Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bardhaman: একদিনের ছুটিতে যেতে পারেন বর্ধমান, বাংলার ইতিহাসের মুখোমুখি হবেন এই জেলায়

Weekend Trips: হাতে যদি একদিনও ছুটি থাকে, তাহলে কোন জেলায় যাবেন? কাছেপিঠের মধ্যে যেতে পারেন বর্ধমানে। বাংলার ইতিহাসে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বর্ধ‌মানের। পূর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে বর্ধমানে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যা ঘুরে দেখা দরকার।

Bardhaman: একদিনের ছুটিতে যেতে পারেন বর্ধমান, বাংলার ইতিহাসের মুখোমুখি হবেন এই জেলায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2023 | 11:48 AM

বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। হাতে দু’দিনের ছুটি পেলেও কাছেপিঠে থেকে ঘুরে আসতে মন চায়। কলকাতার আশেপাশে উইকএন্ড ডেস্টিনেশনের অভাব নেই। পর্যটকদের মধ্যে বরাবরই পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ ভ্রমণের চাহিদা রয়েছে। তার সঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং জেলায় সারা বছর পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু হাতে যদি একদিনও ছুটি থাকে, তাহলে কোন জেলায় যাবেন? কাছেপিঠের মধ্যে যেতে পারেন বর্ধমানে। বাংলার ইতিহাসে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বর্ধ‌মানের। পূর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে বর্ধমানে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যা ঘুরে দেখা দরকার। কী-কী দেখবেন, রইল টিপস।

কার্জ‌ন গেট: বর্ধমান শহরের প্রবেশদ্বার বলা হয় এই কার্জন গেটকে। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড ধরে বর্ধমান শহর গেলে এই গেট পেরিয়েই আপনাকে ঢুকতে হবে। বিসি রোড ও জিটি রোডের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই গ্রেটটি। ১৯০৩ সালে বর্ধমানের রাজপরিবারের তৎকালীন রাজা বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে এই গেট তৈরি করা হয়েছিল। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড‌ কার্জনের বর্ধমান সফরের সময় গেটটির নাম দেওয়া হয় ‘কার্জন’। যদিও স্বাধীনতার পর এর নাম হয় ‘বিজয় তোরণ’।

১০৮ শিব মন্দির: কালনার ১০৮ শিব মন্দির পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ১৭৮৮ সালে মহারাজা তিলোকচন্দ্রে স্ত্রী মহারানি বিষ্ণান কুমারী এই শিব মন্দির তৈরি করেছিলেন। এখানে ১০৮টি শিব মন্দির আয়তক্ষেত্রাকার ভাবে মালার আকারে অবস্থিত। মন্দিরের সঙ্গে রয়েছে দু’টি বিশাল আকারের জলাশয়। আটচালা বিশিষ্ট এই মন্দির বর্ধ‌মানে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ১০৮ শিব মন্দিরের পাশাপাশি ঘুরে নিতে পারেন কালনা রাজবাড়ি। অম্বিকা কালনার অতীতের প্রতিনিধিত্ব করে এই বাজবাড়ি।

দার-উল বাহার ও হাওয়া মহল, গোলাপবাগ: বর্ধমান শহরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত গোলাপবাগ। ১৮৮৩ সালে রাজা বিজয় চাঁদ মাহাতাব প্রতিষ্ঠিত করেন এই গোলাপবাগ। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত গোলাপবাগ পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে।

সর্বমঙ্গলা মন্দির: ১৭০২ সালে মহারাজা কীর্তিচাঁদ তৈরি করেছিলেন এই মন্দির। বর্ধমানের ডিএন সরকার রোডের উপর অবস্থিত এই মন্দির। এখানে দেবী সর্বমঙ্গলার মূর্তি প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো। বর্ধমানের এই মন্দির অবিভক্ত বাংলার প্রথম নবরত্ন মন্দির।

খ্রিষ্ট গির্জা: মন্দির ছাড়াও এই জেলায় রয়েছে চার্চ। ১৮১৬ সালে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বকালে এই চার্চ তৈরি করা হয়। কার্জন গেটের কাছেই অবস্থিত এই গির্জা। এটি বর্ধমানের সবচেয়ে পুরনো চার্চ।