Women And Physical Intimacy: এক পুরুষে সন্তুষ্ট নয়, দেশের অধিকাংশ মেয়েই একাধিক যৌনসঙ্গী চাইছেন! দাবি নয়া সমীক্ষায়
Physical Need: একজন মহিলা একাধিক পুরুষে আসক্ত। প্রায় ১১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে
ধরা যাক কোনও একটি মেয়ের সম্প্রতি ব্রেকআপ হয়েছে। কেউ ব্রেকআপের কারণ জানতে চাইলেন কেউ চাইলেন না। কেউ আবার এর ফাঁকে মনগড়া গল্প বানিয়ে নিলেন। খুব কম মানুষই ভাবেন প্রত্যেক মানুষের জন্যই একটা SPACE-এর প্রয়োজন আছে। একদল মেকি সহমর্মিতা দেখান, অন্যজন মেয়েটির চরিত্র নিয়ে কাটাছেঁড়া করেন। মেয়েটির স্বভাব-দোষ রয়েছে, মেয়েটির অভ্যাস খারাপ নানা প্রশ্ন তোলেন। যদিও আসল কারণ বা খুঁটিয়ে কোনও কিছু জানবার মত মানসিকতা কারোর থাকে না। এদিকে সমালোচনা করার সময় সকলের হাতে রয়েছে। সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যা শুনে প্রাথমিক ভাবে নিন্দুকদের চোখ কপালে উঠবে। আংশিক ভাবে তাঁরা নিজেদেরই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করবেন।
২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষায় ( NFHS) উঠে এসেছে চমকপ্রদ একটি তথ্য। আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের যৌনসঙ্গীর সংখ্যা বেশি। সোজা বাংসায়, একজন মহিলা একাধিক পুরুষে আসক্ত। প্রায় ১১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজস্থান, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, জম্মুও কাশ্মীর, লাদাখ, মধ্যপ্রদেশ, আসাম, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, পন্ডিচেরী , তামিলনাড়ু। রাজস্থান এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে। গড়ে তিন জন মহিলার মধ্যে এক জনের যৌনসঙ্গী রয়েছে। যেখানে ৮ জন পুরুষের মধ্যে মোটে ১ জনের অধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে। আরও আশ্চর্যজনক তথ্য হল, শহুরে মহিলাদের থেকেও গ্রামের মহিলাদের মধ্যে এই সংখ্যাটা আরও কয়েক গুণ বেশি। এই তালিকায় যেমন বিবাহিত মহিলারা রয়েছেন তেমনই আছেন ডিভোর্সী, বিধবারা। আছেন তালাকপ্রাপ্ত মহিলারাও। এঁদের মধ্যে যাঁরা বিবাহিত তাঁরা গত ২ বছরে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছেন।
ভাবছেন, সব দোষ তো পোড়ামুখীদেরই। তাই ফের তারা প্রেমে পড়েছে। শিরোনাম পড়ে যাই মনে হোক না কেন, বিষয়টি কিন্তু মোটেও ততখানি উপহাসের নয়। বরং অনেক বেশি চিন্তার। NFHS তথ্য অনুসারে, মহিলাদের মধ্যে ০.৫% বৃহত্তর অংশের পুরুষদের সঙ্গে (৩.৬ %) যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছেন। এই অধিকাংশ মহিলাই বিবাহিত। সব পুরুষের সঙ্গেই যে একাধিকবার মিলিত হয়েছেন তাও নয়। বড়জোড় ২ থেকে তিনবার। তারপরই সঙ্গী পরিবর্তন করেছেন। সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল সঙ্গমের সময় কত শতাংশ মানুষ সুরক্ষা কবচ মেনে চলেন তার উপর। ঝুঁকিপূর্ণ যৌনমিলনের ফলে বাড়ছে বিভিন্ন যৌন রোগ। যার নেপথ্যে রয়েছে সেক্সের সময় কন্ডোম ব্যবহার না করা। যে কারণে বাড়ছে HIV-তে আক্রান্তের সংখ্যাও।
বিয়ের আগে যৌন মিলনে ছেলেরা যতটা আগ্রহী থাকে মেয়েরা ততটা থাকে না। যদিও বিয়ের আগে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১২ শতাংশ পুরুষ সেক্স করেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ০.৫ শতাংশ। ছেলেদের বক্তব্য, মহিলাদের কামোত্তেজনা বাড়ে বিয়ের পর। ৮৭% মহিলা এবং ৮৩% পুরুষ এখনও মনে করেন স্বামীর কাছে বিবাহিত মেয়েদের স্থান যত না স্ত্রী হিসেবে, তার চেয়ে অনেক বেশি ‘গুরুত্ব’ যৌনসঙ্গী হিসেবে। বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের বক্তব্যও একই রকম। মাত্র ৫০ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, স্ত্রী চাইলে সঙ্গমে লিপ্ত না-ও হতে পারেন। কারণ সেই অধিকার তাঁর রয়েছে। দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের কাছে চিত্রটা অন্যরকম হলেও অধিকাংশ পুরুষ এখনও সেই তিমিরেই। সাতদিনের মধ্যে পাঁচদিনই তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে সেক্স করেন। চিত্রটা বদল হয় তখনই যখন তাঁরা কাজের প্রয়োজনে বাইরে যান। তখনই মহিলারা তাঁদের চাহিদামতো যৌনসঙ্গী খুঁজে নেন। ইদানিং কালে সেই প্রবণতা মারাত্মক। এর নেপথ্য কারণ কি মেয়েদের যৌনতা নিয়ে ছুঁতমার্গ? মেয়েরা কিন্তু এখন পয়সা দিয়েও নিজের যৌনসঙ্গী কেনেন। এই তথ্যও উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা থেকে।