Kalimpong: সুহানা সফরে সঙ্গী হোক তিস্তা! ন্যাওড়াভ্যালির কোলে ছুটি কাটান সাংসেরে

Sangser: সাংসেরের কোলে বসে মনে হতে পারে আপনি ছুঁয়ে ফেলবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। মে, জুন মাসে মেঘেদের আনাগোনা আরও বেড়ে যায় সাংসেরে।

Kalimpong: সুহানা সফরে সঙ্গী হোক তিস্তা! ন্যাওড়াভ্যালির কোলে ছুটি কাটান সাংসেরে
ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশানাল পার্কের আভ্যন্তরীণ ডেলো পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট সাংসের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2022 | 1:51 PM

North Bengal: গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে ছোট থেকে বড় সকলের। এবার শুধু গ্রীষ্মের ছুটিটা পড়ার অপেক্ষা। ব্যাগ গুছিয়ে শুধু বেড়িয়ে পড়তে হবে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে কিছুটা দিন নিরিবিলিতে এবং গরমের হাত থেকে দূরে থাকতে কোনও অফবিট গন্তব্যকে বেছে নিন। মূল্যবৃদ্ধিও যেহেতু পিছু ছাড়ছে না তাই বাজেটের মধ্যেই খুঁজতে হবে গন্তব্য। পাহাড়ের কাছাকাছি পৌঁছানোর সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল কোনও উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনে চেপে নিউ জলপাইগুড়ি (New Jalpaiguri) পৌঁছে যাওয়া। এরপর গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যান পছন্দের মত গন্তব্যে। তবে এর জন্য কোথায় যাবেন? এখন উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বেশ কিছু ছোট-ছোট পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে যেগুলোর জনপ্রিয়তা এখন বেড়েছে। এমনই একটি পাহাড়ি গ্রাম হল সাংসের।

কালিম্পং থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে অবস্থিত সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এক ছোট্ট পাহাড়ি হ্যামলেট সাংসের। উত্তরের রংপো বেশ জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। এই রংপো যাওয়ার পথে সবুজ পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে রয়েছে সাংসের। ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশানাল পার্কের আভ্যন্তরীণ ডেলো পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট সাংসের। শহরের একঘেয়ে দৈনন্দিন কর্মজীবনে যাঁরা ক্লান্ত, তাঁদের জন্য সাংসের হল ‘এসকেপ ফ্রম রিয়েলিটি’। দু’ দিনের ছুটিতে যাঁরা কাছে-পিঠে কোনও অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজ করছেন, তাঁরা ঘুরে আসুন সাংসের থেকে।

নীচে অবিরাম বয়ে চলেছে সুন্দরী তিস্তা। আর অন্যদিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা। সাংসেরের কোলে বসে মনে হতে পারে আপনি ছুঁয়ে ফেলবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। মে, জুন মাসে মেঘেদের আনাগোনা আরও বেড়ে যায় সাংসেরে। হয়তো এর টানেই পর্যটকেরা ছুটে আসে বার বার।

যদি কেউ আশেপাশের অঞ্চল ঘুরতে চান সে সুযোগও রয়েছে সাংসের থেকে। সাংসেরের খুব কাছেই রয়েছে কালিম্পং শহর।মাত্র ১৪ কিমি গেলেই পেয়ে যাবেন কালিম্পং শহর। এছাড়াও দূরপীন, ডেলো, রামিতে ভিউ পয়েন্ট, হনুমান টকের মত জায়গাগুলি সাংসেরের কাছেই অবস্থিত। হাতে একদিনের সময় নিয়েই অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়াও লাভা-লোলেগাও, রিশপ, কোলাখাম, ইচ্ছেগাঁও, সিলেরিগাও-এর জন্য জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্রগুলো সাংসের থেকে ঘুরে আসা যায়। কিংবা এই সব জনপ্রিয় ডেস্টিনেশনে রাত কাটিয়ে একদিনের সফরেও আপনি সাংসের ঘুরে আসতে পারেন।

যেহেতু ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশানাল পার্কের মধ্যে অবস্থিত সাংসের, তাই হিমালয়ের বহু নাম না জানা পাখিদের দেখা মেলে এখানে।পাহাড়ি পথে হাঁটলেই হিমালয়ের কোলে লুকানো এই আস্তানাকে আরও ভাল করে উপভোগ করতে পারবেন। যাঁরা পাখি ভালবাসেন, ক্যামেরা নিয়ে মুখিয়ে থাকেন ছবি তোলার জন্য, তাঁদের কাছে এই সাংসের একটি স্বর্গোদ্যান।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন-

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে যে কোনও গাড়ি ভাড়া করে চলে যান সোজা সাংসের। খরচ হবে ৫০০০-৭০০০/- টাকা। এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। এখানে থাকা খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি ১৫০০/- টাকা খরচ হবে।

আরও পড়ুন: হিমালয়ের কোলে ট্রেকিংয়ের পরিকল্পনা করছেন? প্রথমবারেই সাক্ষী হন রোমাঞ্চের