AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Benefits Of Oats: ব্রেকফাস্টে ওটস খেলে শিরায় জমবে না কোলেস্টেরল, কমবে রক্তচাপও

Oatmeal Benefits: ওটসের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ থাকে অনেকটাই। থাকে বিটা গ্লুকান। আর তা শরীরের একাধিক উপকারে লাগে

Benefits Of Oats: ব্রেকফাস্টে ওটস খেলে শিরায় জমবে না কোলেস্টেরল, কমবে রক্তচাপও
কেন খাবেন ওটস
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2023 | 8:00 AM
Share

আজকাল ব্রেকফাস্টে সকলেই ওটস খান। পছন্দ না হলেও একরকম জোর করেই খেয়ে থাকেন। তবে ওটস এমন একটা খাবার যা ছোট থেকে বড় সকলেরই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ওটসের রমরমা বিদেশের বাজারে বেশি হলেও এই খাবারটি কিন্তু একদম দেশি। আমাদের দেশেই এর জন্ম আর প্রথমে তা জনপ্রিয় হয় বিতদেশের মাটিতে। মূলত পাঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশে চাষ হয় এই ওটসের। আগে এই ওটস মানুষ সেভাবে খেতে জানতেন না, সচেতন ছিলেন না এর উপকারিতা বিষয়েও। আর তাই গবাদি পশুদের খাদ্য হিসেবেই ব্যবহার করা হত এই ওটস। এখন রীতিমতো সুদৃশ্য মোড়কে ওটস বাজারে বিক্রি করা হয়, আর দামও কিন্তু নেহাত কম নয়। ওটস যে ভাবে খুশি খাওয়া যায়। দুধ, দই দিয়ে খাওয়া যায়। পায়েস হিসেবে খাওয়া যায় আবার ওটসের খিচুড়ি বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।

ওটসের মধ্যে থাকে অ্যাভেন্থ্রামাইডস নামের একরকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ায়। এই উপাদান শিরাগুলিকে শিথিল করে ফলে শিরায় রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকে।  আর ওটস হল পুষ্টির ভান্ডার। এর মধ্যে থাকে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, কপার, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেট, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ওটসের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ থাকে অনেকটাই। থাকে বিটা গ্লুকান। আর তা শরীরের একাধিক উপকারে লাগে। শরীরে এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস করতে সাহায্য করে ওটস। আর তাই ওটস খেলে হৃদরোগও কিন্তু সহজেই এড়ানো যায়।

ওটমিলে থাকে বিটা গ্লুকান যা রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসে। এছাড়াও ইনসুলিনের ক্ষরণ ঠিক রাখতেও কাজে আসে ওটস। যাদের ওজন বেশি এই কারণেই তাই তাদের রোজ ওটস খাওয়া উচিত। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই সঙ্গে সুগারও ঠিক থাকে।

যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা আজ থেকেই ওটস খাওয়া শুরু করুন তাহলে নিজেই তফাত বুঝতে পারবেন। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মলদ্বারের উপর একটা চাপ পড়ে। ওটসের মধ্যে ফাইবার থাকায় তা পাইলসের ঝুঁকি কমায়। রোজ পেটও পরিষ্কার হয়। আর তাই পাইলসের রোগীরা রোজ ব্রেকফাস্টে দুধ ওটস বা দই ওটস খেতে পারলে খুবই ভাল।