AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

চিনি বিষ, বদলে চায়ে কী মেশাবেন? রইল ৬ প্রাকৃতিক উপাদানের খোঁজ

Sugar Alternatives: বয়স বেশি হোক বা কম, চিনি সকলের শরীরের জন্যই বিষ। কিন্তু চিনি ছাড়া চা-ও খান না, এমন অনেকেই রয়েছেন। রাতে রুটি খাওয়ার পর সন্দেশ চাই-ই চাই। ছোট-ছোট পরিমাণে চিনি খাওয়াও আপনাকে বড় ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ এনে দিতে পারে। তা বলে কি মিষ্টি স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা করবেন? একদম নয়।

চিনি বিষ, বদলে চায়ে কী মেশাবেন? রইল ৬ প্রাকৃতিক উপাদানের খোঁজ
| Updated on: Jan 10, 2024 | 12:56 PM
Share

বয়স বেশি হোক বা কম, চিনি সকলের শরীরের জন্যই বিষ। কিন্তু চিনি ছাড়া চা-ও খান না, এমন অনেকেই রয়েছেন। রাতে রুটি খাওয়ার পর সন্দেশ চাই-ই চাই। আবার বাড়িতে কেক বানালেও মাপ করে ১-২ কাপ চিনি ব্যবহার করেন। এছাড়াও ছোটখাটো তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে অল্প চিনি মেশান। কিন্তু এই ছোট-ছোট পরিমাণে চিনি খাওয়াও আপনাকে বড় ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ এনে দিতে পারে। তা বলে কি মিষ্টি স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা করবেন? একদম নয়। বরং, চিনির বদলে এমন প্রাকৃতিক উপাদান বেছে নিন, যার স্বাদ মিষ্টি এবং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

গুড়: আখের রস দিয়ে তৈরি হয় চিনি। কিন্তু সেটা পরিশোধিত। গুড়ও তৈরি হয় আখের রস থেকে কিন্তু সেটা পরিশোধিত নয়। তাই চিনির থেকে ভাল গুড়। এতে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় মিনারেল রয়েছে। এই খাবারের গ্লাইসেমিক সূচকও কম। তাই চা কিংবা ডেজার্টে‌ গুড় মিশিয়ে খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।

খেজুর: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ফাইবারের ভরপুর এই প্রাকৃতিক ক্যান্ডি। কেক বেক করা থেকে শুরু করে স্মুদি, ডেজার্ট‌ বানাতে আপনি খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। খেজুর হজম স্বাস্থ্য উন্নত করবে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

কিশমিশ: পায়েস হোক বা চাটনি, কিশমিশ মেশালে স্বাদ বাড়বে। পাশাপাশি মিষ্টি স্বাদও পেয়ে যাবেন খাবারে। কিশমিশ ভেজানো জল খেলে হজম স্বাস্থ্যও উন্নত হবে। এছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ারও ভয় নেই।

স্টেভিয়া: স্টেভিয়া গাছের নির্যাস স্টেভিয়া। কোনও ক্যালোরি নেই এই উপাদানে। বরং, রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি। পাশাপাশি ওজনও কমায়। চা থেকে শুরু করে দই, পুডিং ইত্যাদিতে স্টেভিয়া মিশিয়ে খেতে পারেন।

মধু: চিনির বিকল্প হিসেবে অনেকেই মধুকে বেছে নেন। এতে উপকারই পাওয়া যায়। চিনির বদলে মধু স্বাস্থ্যকর বিকল্প। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও ইমিউনিটি-বুস্টিং উপাদান রয়েছে। এছাড়াও এতে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তাই চা, ফল কিংবা চাটনিতে মধু মিশিয়ে খেলে আপনারই লাভ। একাধিক রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।

ফল: চিনি বদলে খাবারে ফল—এটা শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। কিন্তু মিষ্টি স্বাদের মতো আপনার মিষ্টি খাওয়ার প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দিতে পারে। পাকা আম, কলা, আপেল, চেরি ডেজার্টে‌ ছড়িয়ে কিংবা স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।