Weekend Gateway Near Kolkata: শাল-সেগুন-মহুয়ায় ঘেরা, এক অন্য জয়পুর! জানতেন এর সন্ধান?
Weekend Gateway Near Kolkata: যদি বলি কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে মাত্র চার ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাবেন জয়পুর। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? ভাবছেন কোনও মজা করছি? না, না একেবারেই নয়। বরং ষোলো আনা সত্যি! কলকাতা থেকে গাড়িতে মাত্র চার ঘণ্টাতেই ঘুরে আসতে পারবেন জয়পুর থেকে।

যদি বলি কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে মাত্র চার ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাবেন জয়পুর। কি, বিশ্বাস হচ্ছে না? ভাবছেন কোনও মজা করছি? না, না একেবারেই নয়। বরং ষোলো আনা সত্যি! কলকাতা থেকে গাড়িতে মাত্র চার ঘণ্টাতেই ঘুরে আসতে পারবেন জয়পুর থেকে। অবশ্য এই জয়পুরে কোনও মরুভূমি বা কেল্লা নেই। আছে সবুজে ভরা গাছগাছালি। এই জয়পুর সুদূর রাজস্থানেও নয়। আছে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই বাঁকুড়াতে।
এই হাঁসফাঁস করা গরমের কলকাতার কংক্রিটের জঙ্গলে কষ্টতা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। এমনিতেই এখন গরমের ছুটি চলছে বাচ্চাদের স্কুলে। তাই এখন কোথাও ঘুরতে গেলে স্কুল কামাই হওয়ার সমস্যা নেই। তাহলে দুদিনের জন্য গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন নাকি।
বাঁকুড়া বললেই কিন্তু কেবল মুকুটমণিপুর বা বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার মন্দির নয়। বরং এখানেই আসে সবুজের ঘেরা দুর্দান্ত একটি জঙ্গল। যা অবস্থিত বাঁকুড়ার জয়পুরে।
পথের দুধারে শাল-সেগুন-মহুয়ার বন। শান্ত এবং শীতল, মনোরম পরিবেশ। এ যেন ভারত-পাক যুদ্ধেত আবহে এক অন্য পৃথিবী। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে গাছ গাছালির মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে লাল মাটির রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে বিকেলের দিকে বা ভোরে হাঁটলে কত রকম দৃশ্য যে চোখে পড়ে।
তবে একটি বিষয়ে সাবধান, এখানে কিন্তু মাঝে মাঝেই হানা দেয় বুনো হাতির পাল। তাই রাতে বেড়োলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে নেবেন আগে। যদি ছবি তোলার শখ থাকে আর পাখি ভালবাসেন তাহলে এই জঙ্গল আপনার জন্য সেরা ঠিকানা। পক্ষী বিশারদদের জন্য তো স্বর্গরাজ্য এই জয়পুর জঙ্গল। এখানে জঙ্গলের মধ্যে আছে বাসুদেবপুর চাতাল। যা একটি পরিত্যক্ত এয়ারফিল্ড। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হত এই এয়ারফিল্ড। সব মিলিয়ে দু’দিন যে কখন হুট করে কেটে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না।
কী ভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে স্থলপথে জয়পুর জঙ্গলের দূরত্ব ১২৮ কিলোমিটার। ডানকুনি, আরামবাগ হয়ে গেলে সাড়ে তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে পৌছে যাবেন। ট্রেনে গেলে বিষ্ণুপুর নেমে লোকালে গাড়ি করে ২০ কিলোমিটার জঙ্গল।
চাইলে বিষ্ণুপুরে থাকতে পারেন। আবার জঙ্গলের মুখে বেশ কিছু রিসর্ট রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্য বাঁকুড়ার স্বাদ নিতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন জয়পুরের জঙ্গলে।





