Uttarakhand: পুজোর আগে ট্রেকারদের জন্য সুখবর! খুলে দেওয়া হল ১০টি নয়া ট্রেকিং রুট

Boosting Tourism: পরিবেশ রক্ষার্থে সব দিক পর্যালোচনা করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পর্বতারোহীদের দল প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা আগে জমা দিতে হবে।

Uttarakhand: পুজোর আগে ট্রেকারদের জন্য সুখবর! খুলে দেওয়া হল ১০টি নয়া ট্রেকিং রুট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 7:05 PM

যাঁরা পাহাড়ে ট্রেকিং করতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য দারুণ সুখবর। ট্রেকার ও পর্বতারোহীদের জন্য ১০টি উচ্চ-উচ্চতার ট্রেকিং রুট (High-Altitude Trekking Routes) ও ৩০টি আনস্কেলড শৃঙ্গের  (Unscaled Peaks)  চড়ার দরজা খুলে দিল উত্তরাখণ্ড সরকার (Uttarakhand)। পর্যটন শিল্পে জোয়ার আনতে এমন পদক্ষেপ কিন্তু বেশ প্রশংসনীয়। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই শৃঙ্গগুলির বেশিরভাগই ৬ হাজার মিটারের বেশি উচ্চাতার। পর্বতারোহীদের জন্য বেশ কয়েকটি শৃঙ্গে অভিযান করার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্য়ে রয়েছে ঋষি পাহাড় (৬,৯৯২ মিটার), গারুর পর্বত (৬,৫০৪ মিটার), দেবতলি (৬,৭৮৮ মিটার), মান্দা ২ (৬,৫২৯ মিটার), মান্দা ৩ (৬,৫১০মিটার), ঋষি কোট (৬,২৩৬ মিটার) ), অ্যাভালাঞ্চ (৬,৪৪৩ মিটার), কালী ধাং (৬,৩৭৩ মিটার), এবং ভিরগু পর্বত (৬,০৪১ মিটার)।

এছাড়াও রয়েছে ১০টি নয়া ট্রেকিং রুট। যার মধ্য়ে রয়েছে নন্দা লাপাক, ইয়ান বুক, রতাঙ্গারিয়ান, মহালয় পর্বত, ভাগনিউ, পাওয়াগড়, লামচির, লামচির দক্ষিণ, নর পর্বত ও নারায়ণ পর্বত। উত্তরাখণ্জ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাষ্মীর জুড়ে ১৩৭টি হিমালয় পর্বতশৃঙ্গ খোলার জন্য ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকার একটি সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্তেই এক আশার আলো দেখা যায় । ট্রেকার, পর্বতারোহীদের কাছে এই অঞ্চল অত্যন্ত প্রিয় ও স্বর্গরাজ্য বলা যেতে পারে।

অন্য়দিকে, উত্তরাখণ্ডে এই ধরণের ৫১টি শৃঙ্গ ও ট্রেক খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দেশের বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশের নিরাপত্তার জন্য এই পর্বতশৃঙ্গগুলি মাথা উঁচু করে বিদ্যমান। তাই সবদিক খেয়াল রেখে শেষ পর্যন্ত ১১টি চূড়াতে পর্বতারোহীদের আওতার বাইরের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সচিব ধরম সিং মীনা বনদপ্তরের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে জানিয়েছেন, পর্বতশৃঙ্গগুলি নন-বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য দিয়ে ভরিয়ে না তোলা হয় তা আগে নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষার্থে সব দিক পর্যালোচনা করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পর্বতারোহীদের দল প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা আগে জমা দিতে হবে। এরপর ফেরত আসার সময় সেই টাকা আবার ফেরত পেয়ে যাবেন। পর্বতারোহন ও ট্রেকিং কার্য়ক্রম স্থানীয় ইকো-ডেভেলপমেন্ট কমিটির সহায়তায় করা হবে। যার ফলে অত্যন্ত প্রত্যন্ত ও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জীবিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়া এলাকায় আর্থিক উন্নয়নও হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, প্রতি ১০জন সদস্যের সঙ্গে শুধুমাত্র ১২টি দল বছরে মাত্র ২ বার শৃঙ্গে অভিযান করতে পারবে। সেখানে বনবিভাগ ও উত্তরাখণ্ড পর্বতারোহন কমিটির দ্বারা নির্ধারিত সমস্ত নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন।

উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের প্রধান সচিব আর কে সুধাংশু বলেছেন, এই পদক্ষেপটি আরও পর্বতারোহীদের আকৃষ্ট করে তুলবে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামবাসীদের আয় বৃদ্ধি হবে, এলাকায় উন্নয়ন ও হোম স্টের সংখ্যাও বাড়বে। পর্যটন শিল্পে এ এক অন্য় দিশা দেখাল উত্তরাখণ্ড।