Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটন শিল্পে নতুন চমক! উদ্বোধন হল খোলা আকাশের নীচে এশিয়ার প্রথম ভাসমান প্রেক্ষাগৃহ

এমন যদি হত আপনি খোলা আকাশের নীচে, হিমালয়ে কোলে বসে সিনেমা দেখতে পাচ্ছেন, তাহলে কেমন লাগত? না, মোবাইল স্ক্রিনে নয়, প্রেক্ষাগৃহে বসে। তবে আসল চমক রয়েছে অন্য জায়গায়। ভারত তথা এশিয়ায় উদ্বোধন হল প্রথম ভাসমান প্রেক্ষাগৃহ।

Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটন শিল্পে নতুন চমক! উদ্বোধন হল খোলা আকাশের নীচে এশিয়ার প্রথম ভাসমান প্রেক্ষাগৃহ
ডাল লেক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2021 | 9:14 PM

এমন যদি হত আপনি খোলা আকাশের নীচে, হিমালয়ে কোলে বসে সিনেমা দেখতে পাচ্ছেন, তাহলে কেমন লাগত? না, মোবাইল স্ক্রিনে নয়, প্রেক্ষাগৃহে বসে। তবে আসল চমক রয়েছে অন্য জায়গায়। ভারত তথা এশিয়ায় উদ্বোধন হল প্রথম ভাসমান প্রেক্ষাগৃহ। কাশ্মীরে হিমালয়ের কোলে, খোলা আকাশের নীচে ডাল লেকের শিকারোয় বসে আপনি সিনেমা দেখতে পারবেন। যাকে এক কথায় বলা যেতে পারে, খোলা আকাশের নীচে ভাসমান প্রেক্ষাগৃহ।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত ডাল লেক এখন প্রথম খোলা আকাশের ভাসমান প্রেক্ষাগৃহ। এই নতুন উদ্যোগটি সপ্তাহব্যাপী আইকনিক সপ্তাহ উদযাপন শেষে করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব অরুণ কুমার মেহতা এই উন্মুক্ত ভাসমান থিয়েটারের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনে একটি শিখরা র‍্যালি দেখা যায়, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা কাশ্মীরি গানে গান ও নাচ করেন।

কাশ্মীরের ডাল লেক, এর সৌন্দর্য এবং অনন্যতার জন্য পর্যটনদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। উপরন্ত দেশের একটি মাত্র ভাসমান বাজার হিসাবেও পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে ডাল লেক। এবার এই পর্যটন কেন্দ্রে যোগ হল আরেকটি আকর্ষণ। মনে করা হচ্ছে, এই উপত্যকায় সবেচেয়ে মনোরম জায়গার মধ্যে একটি ডাল লেকে যোগ হল আরেকটি অতিরিক্ত সুবিধা – সিনেমা হল। এটাও ধারণা করা হচ্ছে যে, এই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে শিল্পপ্রেমীদের মধ্যে।

সপ্তাহব্যাপী যে আইকনিক সপ্তাহ উদযাপনটি চলছিল তার শেষ হয় বলিউডের সিনেমা ‘কাশ্মীর কি কালী’ দেখিয়ে। এই অনুষ্ঠানের থিয়েটারে উপস্থিত ছিলেন কাশ্মীরের বাসিন্দা এবং এই অঞ্চলে বেড়াতে আসা একাধিক পর্যটকরা। শর্মিলা ঠাকুর, এবং শাম্মি কাপুর অভিনীত ‘কাশ্মীর কি কালী’ চলচ্চিত্রটি ১৯৬৪ সালে মুক্তি পায়। সেই সময় কাশ্মীরে শুটিং হয়েছিল এই সিনেমাটি। এই সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘দিওয়ানা হুয়া বাদল’ -এর শুটিং হয়েছিল ডাল লেকের নেহরু পার্কে।

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য সচিব অরুণ কুমার মেহতা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “প্রথম থেকেই শ্রীনগরের এই ডাল লেক পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পর্যটকরা কাশ্মীরে ঘুরতে এলে অবশ্যই ডাল লেকে শিকারা ভ্রমণ করেন। তাই এই ভ্রমণকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে এই ধরনের উদ্যোগ। আশা করা যায়, এর ফলে কাশ্মীরের পর্যটন শিল্প উপকৃত হবে।”

পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব সরমাদ হাফিজ বলেন, “সন্ধ্যার কার্যক্রমের জন্য আমাদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উন্মুক্ত বাতাসের ধারণাটি বেশ অনন্য, এই বিশ্বের কোথাও পাওয়া যায় না। এটি কাশ্মীরের পর্যটনকে ব্যাপকভাবে সুবিধা দেবে। শিকারা, হাউসবোট মালিক, হোটেল শিল্প খোলা হাতে পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর কোভিড-১৯ দৃষ্টিকোণ থেকে নিরাপদ, যেহেতু পুরো পর্যটন শিল্পের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে গেছে। শিল্প দ্বারা কোভিড প্রোটোকলগুলিতে বিভিন্ন ক্ষমতা-নির্মাণ কর্মসূচি করা হয়েছিল। যেহেতু শীত শীঘ্রই আসছে, আশা করি দেশ ও বিশ্বের লোকেরা জম্মু ও কাশ্মীরে  পরিদর্শন করবেন।”

পর্যটন শিল্পে নিযুক্ত স্থানীয়দের জন্যও এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ। কারণ এখানে যত বেশি পর্যটক আসবে তত বেশি আয়ের সুযোগ। এই রাজ্যের একাংশ পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাই আশা করা হচ্ছে, খোলা আলকাশের নীচে ভাসমান প্রেক্ষাগৃহ এই শিল্পে বিচিত্রতা আনবে।

আরও পড়ুন: ভ্রমণ স্থান হিসাবে বিশ্বের সেরা রাজধানীর তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করল নয়া দিল্লি