AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mirik: ডাল লেকের আমেজ উপভোগ করুন বঙ্গে বসেই! এবার মিরিকের হ্রদে চলবে শিকারা

Darjeeling: পাহাড়, ঘন জঙ্গল আর হ্রদ- এই তিনের সঙ্গমে মিরিক হয়ে উঠেছে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

Mirik: ডাল লেকের আমেজ উপভোগ করুন বঙ্গে বসেই! এবার মিরিকের হ্রদে চলবে শিকারা
মিরিকের সুমেন্দু হ্রদে এবার চলবে শিকারা
| Edited By: | Updated on: May 04, 2022 | 10:04 AM
Share

দার্জিলিং গেলে একটা দিন মিরিকে (Mirik) কাটিয়ে যান অনেকেই। এই মিরিকের প্রধান আকর্ষণ হল মিরিক লেক। পাহাড়ে ঘেরা এই ছোট্ট জনপদে যে দিকে তাকাবেন সবুজ আর সবুজ। আর এর মাঝে রয়েছে সুমেন্দু হ্রদ। পাহাড়, ঘন জঙ্গল আর ঝিল- এই তিনের সঙ্গমে মিরিক হয়ে উঠেছে ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spots)। প্রথম থেকেই এই সুমেন্দু হ্রদে বোটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এবার এখানে যোগ হয়েছে নতুন সংযোজন। চলতি বছর থেকে মিরিকের এই জনপ্রিয় হ্রদে শুরু হয়েছে শিকারা পরিষেবা। এখন থেকে বোটিংয়ের পাশাপাশি শিকারায় চেপে উপভোগ করতে পারবেন মিরিকের প্রাকৃতিক পরিবেশ।

গত দু’ বছরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছিল পাহাড়ের পর্যটন শিল্প। দেখতে গেলে বেশির ভাগ পাহাড়ি জনপদের আর্থিক উন্নয়নের পথ হল ওই অঞ্চলের পর্যটন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলা। যদিও এই দিক দিয়ে মিরিক অনেক উন্নত এবং পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এবার মিরিকের পর্যটন ব্যবস্থাকে আরও চাঙ্গা করতে কাশ্মীরের ডাল লেকের মত মিরিকের সুমেন্দু লেকেও শুরু হয়েছে শিকারা পরিষেবা।

গত মার্চ মাসের শেষ থেকেই শুরু হয়েছে এই শিকারা পরিষেবা। কিন্তু এই পরিষেবাকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আরও কী-কী করা প্রয়োজন মিরিকের পর্যটন শিল্পে এই নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে জিটিএ-এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, মিরিকের পর্যটন ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পর্যটকের সুরক্ষার দিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। ৩০ মিনিটে শিকারায় করে ঘুরতে খরচ হবে মাত্র ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি মিরিকে কয়েকটি হোমস্টে তৈরির চিন্তাভাবনাও করেছে জিটিএ।

পাইনে ঘেরা অরণ্য। উঁচু-নিচু পাহাড়ের ঢাল আর সেই পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে যাচ্ছে চা বাগান। ভিউ পয়েন্ট থেকে যাচ্ছে তুষারাবৃত রাজকীয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। ৫,৮০০ ফুট উচ্চতায় বসে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত, দুটোই হতে আপনার জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত। কয়েক বছর আগেও দার্জিলিং যাওয়ার পথে অনেকে শুধু ঢুঁ মারতেন এই হ্রদের শহরে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। রাত কাটানোর জন্য যেমন হোটেল, হোমস্টে তৈরি হয়েছে, তেমনই সেজে উঠছে এই পাহাড়ি জনপদ।

দার্জিলিং থেকে মিরিকের দূরত্ব মাত্র ৪৯ কিলোমিটার। কার্শিয়াং বা ঘুম থেকেও এই হ্রদের শহরের দূরত্ব মোটামুটি ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে। যদিও এখন দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পংয়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ‘অফবিট’ পাহাড়ি গ্রামগুলো জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবুও মিরিকের জনপ্রিয়তা কমে যায়নি এখনও। কংক্রিটের শহর থেকে দূরে নিরিবিলিতে দু’দিন ছুটি কাটানোর জন্য বেছে নিতে পারেন মিরিককে।