Kalimpong: কাছেপিঠের মধ্যে মধুচন্দ্রিমায় ঘুরতে যেতে চান? মাত্র ৪,০০০ টাকায় সেই সুযোগ দিচ্ছে ছিবো
Low-budget Honeymoon Destination: সঙ্গীর পছন্দ জঙ্গল আর আপনার পছন্দ পাহাড়। এই দুটোকে যদি একসঙ্গে পেয়ে যান? তা হলে বেছে নিন কালিম্পংয়ের ছোট্ট গ্রাম ছিবো।
বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাওয়া যায়, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ থাকে না। সঙ্গীর পছন্দ জঙ্গল আর আপনার পছন্দ পাহাড়। এই দুটোকে যদি একসঙ্গে পেয়ে যান? তা হলে বেছে নিন কালিম্পংয়ের ছোট্ট গ্রাম ছিবো। সাধারণত বিয়ের পর্ব মিটতে মিটতে অনেকটা সময় চলে যায়। হাতে অল্প সময় থাকে। আর পকেটেও বেশ ভালই টান পড়ে। তাই জীবনের নতুন পর্বের শুরুটা যদি কাছেপিঠের মধ্যে নির্জন জায়গায় করতে চান, তাহলে ছিবো হতে পারে আপনার মধুচন্দ্রিমার ডেস্টিনেশন।
কালিপং থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিবো। ছবির মতো সাজানো গ্রাম ছিবো। কালিম্পং শহরের খুব কাছে হলেও এই গ্রাম নির্জন ও শান্ত। দূষণ নেই এখানে। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে সরিয়ে চলে আসতে পারে ছিবোয়। জীবনের নতুন পর্বের শুরুটা যদি ছিবো থেকে হয় তাহলে মন্দ হবে না।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ছিবো। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখা যাবে ঢেউ খেলানো উপত্যকা। গোটা গ্রাম জুড়ে ধান ও শাক-সবজির চাষ হয়ে আছে। যতদূর চোখ যাবে শুধুই সবুজ। আর তার সঙ্গে খোলা নীল আকাশ রয়েছে। দেখলে মনে হবে, আপনি এক পাহাড় টপকে অন্য পাহাড়ে অনায়াসে পাড়ি দিতে পারবেন। এর সঙ্গে রয়েছে সারি সারি বাক্সবাড়ি। আর বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া এক চিলতে জমি। সেখানেই চাষ হচ্ছে শাক-সবজি। বাড়ির কার্নিশে ঝুলে রয়েছে বাহারি পাতার গাছ আর ফুটে রয়েছে রঙিন ফুল।
ছিবোয় দাঁড়িয়ে দেখা যায় তিস্তা ও রঙ্গিতের মিলন। পাখির চোখে দেখার মতো অনুভূতি পাবেন ছিবো থেকে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই সবুজে ঘেরা কালিম্পং আরও মোহময়ী হয়ে ওঠে। আর যখন এই পাহাড়ের কোলে বসন্ত আসে, তখন রোম্যান্টিক অনুভূতি পেতে পারেন। বসন্তের সময় ছিবোয় অর্কিডের চাষ হয়। রঙিন ফুলে সেজে ওঠে গোটা গ্রাম। আর তার সঙ্গে মরশুমি ফলের চাষ রয়েছে। সব মিলিয়ে রঙিন ও রোম্যান্টিক অনুভূতি এনে দেয় ছিবো।
ছিবোতে একটি মনোরম ভিউ পয়েন্ট রয়েছে। নাম ঈগলস আই ভিউ পয়েন্ট, এখান থেকে তিস্তার আঁকাবাঁকা পথ চোখে পড়ে। আর তার পাশ দিয়ে চলে গিয়ে সিকিম যাওয়ার পথ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখাও পাবেন। এছাড়া ছিবো থেকে ঘুরে নিতে পারেন কালিম্পং, আলগাড়া, পেডং, সিলারি গাঁও এবং ইচ্ছে গাঁও।
কীভাবে যাবেন-
শিলিগুড়ি বা এনজেপি থেকে কালিম্পং যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারবেন ছিবো। কালিম্পং পৌঁছেও ছিবো যেতে পারেন। কালিম্পং থেকে খুব বেশি হলে ৩০ মিনিট সময় লাগবে।
কোথায় থাকবেন-
এখানে হাতে গোনা কয়েকটা হোমস্টে রয়েছে। এখানকার হিমালয়ান ঈগল হোমস্টে বেশি জনপ্রিয়। ডবল বেডরুমের ভাড়া ২,৫০০ টাকা। ফোর বেডরুম নিলে খরচ পড়বে ৩,০০০ টাকা। এছাড়া খাওয়ার খরচ জনপ্রতি ৭৫০ টাকা।