Dooars: তিস্তার খরস্রোতার জল স্পর্শ করতে পাড়ি দিন মংপংয়ে, সেবক রোড থেকে মাত্র ৩০ মিনিট

Offbeat Destination: মহানন্দা অভয়ারণ্য ছাড়াও মংপংয়ের সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে খরস্রোতা তিস্তায়। সিকিমের চিতামু হ্রদ থেকে তিস্তা ২০০ কিলোমিটার পথ বয়ে এসে পৌঁছছে মংপংতে। মংপংয়ের খুব কাছেই করোনেশন সেতু। তবে, মংপংয়ের কাছে তিস্তা খরস্রোতা।

Dooars: তিস্তার খরস্রোতার জল স্পর্শ করতে পাড়ি দিন মংপংয়ে, সেবক রোড থেকে মাত্র ৩০ মিনিট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2023 | 11:04 AM

বর্ষা আসতে এখনও মাস দেড়েক দেরি। কিন্তু বর্ষাকালে ভ্রমণের প্ল্যান করলে হাতে বেশি সময় বাকি নেই। অন্তত মাস দুয়েক আগে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়, হোটেল বুক করতে হয়। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হল, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ের উপর ধস নামার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী পাহাড়ি নদীতে হরকা বান আসারও ভয় থাকে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই বেছে নিতে হয় মনসুন ডেস্টিনেশন (monsoon destination)। ডুয়ার্সের মংপং হল, সেই জায়গা যেখানে আপনি নিশ্চিন্তে বর্ষায় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন।

পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে স্তিতা। কিছুটা দূর এগোলেই মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ডুয়ার্সে প্রবেশের মুখেই রয়েছে মংপং। শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মংপং। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগোলেই সেবক করোনেশন ব্রিজ। তারপরেই দেখা মিলবে তিস্তার। চারদিক ঢাকা ঘন সবুজ জঙ্গলে। পাকদণ্ডী পথ ধরে যেতে থাকলেই পৌঁছে যাবেন মংপং। এই পাহাড়ি জনপদে পৌঁছে আপনি শহুরে জীবনযাত্রা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।

ডুয়ার্সের অফবিট ডেস্টিনেশন এই মংপং। তাই এখানে খুব একটা বাঙালি পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করবেন না। বেশিরভাগ পর্যটক ডুয়ার্স ও সিকিম যাওয়ার পথে মংপংতে চা-জলখাবার খেতে নামেন। খুব একটা রাত্রিযাপনের চল নেই মংপংতে। কাছেই মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। তাই মংপংয়ের কোলে বসে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির। শীতের মরশুমে মধ্য এশিয়া ও লাদাখ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরিযায়ী পাখিও আসে এই মংপংতে। বর্ষায় তাদের দেখা নাও মিলতে পারে। পাখিদের কলতানই মংপংয়ের শোভা বাড়িয়ে তোলে।

মহানন্দা অভয়ারণ্য ছাড়াও মংপংয়ের সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে খরস্রোতা তিস্তায়। সিকিমের চিতামু হ্রদ থেকে তিস্তা ২০০ কিলোমিটার পথ বয়ে এসে পৌঁছছে মংপংতে। মংপংয়ের খুব কাছেই করোনেশন সেতু। তবে, মংপংয়ের কাছে তিস্তা খরস্রোতা। সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়, তিস্তা আর ঝর্না—এই সব নিয়েই গড়ে উঠেছে মংপং। এছাড়া মংপং থেকে ঘুরে নেওয়া যায় চালসা, মুর্তি, বিন্দু ও ঝালংয়ের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলো। মংপং থেকে ৭ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে, ওশাবাড়ি চা বাগান। আর একটু দূর এগোলেই লিস নদী। বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে এই লিস। এছাড়া রয়েছে ঘিস ও তারখোলা নদী। এই তাখোলা নদীতে রয়েছে র‍্যাফটিং, মাছ ধরার সুবিধা। অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর মংপং। এত কিছু মজা নিতে এক রাত কাটাতেই হবে মংপংয়ে।