Honeymoon Destination: মধুচন্দ্রিমার জন্য সস্তার ডেস্টিনেশন খুঁজছেন? পকেটে ৫ হাজার নিয়ে ঘুরে আসুন দারাগাঁও

Kalimpong: দারাগাঁও পৌঁছে আপনারও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে মন চাইবে। ছবির মতো সাজানো গ্রাম। দু'পাশে পাইনের সারি।

Honeymoon Destination: মধুচন্দ্রিমার জন্য সস্তার ডেস্টিনেশন খুঁজছেন? পকেটে ৫ হাজার নিয়ে ঘুরে আসুন দারাগাঁও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 11:19 AM

বন্ধু, পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ আলাদা। কিন্তু বিয়ের পর প্রথম দু’জনে বেড়াতে যাওয়ার রোমাঞ্চই আলাদা হয়। প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেলে সমীকরণও একটু বদলে যায়। নতুন দায়িত্বও যোগ হয়। এই সব কিছুর মাঝে একটু নিজেদের জন্য বের করে নেওয়া জরুরি। তাছাড়া মধুচন্দ্রিমায় পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা বাঙালিদের মধ্যে বরাবরই বেশি। কিন্তু এখন আর সেই তালিকা ‘দি-পু-দা’ নেই। তবে, বিয়েতে লাখ খানেক টাকা খরচের পর, পকেটে টান একটু পড়েই। তাই হানিমুনের জন্য সস্তায় পুষ্টিকর জায়গার খোঁজ করেন বেশিরভাগ দম্পতি। এই রাজ্যেই এমন জায়গা থাকতে অন্য কোনও জায়গার কথা কেন ভাবছেন?

দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলো ধীরে ধীরে পর্যটনমহলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, তারই মধ্যে রয়েছে দারাগাঁও। কালিম্পং জেলার অন্তর্গত ছোট্ট পাহাড়ি দারাগাঁও। যদিও কালিম্পং ছাড়িয়ে আরও ২০ কিলোমিটার মতো যেতে হবে। পাইনের ঘন জঙ্গল পেরিয়ে উঠতে হবে উপরে। পথে পড়বে রামধুরা। রামধুরা ফেলে ডান দিকের রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে পৌঁছে যাবেন ইচ্ছেগাঁও। কিন্তু আপনার ঠিকানা দারাগাঁও। রামধুরা থেকে সোজা গেলেই ১০ মিনিটের পথ দারাগাঁও।

দারাগাঁও পৌঁছে আপনারও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে মন চাইবে। ছবির মতো সাজানো গ্রাম দারাগাঁও। দু’পাশে পাইনের সারি। কাঠের বাক্সবাড়ি দিয়ে সাজানো গোটা গ্রাম। যদিও হিমালয়ের কোলে এমন গ্রামের অভাব নেই। তবু দারাগাঁও অনন্য। পূর্ব হিমালয়ের চোখ জুড়ানো দৃশ্য দেখার জন্য দারাগাঁওয়ের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই গ্রামের কোলে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখতে পাবেন। বরং, কাঞ্চনজঙ্ঘার গোটা রেঞ্জটাই দেখা যায় এই গ্রাম থেকে।

পর্যটকদের ভিড় এখানে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় না। হোমস্টের সংখ্যাও হাতে গোনা। সুতরাং, কোলাহল নেই এখানে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সকাল থেকে এখানে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পাওয়া যাবে। তার সঙ্গে মেঘেদের আনাগোনাও রয়েছে। এই গ্রামে বসে দেখা যাবে নীচে দিয়ে বয়ে চলা তিস্তাকেও। দারাগাঁও থেকে ঘুরে নিতে পারে সিলেরি গাঁও, রামিতে ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে রামধুরাও খুব একটা দূরে নয়। দারাগাঁও থেকে দারা বাংলো হাঁটা পথ। এখানেও রাত্রিযাপন করা যায়।

সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গে দার্জিলিং ও সিকিমের পাহাড়ের আলো জ্বলে ওঠে। দারাগাঁও থেকে গ্যাংটক, রাবাংলার পাহাড় দেখা যায়। তবে, দারাগাঁও যাওয়ার সেরা সময় হল শীতকাল। গ্রামজুড়ে কমলালেবুর বাগান। শীতে এলে গাছভর্তি কমলালেবু দেখার সুযোগ রয়েছে। অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে এলেই ভাল। তাছাড়া বছরের যে কোনও সময় আপনি এখানে ছুটি কাটাতে আসতে পারেন।