লকডাউনে এই শহরের জলাশয়ে শোভা বাড়াচ্ছে ফ্লেমিংগোর দল, দেখতে যাবেন নাকি!
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ের পড়ার পরই দেশের সর্বত্র এখন হাহাকার। বিধ্বস্ত সাধারণ থেকে সেলেব্রিটিরা। করোনার নয়া সংক্রমণের দাপটে সব রাজ্যেই লকডাউনের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
একবছর পর, ফের ঘরবন্দি দশা কাটাচ্ছে মানুষ। এতে আর কারোর উপকার হোক না কেন, মানুষের নাছোড় চাহিদা ও অমানবিক অত্যাচারের থেকে হাঁফ ছেড়ে মুক্ত জীবন কাটাচ্ছে প্রকৃতি ও বন্য প্রাণী ও পাখি-সব। দূষণ আর মানুষের জেদি ইচ্ছের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য রয়েছে বন্যজীবজন্তুরা। জঙ্গলের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে এই পাষাণদের কারণে।
করোনার জেরে ফের ঘরবন্দি মানুষ। তাই নিজের আপন বশে মেতে উঠেছে দেশি-বিদেশি পাখিরা। এই লকডাউনের সময় মানুষের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্তি দশা কাটাচ্ছে তারা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলেও তাতে পাখি-জলের প্রাণী বা গাছপালাদের কোনও দুঃখ নেই। কারণ সম্প্রতি মুম্বইয়ের নীল সমুদ্রে ডলফিনের একটি দলের ফূর্তির খেলা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।, চণ্ডিগড়ের একটি বসতিতে চিতাবাঘের দেখা মিলেছে। নেপালের রাস্তায় আপন খেয়ালে হেঁটে বেড়াচ্ছে বিরল একশৃঙ্গ গণ্ডার। সম্প্রতি নভি মুম্বইয়ের উপকূলের কাছে এক ঝাঁক ফ্লেমিংগোর দেখা মিলেছে। একটি বিরাট জলাশয়কে ঘিরে সাদা- হাল্কা গোলাপির সুন্দরী ফ্লেমিংগোর বিরাট পরিযায়ী পাখির দলকে ক্যামেরাবন্দি করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডারউইনের আর্চ এখন বিবর্তনের স্তম্ভ! নেটমাধ্যমে পোস্ট করা ছবি নিয়ে উত্তাল বিশ্ব
নেরুলের সিউড, কমপ্লেক্সের বাসিন্দা এই বিরল ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন। মানুষের অবিরত চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে জলাশয়কে ঘিরে দেখা গিয়েছে বিপুল সংখ্যক ফ্লেমিংগো। গত বছরও তারা দল বেঁধে ওই জলাশয়ের ধারে পাড়ি জমিয়েছিল। এবারেও ব্যাতিক্রম হল না।
ওই বাসিন্দার দাবি, তালাওয়ে জলাশয় ও টিএস চানক্য জলাশয়ের একাংশে গত ২ বছর ধরে এই জনপ্রিয়, পরিযায়ী পাখিরা দলবদ্ধ হয়ে আসছে। দুটির কোনওটাই মানুষের সৃষ্ট জলাশয় নয়। সিআইডিসিও ও আরবান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, ওই এলাকাটি ফ্লেমিংগো সংরক্ষিত এলাকা বলে ঘোষিত করা হোক।
আরও পড়ুন : অজানা বাঁধ-পাহাড়-জঙ্গল-জলপ্রপাতে ঘেরা এক রহস্যময় অচেনা ওড়িশা!
মহারাষ্ট্রে বেড়াতে গেলে এবার এই এলাকায় অবশ্যেই ঢুঁ মেরে আসবেন। চাক্ষুস করবেন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যে। এমনটাও হতে পারে যে, চলতি বছরেই এই জায়গাটিতে পর্যটকদের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলল রাজ্য সরকার। এমন বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে কে না চায়!