Bihar Day 2022: বিহারের নাম শুনলেই চমকাবেন না, সুযোগ পেলে ঘুরে আসুন এই ৫ সেরা জায়গায়
Incredible India: বোধগয়া, নালন্দা, বৈশালী, রাজগীর, পবনপুরী ও কেসারিয়ার মত অন্যান্য স্থানগুলি বিহার ভ্রমণের শীর্ষ তালিকায় গন্তব্যগুলি থাকে। এই জায়গাগুলি শুধু দেশের নয়, বিদেশি পর্যটকদেরও অন্যতম আকর্ষণের জায়গা।
সংস্কৃতি অনুযায়ী বিহার অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি বৈচিত্রময়, ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ। রয়েছে বহু ধর্মের নিদর্শন, বনভূমি। এখনও পর্যন্ত বিহার হল একটি অফ-বিট রাজ্য, যেটি বহু বছর ধরে ভারতের একটি আন্ডাররেটেড পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত হয়ে গিয়েছে।
সংস্কৃত শব্দ বিহার থেকে এই রাজ্যের নাম এসেছে। ভারতের ইতিহাসে বিহার একটি ধর্মীয় মিলনক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। বিহারের রাজধানী পাটনা বেশ বিখ্যাত। এছাড়া বোধগয়া, নালন্দা, বৈশালী, রাজগীর, পবনপুরী ও কেসারিয়ার মত অন্যান্য স্থানগুলি বিহার ভ্রমণের শীর্ষ তালিকায় গন্তব্যগুলি থাকে। এই জায়গাগুলি শুধু দেশের নয়, বিদেশি পর্যটকদেরও অন্যতম আকর্ষণের জায়গা।
বোধগয়া
বিহারে যাওয়ার সুযোগ হলে এই জায়গা কখনও মিস করবেন না। গৌতম বুদ্ধ এখানেই জ্ঞানার্জনের যাত্রা শুরু করেছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ তীর্থস্থানগুলির মধ্যে অন্যতম, কারণ এই বোধগয়ায় একটি বোধি গাছের নীচে ধ্যান করার সময় বুদ্ধ প্রথম মহাবোধি লাভ করেন। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত মহাবোধি মন্দিরটিতে প্রবেশ করলে শান্তি ও শান্ত মনের অধিকারী হয়ে ওঠা কোনও অস্বাভাবিক কিছু নয়। বোধগয়াতে রয়েছে ববু বৌদ্ধ মঠ ও মন্দির।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ
পাটনা থেকে ৯০ কিমি দূরে অবস্থিত পঞ্চম শতাব্দীর নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তৃত ধ্বংসাবশেষ এখনও বর্তমান। বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এটি একটি। ইতিহাস অনুযায়ী, নালন্দায় আনুমানিক ১০ হাজার ভিক্ষু ও ছাত্রদের সঙ্গে বৌদ্ধ শিক্ষার একটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র ছিল। দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত টিকে থাকলেও পরবর্তীকালে মুসলিম আক্রমণকারীদের লুঠপাট ও হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টি ভেঙে পড়ে। গ্রন্থাগারে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। রিপোর্ট বলছে, সেই সময় নয় মিলিয়নের বেশি পাণ্ডুলিপি ধবংস হয়ে গিয়েছিল।
বিশ্বশান্তি স্তূপ, রাজগীর
রাজগীরে অবস্থিত বিশ্ব শান্তি স্তূপকে বিশ্ব শান্তি প্যাগোডাও বলা হয়। ভারতে নির্মিত ৭টি শান্তি প্যাগোডাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। জাপানি শৈলীর স্থাপত্যের একটি অনন্য নিদর্শন এটি। ১৯৬৯ সালে প্যাগোডাটি নির্মিত হয়েছিল। এখানে বুদ্ধের চারটি মূর্তি রয়েছে, যা বুদ্ধের জীবনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জন্ম, জ্ঞানার্জন, শিক্ষা ও মৃত্যু।
বিক্রমশীলা
নালন্দা-সহ পাল সাম্রাজ্যের সময় বিক্রমশীলা ছিল ভারতের শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি কেন্দ্রের একটি। ১১৯৩ সালের গোড়ায় মহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বাহিনী এসে ধ্বমস করে বলে জানা যায়। পরবর্তীকাল হামলার কারণে ধ্বংসাবশেষগুলি বর্তমানে মূল্যবান হয়ে উঠেছে।
সোনপুর মেলা
বিহারের এই সোনপুর মেলা বেশ বিখ্যাত। কারণ গ্রামীন মেলা হলেও এতে জড়িয়ে রয়েছে আধ্য়াত্মিকতা। এই মেলায় এখনও পর্যন্ত পশুব্যবসা, ও বিনোদন সবই চলে। স্ট্রিট ম্যাজিসিয়ান, ধর্মীয় গুরু, তান্ত্রিক, তীর্থযাত্রী,খাবারের স্টল, হস্তশিল্প, রাইডস, সার্কাস, মার্শাল আর্টিস্ট সকলেই কার্নিভালের মত অংশগ্রহণ করেন। সাধারণত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এই মেলা বসে।
আরও পড়ুন: Shekhawati Festival 2022: মরুরাজ্যে ভ্রমণের প্ল্যান করছেন? মিস করবেন না এই নজরকাড়া উত্সবটি