Rice Paper Face Mask: স্কিনকেয়ারে নতুন ঢেউ! রাইস পেপার ফেস মাস্কে মিলুক গ্লাস-স্কিনের জেল্লা
Skin Care Tips: আজকাল বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার থেকে শুরু করে ত্বক নিয়ে সচেতন তরুণীদের ফেভারিট লিস্টে চলে এসেছে রাইস পেপার মাস্ক। কারণ, এটি সাশ্রয়ী, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং একেবারেই প্রাকৃতিক। এই পাতলা ভোজ্য কাগজ ত্বকেও অসাধারণ কাজ করে।

ত্বকের যত্নে নতুনত্ব চাই? প্রতিদিনের সাধারণ ফেসপ্যাক, ক্লে মাস্ক বা শিট মাস্কের বাইরে এখন ট্রেন্ডিং স্কিনকেয়ার (Skin Care) উপাদান হল রাইস পেপার ফেস মাস্ক (Rice Paper Face Mask)। অনেকেই ভাবেন, রাইস পেপার শুধু রান্নার জন্য ব্যবহার করা যায়। তেমনটা আসলে নয়। এই পাতলা ভোজ্য কাগজ ত্বকেও অসাধারণ কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন রাইস পেপার ফেস মাস্ক, এর গুণাগুণ কী আর ব্যবহার করার সঠিক উপায় কী।
কীভাবে বানাবেন রাইস পেপার ফেস মাস্ক?
- রাইস পেপার ভিজিয়ে নিন – প্রথমে বাজার থেকে রাইস পেপার কিনতে হবে। একটি বড় বাটিতে গরম জল নিন এবং কয়েক সেকেন্ডের জন্য রাইস পেপার ভিজিয়ে রাখুন।
- ফেস সাইজে তৈরি করুন – রাইস পেপার ভিজে নরম হয়ে এলে মুখের আকার অনুযায়ী কেটে নিন। চোখ, নাক আর ঠোঁটের জায়গায় কাঁচি দিয়ে হালকা ছিদ্র করে নিতে পারেন।
- পছন্দের সিরাম / প্যাক যোগ করুন – শুধু জল দিয়েও রাইস পেপার ব্যবহার করা যায়। তবে বেশি কার্যকর করতে চাইলে অ্যালোভেরা জেল, গোলাপজল, মধু, গ্রিন টি বা ভিটামিন-সি সিরাম মিশিয়ে মেখে নিতে পারেন।
- মুখে লাগান – ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। তারপর হালকা করে রাইস পেপার মাস্ক মুখে বসিয়ে দিন।
- ১৫-২০ মিনিট রাখুন – মাস্ক মুখে শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে আস্তে আস্তে তা খুলে ফেলুন।
রাইস পেপার মাস্কের গুণ —
- ডিপ হাইড্রেশন – এই মাস্ক ত্বককে গভীর ভাবে আর্দ্র রাখে। শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকে অত্যন্ত কার্যকরী।
- ব্রাইটেনিং ইফেক্ট – ট্যান দূর করে। সেইসঙ্গে স্কিন টোন সমান করে। তাই ত্বককে উজ্জ্বল দেখায়।
- অয়েল কন্ট্রোল – ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। যাদের ত্বকে ব্রণ হয়, তারা এটি ব্যবহার করলে তফাৎ নজরে পড়বে।
- রোমকূপ টাইট করে – নিয়মিত রাইস পেপার মাস্ত ব্যবহার করলে রোমকূপ ছোট হয়ে ত্বক ফার্ম হয়।
- প্রাকৃতিক গ্লো আনে – যদি কোনও ব্যক্তি নিয়মিত রাইস পেপার মাস্ক ব্যবহার করেন, তা হলে মেকআপ ছাড়াও স্কিনে হেলদি গ্লো ফুটে ওঠে।
- কেমিক্যাল ফ্রি – বাজারে পাওয়া ফেস মাস্কে থাকে অতিরিক্ত কেমিক্যাল। এই রাইস পেপার মাস্কে সেই ভয় নেই, কারণ রাইস পেপার পুরোপুরি প্রাকৃতিক।
ব্যবহার করার সঠিক উপায় —
- সপ্তাহে ২–৩ বার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।
- মাস্ক লাগানোর আগে অবশ্যই মুখ ক্লিন করে নিতে হবে, যাতে ধুলো-ময়লা না থাকে।
- মাস্ক খোলার পর হালকা টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি।
- রোদে বেরনোর আগে যদি এই মাস্ক লাগান, তা হলে ত্বক সতেজ দেখাবে।
আজকাল বিউটি ইনফ্লুয়েন্সার থেকে শুরু করে ত্বক নিয়ে সচেতন তরুণীদের ফেভারিট লিস্টে চলে এসেছে রাইস পেপার মাস্ক। কারণ, এটি সাশ্রয়ী, সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং একেবারেই প্রাকৃতিক। একবার ব্যবহার করলে বুঝবেন কেন স্কিনকেয়ার রুটিনে এর এত জনপ্রিয়তা কেন।
