Dudhsagar Waterfalls: সবুজ পাহাড় বেয়ে নামছে দুধ সাদা জল, তারই মাঝে ছুটছে ট্রেন! ভারতের কোথায় অবস্থিত এই জলপ্রপাত?
Goa: ঘন সবুজ পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নেমে আসছে জলপ্রপাত। মাঝে একটি ব্রিজ। এরই মধ্যে দিয়ে ছুটে চলেছে একটি ট্রেন। না, এটা কোনও ইউরোপীয় দেশের দৃশ্য নয়।
Monsoon Destination: গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি জলপ্রপাতের ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ঘন সবুজ পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নেমে আসছে জলপ্রপাত। মাঝে একটি ব্রিজ। এরই মধ্যে দিয়ে ছুটে চলেছে একটি ট্রেন। না, এটা কোনও ইউরোপীয় দেশের দৃশ্য নয়। এটা গোয়া।
বর্ষায় ভারতে যে সব ডেস্টিনেশনগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হল গোয়া। আর গোয়া নামটার সঙ্গেই ভেজে ওঠে, পুরনো গোয়ার স্থাপত্য, সমুদ্র সৈকত, বাইক রাইডিং, বিচ পার্টি ইত্যাদি। কিন্তু পশ্চিমঘাটের কোলে এমনও সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে তা হয়তো অনেক ভ্রমণপিপাসুর কাছেই অজানা। বর্ষার গোয়াকে একটি উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে গিয়েছে এই জলপ্রপাতের ভিডিয়োটি।
View this post on Instagram
জলপ্রপাতটির নাম দুধসাগর। এটি গোয়া ও কর্ণাটক সীমান্তে অবস্থায়। যদি উচ্চতার দিক দিয়ে বিচার করা হয়, তাহলে এটি ভারতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ইন্টারনেটে ‘দুধসাগর’ নামে ভাইরাল হলেও এটি ‘সি অফ মিল্ক’ নামেও পরিচিত। যদিও এর পিছনে রয়েছে অন্য এক লোককথা।
স্থানীয়দের মতে, প্রাচীনকালে এই জলপ্রপাতের জায়গায় ছিল এক রাজপ্রাসাদ। ওই প্রাসাদের সরোবরে রাজকুমারী স্নান সেরে সোনার পাত্রে দুধ পান করতেন। একদিন ওই রাজকুমারীকে স্নান করার সময় নগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলেন এক রাজকুমার। নিজেকে আড়াল করার জন্য সোনার পাত্রে রাখা দুধ নিজের গায়ে ঢেলে ফেলেন রাজকুমারী। সেই দুধই নাকি এখন জলপ্রপাতের মতো নেমে আসে পাহাড়ের কোল দিয়ে।
যদিও জলপ্রপাতের স্বচ্ছতার জন্য এটি দুধসাগর। পাহাড়ি নদীর জল পাথরের ধাক্কা খেতে খেতে নেমে আসে। এর ফলে তৈরি ফেনা। যার জন্য এই জলপ্রপাত দেখতে লাগে দুধের মতো সাদা।
কয়েকদিন আগেপর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন দুধসাগরের আর একটি ভিডিয়ো। তিনি লিখেছেন, ‘স্বর্গ পৃথিবীর সঙ্গে মিলিত হয়! গোয়া এবং কর্ণাটকের বেলগাঁওয়ের রেলপথের মধ্যে অবস্থিত, দুধসাগর জলপ্রপাত দেশের সবচেয়ে সুন্দর, দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি। আপনি যদি প্রকৃতির নিজস্ব অলৌকিকতায় মুগ্ধ হতে চান তবে এখানে আসুন।’
দুধসাগর কোনও স্টেশন না হওয়া সত্ত্বেও পর্যটকদের জন্য এই ট্রেনটি এখানে থামে। পুনে কিংবা বেলগাঁও থেকে পূর্না এক্সপ্রেস রওনা দেয় দুধসাগরের উদ্দেশ্যে। প্রতি শনিবার ও রবিবার এই ট্রেনটি ছাড়ে। সকাল ১১টায় দুধসাগর পৌঁছায় আবার বিকাল ৫টায় গোয়া এক্সপ্রেস দুধসাগর পৌঁছায় ওই পর্যটকদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য।
ট্রেকিংয়েরও সুযোগ রয়েছে দুধসাগরে। এর জন্য আপনাকে ওই পূর্না এক্সপ্রেসে রওনা দিয়ে নামতে হবে কাস্তারেক স্টেশনে। এবার রেলওয়ে ট্রাক ধরে ট্রেকিং শুরু করুন। কাস্তারেক স্টেশন থেকে দুধসাগর জলপ্রপাতের দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। ট্রেক করে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৪-৫ ঘণ্টা। বর্ষায় যদি গোয়া যাওয়ার প্ল্যান করেন তাহলে অবশ্যই বাকেটলিস্টে রাখুন এই দুধসাগর জলপ্রপাতকে।