Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গেলে বাকেট লিস্টে রাখুন নন্দা দেবীর মন্দিরকে!

নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে নন্দা দেবী বরফের চূড়ায় উঠে পবিত্র পর্বতের সাথে মিশে যান। পরে, পর্বতটিতে তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য মন্দির তৈরি হয়।

Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গেলে বাকেট লিস্টে রাখুন নন্দা দেবীর মন্দিরকে!
পঞ্চচুলির সাথে নন্দা দেবীর মন্দির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 6:13 AM

হিমাচলের গাড়োয়াল এবং কুমায়ন অঞ্চলে দেব-দেবীদের বাস। এই অঞ্চলে একাধিক দেব-দেবীর মন্দির রয়েছে। আর এই মন্দির গুলির পিছনে একাধিক পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে। মহাভারত থেকে শুরু করে একাধিক হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ থেকে এই সব মন্দির এবং দেব-দেবীর অস্তিত্বের কথা জানা যায়। এরকম একটি পাহাড়ি মন্দির হল চামোলি, পিথোরাগড় এবং ভগেশ্রী জেলার দেবী নন্দ দেবীর মন্দির।

উত্তরাখণ্ডের মুন্সিয়ারিতে অবস্থিত নন্দা দেবীর মন্দির। কথিত আছে, চামোলির চন্দা রাজবংশের রাজার মেয়ে নন্দা। সেই নন্দা বুদ্ধিমান রোহিল্লা রাজকুমারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পালিয়েছিলেন। সেই রাজকুমার নন্দার প্রেমে পাগল ছিলেন। তাঁর বাবা তাঁকে বিয়েতে দিতে অস্বীকার করায়, তিনি এই কুমায়ন রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন এবং তাঁকে পরাজিত করেন।

নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে নন্দা দেবী বরফের চূড়ায় উঠে পবিত্র পর্বতের সাথে মিশে যান। পরে, পর্বতটিতে তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য মন্দির তৈরি হয়। নন্দ দেবী ম্যাসিফের রিজের উপর দুটি চূড়া রয়েছে; পশ্চিমটি হল নন্দা এবং আরেকটি হল সুনন্দা, তাঁর বোন। আর এই পর্বতটির উচ্চতা ২৫,৬৪৩ ফুট।

স্থানীয়রা তাঁকে দেবী দূর্গার অবতার মনে করেন। তাদের দাবি নন্দা হলেন দেবী দূর্গার রাগী রূপ, তাই তাঁকে একজন রাগী দেবী বলা হয়। প্রতিটি ক্রিয়াকলাপ, তা সে গ্রামের উৎসব হোক বা একটি বিশেষ পারিবারিক অনুষ্ঠান, একটি নৈবেদ্য দিয়ে শুরু হবে যা সাধারণ পাথর, মুদ্রা এবং ফুল থেকে প্রাণী পর্যন্ত বিস্তৃত।

কথিত আছে, লক্ষ্মণ যুদ্ধক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে পড়লে, হনুমান সঞ্জীবনী ভেষজের সন্ধানে আলমোরার চামোলি জেলার দুনাগিরি পর্বতে (২৩,১৮২ ফুট) যায়। ভেষজটি শনাক্ত করতে না পেরে হনুমান দেবী নন্দার অনুমতি না নিয়েই পাহাড়ের একটি টুকরো ভেঙে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যান।

এর ফলে দেবী নন্দা রেগে যান এবং আদেশ দেন যে কেউ যদি হনুমানের নাম উচ্চারণ করে তাহলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। তাই এই অংশগুলিতে হনুমানকে উৎসর্গ করার কোনও রীতি বা চল নেই। মজার ব্যাপার হল, মনে করা হয় যে হনুমান যখন দুনাগিরি পর্বতের অংশ নিয়ে যাচ্ছিল তখন তার কিছু অংশ পথেই পড়ে গেছে। সেই অংশ তামিল নাড়ুতে অবস্থিত। তামিল নাড়ুর নাগেরকোয়েলের কাছে আজও সেই অংশটি বিদ্যমান বলে মনে করা হয়। এটি জনপ্রিয় ভাবে মারুধু ভাজ মালাই নামে পরিচিত।

পৌরাণিক কাহিনি যাই হয়ে থাকুক না কেন, এই পবর্তের সৌন্দর্য্য অতুলনীয়। এই নন্দা দেবীর মন্দির থেকে পঞ্চচুলার চূড়াও দেখা যায়। উত্তর ভারতের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র হল এই নন্দা দেবীর মন্দির। মুন্সিয়ারি বেড়াতে গেলে প্রত্যেক পর্যটকের বাকেট লিস্টে থাকে এই স্থান।

আরও পড়ুন: ভারতীয় পর্যটকদের জন্য সুখবর! ‘Buy one get one free’-র দুরন্ত অফার দিচ্ছে এই দেশের এয়ারলাইন্স