Uric Acid: রক্তে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে একাই একশো রান্নাঘরের সাধারণ এই মশলা, শুধু ব্যাবহার জানুন
Ginger For Health: ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি যে ভাবে চলতে বলবেন সেইভাবেই চলুন। সঙ্গে ডায়েট মেনে চলতে হবে। তবে ইউরিক অ্যাসিড রুখতে খুব ভাল কাজ করে রান্নাঘরে থাকা এই উপাদানটি। আদার অনেক গুণ
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ইউরিক অ্যাসিড। কোনও কারণে কিডনি যদি ঠিকমত ছাঁকনির কাজ না করতে পারে তখন এই সমস্যা হয়। তখন ইউরিয়া ইউরিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়ে হাড়ের মধ্যে জমতে থাকে। যেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসে। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তাই গোড়ালির হাড়ে ব্যথা বেশি হয়, পা ফেলতে সমস্যা হয়। ওবেসিটি, একটানা খাওয়াদাওয়া আর অতিরিক্ত খাওয়া থেকে আসছে এই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। আমরা যে খাবার খাই সেখান থেকেই তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড আর তা জমতে থাকে কোশে। তবে কিডনি ফিল্টার করে এই ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দেয়। মলত্যাগের মাধ্যমে তা শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। কিন্তু যখন তা শরীর থেকে বেরোতে পারে না তখনই রক্তে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে এখান থেকে গাউটের সমস্যাও আসতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি যে ভাবে চলতে বলবেন সেইভাবেই চলুন। সঙ্গে ডায়েট মেনে চলতে হবে। তবে ইউরিক অ্যাসিড রুখতে খুব ভাল কাজ করে রান্নাঘরে থাকা এই উপাদানটি। আদার অনেক গুণ। ব্লোটিং, হজমের সমস্যা কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনই গাউট থেকে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসে আদা। প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তাঁর ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা হয়েছে। এমনকী লক্ষণ দেখেও বুঝতে পারেন না। জয়েন্টে ব্যথা, উঠতে-বসতে অসুবিধে, পায়ের পাতা, আঙুল ফুলে যাওয়া, পায়ের জয়েন্টে ব্যথা, হাতে কাঁটা ফোটার মত ব্যথা হল ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মতে, চায়ের মধ্যে আদা মেশালে তার গুণগত মান অনেক বেড়ে যায়। তবে দুধ চা বানালে চলবে না। গ্রিন টি বা লিকার চায়ের মধ্যে মেশাতে হবে আদা। অনেক রোগের চিকিৎসাতেই আদা ব্যবহার করা হয়। আদা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ। যা হাতেকৃর ফোলা এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আদা সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। আর তাই নিয়ম করে আদার চা খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। আদা থেঁতো করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। বা আদার পেস্ট বানিয়ে যেখানে ব্যথা সেখানেও লাগাতে পারেন। এতে ব্যথা কমবে। আদা থেঁতো করে জলে ফেলে ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তা ছেঁকে নিয়ে খান। সারাদিনে ২ গ্লাস করে খেলে অনেক কাজ হবে।