Glowing Skin Tips: তিতকুটে করলাই করবে ত্বকের কামাল! বাড়িতে বানান ‘স্পেশাল’ ফেসপ্যাক
Beauty Tips: তেঁতো বলে করলা না খেলেও মুখে লাগাতে পারেন। ওই সবজিতে লুক্কায়িত অবস্থায় থাকে ত্বক মেরামত করার উপাদান।

দুপুরে ভাতের সঙ্গে করলার কোনও পদ দেখলে অনেকেই নাক সিঁটকোন। তাদের ভাত খাবার ইচ্ছেটাই চলে যায়। কারণ, এই তিতকুটে সবজি অনেকেরই অপছন্দের। সেই দলেই কি আপনিও আছেন? করলার জুস শরীরের দারুণ উপকার করে। কিন্তু করলা দিয়ে তৈরি পদ যেহেতু অনেকেই খান না, তাদের শরীরে এর গুণ সঠিক পরিমাণে ঢোকে না। করলা না খেলেও মুখে লাগাতে পারেন। ওই সবজিতে লুক্কায়িত অবস্থায় থাকে ত্বক মেরামত করার উপাদান।
করলায় রয়েছে ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারাটিনের মতো উপাদান। যা ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এই সবজি ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ত্বকের জৌলুস ধরে রাখতে পারে। কোন উপায়ে ত্বকে করলা ব্যবহার করলে ত্বকের নানা সমস্যা কমে যাবে? জানুন বিস্তারিত।
নিম, হলুদ এবং করলার ফেসপ্যাক: নিম এবং হলুদ দুটোই ত্বকের বেশ উপকারী। ত্বকের সমস্যা কমাতে ও ত্বকের জেল্লা বাড়াতে বেশ উপকারী নিম এবং হলুদ। আর তাতে যদি করলা মেশান, তাহলে উপকার মিলবে দিগুণ। এর জন্য নিম পাতা ও করলা একসঙ্গে পেস্ট করতে হবে। তাতে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মেশান। এরপর মুখে মাখতে পারেন। এই ফেসপ্যাক ব্রণ দূর করে।
শসা ও করলার ফেসপ্যাক: ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই ফেসপ্যাক। শসা এবং করলা একসঙ্গে পেস্ট বানান। সরাসরি মুখে মাখতে পারেন। এ ছাড়া শসা এবং করলার পেস্ট থেকে রস বের করে নিন। সেই রসটাও মুখে মাখতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট তা রেখে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে তফাৎ নজরে পড়বে।
ডিম, দই এবং করলার ফেসপ্যাক: ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে ডিম সাহায্য করে। অন্যদিকে, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ও দাগছোপ কমাতে কার্যকরী দই। এর সঙ্গে করলা পেস্ট করে মেশান। ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে তা ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক করবে চকচক।
