AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nanda Devi National Park: বসন্তে কেমন দেখায় ফুলের উপত্যকাকে? জোশীমঠ থেকে ট্রেক করে আসুন নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্কে

আপনি যদি দয়রা বুগিয়াল, চেনাব লেক, তপোবন, বদ্রিনাথ ও হেমকুন্ডের মত রুটে ট্রেক করতে ইচ্ছুক হোন, তাহলেও একরাত কাটিয়ে যেতে হয় জোশীমঠে। নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্ক ট্রেকিং রুটের প্রথম বেসক্যাম্প জোশীমঠ।

Nanda Devi National Park: বসন্তে কেমন দেখায় ফুলের উপত্যকাকে? জোশীমঠ থেকে ট্রেক করে আসুন নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্কে
নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্ক
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2022 | 8:50 AM
Share

উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) গাড়োয়ালের কোলে যদি কোনও রুটে ট্রেক (Trek) করবেন ভাবেন, তাহলে আপনাকে যাত্রা শুরু করতে হবে জোশীমঠ (Joshimath) থেকে। বিশেষত, আপনি যদি দয়রা বুগিয়াল, চেনাব লেক, তপোবন, বিষ্ণুপ্রয়াগের, বদ্রিনাথ ও হেমকুন্ডের মত রুটে ট্রেকিং করতে ইচ্ছুক হোন তাহলেও একরাত কাটিয়ে যেতে হয় জোশীমঠে। উত্তরাখণ্ডের ২,৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত জনপ্রিয় হিল স্টেশন জোশীমঠ।

ধউলিগঙ্গা ও অলকানন্দার সঙ্গম স্থলে অবস্থিত জোশীমঠ। আগে জয়ত্রীমঠ নামে পরিচিত ছিল জোশীমঠ। ৮-এর দশকে আদি গুরু শ্রী শংকরাচার্য‌ এই অঞ্চলে চারটি মঠ খুঁজে পেয়েছিলেন। সেই থেকে এই জায়গার নাম হয় জয়ত্রীমঠ। আর আজ উত্তরাখণ্ডের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র এই জোশীমঠ। বদ্রিনাথের মত তীর্থস্থান জোশীমঠ থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। শীতে যখন বদ্রিনাথে মন্দিরের দ্বার বন্ধ হয়ে যায়, তখন বদ্রীবিশাল পূজিত হন জোশীমঠের বাসুদেব মন্দিরে।

জোশীমঠ থেকে আপনি ট্রেক করতে পারবেন নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্ক, যা ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার’ নামেও পরিচিত। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার দক্ষিণে অবস্থিত নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্ক। এই ফুলের উপত্যকার বেস ক্যাম্প হল নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্ক জোশীমঠ। নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্ক ট্রেক করতে গেলে তিনটি বেসক্যাম্প অতিক্রম করতে হয়।

আপনি যদি জোশীমঠ থেকে যাত্রা শুরু করেন তাহলে এই ট্রেক শেষ করতে সময় লাগে ৪ দিন। নন্দাদেবী ন্যাশানাল পার্ক ট্রেকিং রুটের প্রথম বেসক্যাম্প জোশীমঠ। সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্বিতীয় বেসক্যাম্প গোবিন্দঘাট। গোবিন্দঘাট যাওয়ার জন্য জোশীমঠে ট্যাক্সি পাওয়া যাবে। তবে গোবিন্দঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার ট্রেক করে আপনাকে পৌছাতে হবে ফাইনাল বেসক্যাম্প ঘাঙ্গারিয়া।

অন্যদিকে এই ঘাঙ্গারিয়া হল হেমকুন্ড সাহিবের প্রথম বেসক্যাম্প। কেউ যদি শুধু হেমকুন্ড সাহিবে ট্রেক করতে চায় তাহলে এখান থেকে যাত্রা শুরু করতে হয়। অন্যদিকে ঘঙ্গারিয়ায় একটা রাত কাটানোর পর আবার যাত্রা শুরু। এর পরবর্তী ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার আপনি সাক্ষী থাকবেন হিমালয়ের নৈসর্গিক দৃশ্যের।

যদি বসন্তে এই ট্রেক করেন তাহলে ফুলের উপত্যকায় পৌঁছানোর আগে থেকেই দেখতে পাবেন কচি সবুজ ঘাসের সমাহার। এখানে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে বরফ গলতে শুরু করে। আর তার মাঝ থেকে মাথা চারা দিয়ে ওঠে নতুন সবুজ ঘাস। দেখে মনে হবে কেউ যেন সবুজ কার্পেট বিছিয়ে দিয়ে গেছে হিমালয়ের কোলে। এরই মাঝেই ধরা দেবে নাম না জানা বহু রঙ-বেরঙের ফুল। আর দূরে দেখা যাবে গ্লেসিয়ার। এই ফুলের উপত্যকায় নিরাশ হবেন না পশুপ্রেমীরা। এই উপত্যকা পক্ষীপ্রেমীদের জন্যও স্বর্গোদ্যান।

ফুলের উপত্যকায় রাত কাটাতে গেলে তাঁবুই ভরসা নাহলে সেইদিনই ফিরে আসতে হবে ঘাঙ্গারিয়ায়। তারপর পরের দিন নেমে আসতে হবে জোশীমঠে। বসন্তে যদি ট্রেকের পরিকল্পনা করেন তাহলে মিস করবেন না এই ফুলের উপত্যকার সৌন্দর্য।

আরও পড়ুন: প্রথমে ট্রেকিং তারপর স্কিইং! উত্তরাখণ্ডের কোন জায়গায় পাবেন এমন সুযোগ?