃষ্টি হয়। একরকম অনিশ্চয়তা থেকেই সম্পর্কে ভাঙন ধরে।
*এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা শুধুমাত্র প্রেম করতে হবে বলে কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু সেখান থেকে যখন সমস্যা আসে তখন একে অপরের চোখে বড় খারাপ, অপরাধী হয়ে যান। আর তাই আগে প্রশ্ন করুন নিজেকে। মন যদি সায় দেয় তাহলে অবশ্যই এগিয়ে যান, নইলে নয়।
আরও পড়ুন: Relationship Tips: ‘Ex’-এর কথা ভেবে বিনিদ্র রজনী? কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন আবেগ