Toxicpanda: চেনা অ্যাপের ছবি দিয়ে প্রতারণা! ‘বিষাক্ত পান্ডা’র হানায় লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়া যাচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের
Toxicpanda: সাইবারসিকিউরিটি ফার্ম ক্লিফির থ্রেট ইন্টেলিজেন্স টিমের মতে, টক্সিকপান্ডার কবলে পড়েছে ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে ১৫০০ বেশি মানুষ।
সাইবার জালিয়াতির নতুন নাম ‘টক্সিক পান্ডা’। নতুন এই ট্রোজেন ম্যালওয়ার সফটওয়্যর ব্যবহার করেই চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার জালয়াতি। বর্তমানে যা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। এই ভাইরাস গুগল ক্রোম এবং ব্যাঙ্কিং অ্যাপের মতো জনপ্রিয় অ্যাপের ছদ্মবেশে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
সাইবারসিকিউরিটি ফার্ম ক্লিফির থ্রেট ইন্টেলিজেন্স টিমের মতে, টক্সিকপান্ডার কবলে পড়েছে ইউরোপ এবং ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে ১৫০০ বেশি মানুষ।
গবেষকদের মতে, নতুন এই ভাইরাস ব্যবহার করে অপরাধীরা আর্থিক দুর্নীতি চালাচ্ছে। এমনকি এই ‘টক্সিক পান্ডা’ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাঙ্কিং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিয়ে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা তুলে নিতে পারে। সবচেয়ে বড় ব্যপার বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসে এই ম্যালওয়ার ভাইরাস ব্যবহার করে আপনার ডিভাইস হ্যাক করতে পারে সাইবার অপরাধীরা।
এই খবরটিও পড়ুন
‘টক্সিক পান্ডা’ জনপ্রিয় অ্যাপগুলি যেমন গুগল ক্রোম, ব্যাঙ্কিং অ্যাপের মতো অ্যাপগুলির ছদ্মবেশে প্রতারণা করে। ফলে ব্যবহারকারী বুঝতেও পারে না সে সঠিক অ্যাপ ব্যবহার করছেন নাকি প্রতারকদের বানানো ফাঁদে পা দিচ্ছেন। বুঝতে না পেরে অজান্তেই তাই নানা রকম অনুমতি দিয়ে দেন ব্যবহারকারীরা আর তারপরেই পড়তে হয় বিপদে।
টক্সিকপান্ডা কীভাবে স্মার্টফোনকে সংক্রমিত করে?
টক্সিকপান্ডা প্রাথমিকভাবে সাইডলোডিংয়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যখন কেউ গুগল প্লে স্টোর বা গ্যালাক্সি স্টোর-এর মতো অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোরের বাইরের উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে। সাইবার অপরাধীরা ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করার জন্য ব্যবহারকারীদের প্রতারণা করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য জাল অ্যাপ পেজ তৈরি করে। তবে বড় প্রতিষ্ঠিত অ্যাপ স্টোরগুলিতে এই সব অ্যাপ থাকে না। গবেষকদের ধারণা এই অ্যাপ উদ্ভুত হয়েছে চীনের হংকং থেকে।