Sundarban: শীতের ছুটিতে সুন্দরবন যাওয়ার ইচ্ছে? এই পাখিরালয় গেলে দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গলেরও

Sajnekhali Wildlife Sanctuary: সজনেখালির অভয়ারণ্য সম্পর্কে আরও ভাল করে জানতে হলে, আপনাকে যেতে হবে ম্যানগ্রোভ ইন্টার প্রিটেশন সেন্টারে। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ, পশু-পাখি, নদ-নদী সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা মিলবে এখান থেকে। এখানে ছোট ছোট তথ্য চিত্রের মাধ্যমে সুন্দরবনকে উপস্থাপন করা হয়।

Sundarban: শীতের ছুটিতে সুন্দরবন যাওয়ার ইচ্ছে? এই পাখিরালয় গেলে দেখা মিলতে পারে রয়্যাল বেঙ্গলেরও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2023 | 12:18 PM

বাঙালির বেড়াতে যাওয়ার তালিকায় বরাবরই রয়েছে সুন্দরবন। বছরের বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনে পর্যটকেরা ভিড় করেন। নদীর চড়ে বসে রোদ পোহাচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার—এমন দৃশ্য দেখার জন্য শীতকালই সেরা। কিন্তু সুন্দরবন গেলেই যে বাঘের দেখা মিলবে, এমন ভাগ্য সবার থাকে না। তবে, এই শীতে সজনেখালি গেলে দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন জীবজন্তুর। বিশেষত পাখির। আর ভাগ্য সহায় হলে বাঘও দেখতে পাবেন। সুন্দরবনের সবুজে ঘেরা দ্বীপগুলোর মধ্যে অন্যতম সজনেখালি। এখানেই রয়েছে পাখিরালয় এবং সজনেখালি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য।

১৯৭৬ সালে সজনেখালিকে বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। প্রায় ৩৬৩ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই অঞ্চল। সজনেখালিতে আপনার সর্বক্ষণের সঙ্গী গোমর নদী। ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মধ্যে অজস্র পাখির দেখা মিলবে এই পাখিরালয়ে। তার সঙ্গে দেখতে পাবেন হরিণ, বুনো শূকর, বাঁদর। কখনও-সখনও রয়েল বেঙ্গলেরও দেখা মিলতে পারে এখানে। তবে, আপনি ইচ্ছেমতো এই অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। জঙ্গলের কোর এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বাফার এলাকায় যেমন খুশি ঘুরতে পারেন এবং দেখা পেতে পারেন বন্যজন্তুর। কিংবা সজনেখালির ওয়াচ টাওয়ারে বসেও জঙ্গলের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

সজনেখালির অভয়ারণ্য সম্পর্কে আরও ভাল করে জানতে হলে, আপনাকে যেতে হবে ম্যানগ্রোভ ইন্টার প্রিটেশন সেন্টারে। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ, পশু-পাখি, নদ-নদী সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা মিলবে এখান থেকে। এখানে ছোট ছোট তথ্য চিত্রের মাধ্যমে সুন্দরবনকে উপস্থাপন করা হয়। এমনকি সুন্দরবন ঘুরে দেখার জন্য বনবিভাগের অনুমতিপত্র এখান থেকেই পাওয়া যায়। তাই সজনেখালিকে সুন্দরবন ভ্রমণের প্রবেশদ্বার বললেও ভুল হবে না।

সজনেখালি অভয়ারণ্যের পাশাপাশি আপনি ঘুরে দেখতে পারেন বনবিবি ও দক্ষিণ রায়ের মন্দির। এছাড়া নদীপথে ঘুরে দেখতে পারেন সুধন্যখালি, দোবাঁকি, নেতিধোপানি ইত্যাদি। সজনেখালির পাখিরালয় হয়ে আপনি সড়কপথে যেতে পারেন গোসাবা। বিদ্যা নদীর তীরে গোসাবা সুন্দরবনের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে গিয়ে দেখতে পারেন হ্যামিলটন বাংলো, ১৯০৬ সালের তৈরি প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ ইত্যাদি।

সজনেখালিতে রাত্রিবাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতরের ট্যুরিস্ট লজ বুক করতে পারেন। সজনেখালি যাওয়ার জন্য ক্যানিং থেকে মাতলা নদী পেরিয়ে বাসন্তীর ডকঘাট পৌঁছাতে হবে। তারপর গদখালি থেকে নদী পেরিয়ে গোসাবা বাজার। আবার গোসাবা থেকে পাখিরালয় ঘুরে পৌঁছে যান সজনেখালি। শীতের ছোট্ট উইকএন্ড কাটিয়ে আসুন সজনেখালি থেকে।