Malaika Arora Fitness Tips: ৫২-তেও বোল্ড মালাইকা আরোরা, কোন মন্ত্রে ধরে রেখেছেন চাবুক ফিগার?
যেখানে মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়, 'কুড়ি পেরলেই বুড়ি', সেখানে বাহান্নর মালাইকা সকলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রূপের ছটা ছড়িয়ে দিচ্ছেন চারিদিকে। এই বয়সে এসেও তাঁর টোনড ফিগার, গ্ল্যামার এবং এনার্জি অনেকের কাছেই ঈর্ষার।

বলিউডের অন্যতম ফিটনেস আইকন মালাইকা অরোরা (Malaika Arora)। তাঁর চাবুক ফিগার আজও সকলকে আকর্ষিত করে। আজ ২৩ নভেম্বর, তাঁর জন্মদিন। যেখানে মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়, ‘কুড়ি পেরলেই বুড়ি’, সেখানে বাহান্নর মালাইকা সকলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রূপের ছটা ছড়িয়ে দিচ্ছেন চারিদিকে। এই বয়সে এসেও তাঁর টোনড ফিগার, গ্ল্যামার এবং এনার্জি অনেকের কাছেই ঈর্ষার। তাঁর ফিটনেস রহস্য নিছক কোনও জাদু নয়, বরং কঠোর শৃঙ্খলা, সঠিক খাদ্যভ্যাস এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাত্রার ফল।
মালাইকা আরোরার ফিটনেস এবং সৌন্দর্যের মূল রহস্যগুলি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল—
১. কঠোর ওয়ার্কআউট রুটিন:
যোগাভ্যাস: মালাইকা ফিট থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি জোর দেন যোগার ওপর। এটি শরীরের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে, মাংসপেশি মজবুত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তাঁর রুটিনে বিশেষত সূর্য নমস্কার থাকে।
পিলাটেস: যোগার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত পিলাটেস করেন। যা শরীরের কোর মাসল, ভারসাম্য এবং ভঙ্গি উন্নত করতে সাহায্য করে।
স্ট্রেন্থ ট্রেনিং ও কার্ডিও: তিনি হাই ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং, ডাম্বল স্কোয়াট এবং অন্যান্য কার্ডিও এক্সারসাইজও করেন, যা ক্যালরি পোড়াতে এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
কোর-স্ট্রেংথ অনুশীলন: তলপেট, কোমর এবং উরুকে ঝরঝরে রাখতে তিনি কোর-স্ট্রেংথ অনুশীলনে বিশেষভাবে মনোযোগ দেন।
২. সুষম এবং নিয়মতান্ত্রিক খাদ্যভ্যাস:
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং: মালাইকা এক দিন অন্তর ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মেনে চলেন এবং সূর্যাস্তের পরে, অর্থাৎ সন্ধ্যা ৭টার পর কোনো খাবার খান না। এটি হজম এবং মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
ডিটক্স পানীয় দিয়ে দিনের শুরু: সকালে তিনি উষ্ণ জল, লেবু ও মধু, অথবা জিরা জল বা তাঁর বিখ্যাত ‘এবিসি জুস’ (আপেল, বিটরুট, গাজর) দিয়ে দিন শুরু করেন।
ঘরের খাবার এবং পরিমিত খাদ্যাভ্যাস: তিনি প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলেন। এবং বাড়িতে রান্না করা সাধারণ খাবার (ভাত, রুটি, ডাল, সবজি) পরিমিত পরিমাণে খান। তিনি বিশ্বাস করেন, সঠিক পরিমাণে সব খাবার খাওয়া উচিত, নিজেকে অভুক্ত রাখা একেবারেই ঠিক নয়।
ঘি ‘সুপারফুড’: মালাইকা দেশি ঘি-কে নিজের সুপারফুড মনে করেন এবং সকালে গরম জলের সঙ্গে ঘি খেতে পছন্দ করেন।
৩. মানসিক শান্তি এবং বিশ্রাম:
পর্যাপ্ত ঘুম: তিনি প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করেন। কারণ ভাল ঘুম হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং শরীরকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
হাইড্রেটেড থাকা: তিনি সারা দিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন এবং ‘ওয়াটার থেরাপি’তে বিশ্বাসী। শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার ও সতেজ রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি।
ধ্যান: শারীরিক ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক শান্তির জন্য তিনি নিয়মিত ধ্যান করেন, যা শরীর ও মনের সংযোগ বজায় রাখে।
