এমন কোনও শহরের কথা কখনও শুনেছেন যাকে দেখতেই মানুষের মতো (Man Like Town)? পাখির চোখ (Bird’s Eye View) দিয়ে দেখলে মনে হবে ঠিক যেন একটি মানুষ চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। এ যেন প্রকৃতির এক রহস্য। বলছি পাহাড়ে ঘেরা একটি ছোট শহরের (Small Town) কথা। ইতালির সিসিলির সেঞ্চুরিপ শহরটি এটিনা মাউন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত। অত্যাশ্চর্য দৃশ্যের জন্য এটি ‘সিসিলির বারান্দা’ নামে পরিচিত।
সম্প্রতি পিও আন্দ্রেয়া পেরি নামের একজন ৩২ বছর বয়সী এক স্থানীয় ফটোগ্রাফার ড্রোন ব্যবহার করে আকাশ থেকে সেঞ্চুরিপ শহরের আকৃতি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। সেই ছবি দেখেই গোটা পৃথিবী তাজ্জব বনে গেছে। যদিও গুগল আর্থে প্রথমে নিজের শহরের এই অবাক করা আকৃতি দেখেন পিও। তবে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে তা দেখার জন্য ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলার চেষ্টা চালান।
সেটি আকাশে উড়তেই মনিটরে পিও যে দৃশ্য দেখলেন, তা ছিলো সত্যিই অবাক করা। তিনি কয়েকটি ছবি তোলেন। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়তেই মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ইতালীয় এই ফটোগ্রাফার গণমাধ্যমে বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এই শহরের উদ্ভট আকৃতি দেখে হতবাক হয়েছে। অনেকে এটি সত্য বলে বিশ্বাস করেননি। তারা ভেবেছিল আমি ফটোশপের সাহায্যে এটি করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘তবে অনেকেই যখন গুগল আর্থে এই স্থানটি অনুসন্ধান করে, তখন তারা সত্যটি উপলব্ধি করতে পারে। পরে অনেকেই আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।’ সেঞ্চুরিপ শহরের এই ছবি পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে সবার মনোযোগ কাড়ে। ওই শহরের মেয়র তরুণ এই শিল্পীর ছবিগুলো দেখাতে প্রদর্শনীর আয়োজন করেন ও পিওকে পুরষ্কারও দেন।
পিও বলে, ‘এই ছবিটি ক্যাপচার করা বেশ কঠিন ছিল। ড্রোনের উচ্চতা সীমার কারণে আমাকে একাধিক শট ব্যবহার করতে হয়েছিল। এজন্য আমি পোস্ট-প্রোডাকশনে প্রায় ১৮টি শট ম্যানুয়ালি ওভারলেড করেছি। এই ছবি সম্পাদনা করতে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।’ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই শহরের উচ্চতা প্রায় ২ হাজার ৪০০ ফুট। সেঞ্চুরিপ এনা প্রদেশের গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি প্রায় ৪০ মাইল দূরে বিখ্যাত মাউন্ট এটনার আশ্চর্যজনক দৃশ্য দেখা যায়। এ কারণে অনেক পর্যটকরাই ভিড় জমান এই শহরে।
তথ্যসূত্র: ডেইলিমেল
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
এমন কোনও শহরের কথা কখনও শুনেছেন যাকে দেখতেই মানুষের মতো (Man Like Town)? পাখির চোখ (Bird’s Eye View) দিয়ে দেখলে মনে হবে ঠিক যেন একটি মানুষ চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। এ যেন প্রকৃতির এক রহস্য। বলছি পাহাড়ে ঘেরা একটি ছোট শহরের (Small Town) কথা। ইতালির সিসিলির সেঞ্চুরিপ শহরটি এটিনা মাউন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত। অত্যাশ্চর্য দৃশ্যের জন্য এটি ‘সিসিলির বারান্দা’ নামে পরিচিত।
সম্প্রতি পিও আন্দ্রেয়া পেরি নামের একজন ৩২ বছর বয়সী এক স্থানীয় ফটোগ্রাফার ড্রোন ব্যবহার করে আকাশ থেকে সেঞ্চুরিপ শহরের আকৃতি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। সেই ছবি দেখেই গোটা পৃথিবী তাজ্জব বনে গেছে। যদিও গুগল আর্থে প্রথমে নিজের শহরের এই অবাক করা আকৃতি দেখেন পিও। তবে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে তা দেখার জন্য ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলার চেষ্টা চালান।
সেটি আকাশে উড়তেই মনিটরে পিও যে দৃশ্য দেখলেন, তা ছিলো সত্যিই অবাক করা। তিনি কয়েকটি ছবি তোলেন। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়তেই মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ইতালীয় এই ফটোগ্রাফার গণমাধ্যমে বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এই শহরের উদ্ভট আকৃতি দেখে হতবাক হয়েছে। অনেকে এটি সত্য বলে বিশ্বাস করেননি। তারা ভেবেছিল আমি ফটোশপের সাহায্যে এটি করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘তবে অনেকেই যখন গুগল আর্থে এই স্থানটি অনুসন্ধান করে, তখন তারা সত্যটি উপলব্ধি করতে পারে। পরে অনেকেই আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।’ সেঞ্চুরিপ শহরের এই ছবি পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে সবার মনোযোগ কাড়ে। ওই শহরের মেয়র তরুণ এই শিল্পীর ছবিগুলো দেখাতে প্রদর্শনীর আয়োজন করেন ও পিওকে পুরষ্কারও দেন।
পিও বলে, ‘এই ছবিটি ক্যাপচার করা বেশ কঠিন ছিল। ড্রোনের উচ্চতা সীমার কারণে আমাকে একাধিক শট ব্যবহার করতে হয়েছিল। এজন্য আমি পোস্ট-প্রোডাকশনে প্রায় ১৮টি শট ম্যানুয়ালি ওভারলেড করেছি। এই ছবি সম্পাদনা করতে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে।’ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই শহরের উচ্চতা প্রায় ২ হাজার ৪০০ ফুট। সেঞ্চুরিপ এনা প্রদেশের গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি প্রায় ৪০ মাইল দূরে বিখ্যাত মাউন্ট এটনার আশ্চর্যজনক দৃশ্য দেখা যায়। এ কারণে অনেক পর্যটকরাই ভিড় জমান এই শহরে।
তথ্যসূত্র: ডেইলিমেল