দ্রুত অবসরের পরিকল্পনা? এই ৬টি পন্থা মেনে চললেই ব্যাঙ্কে জমবে মোটা টাকা

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত দুই ধরনের আয় হয়। প্রথম, সরাসরি আয়, যেখানে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে হয়। দ্বিতীয়, সঠিক খাতে বিনিয়োগ।

দ্রুত অবসরের পরিকল্পনা? এই ৬টি পন্থা মেনে চললেই ব্যাঙ্কে জমবে মোটা টাকা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Apr 09, 2021 | 9:55 PM

নয়া দিল্লি: ২০-তে চাকরি, ৬০ বছরে অবসর-এই গতানুগতিক ধারায় চলতে নারাজ ইয়ংস্টাররা। তারা চায়, কম পরিশ্রমেই অধিক আয় ও ভবিষ্যতে বিলাসবহুল কিংবা আরামের জীবন। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ৪০ বছর বয়সেও অবসর গ্রহণ সম্ভব এবং তাতে ভবিষ্যতে অর্থকষ্টেও ভুগতে হবে না।

অর্থনৈতিক ও চাকুরি বিশেষজ্ঞদের মতে, কেরিয়ারের শুরুতেই যদি সঠিক পরিকল্পনা করা যায়, তবে বিপুল পরিমাণ সঞ্চয়ের জন্য ২০-২৫ বছরের বেশি কাজ করতে হবে না। এর সবথেকে সহজ পথ হল সঠিক কেরিয়ার বেছে নেওয়া ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সঞ্চয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত দুই ধরনের আয় হয়। প্রথম, সরাসরি আয়, যেখানে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে হয়। দ্বিতীয়, সঠিক খাতে বিনিয়োগ।

দ্রুত অবসরের জন্য অর্থ সঞ্চয়ের সহজ পন্থাগুলি হল-

১. অতিরিক্ত সঞ্চয়: আপনি যত বেশি সঞ্চয় করবেন, আপনার ভবিষ্যত তত বেশি সুরক্ষিত হবে। যদি চাকরির শুরুতেই আপনি বেতনের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সঞ্চয় করেন, তবে ভবিষ্যত নিয়ে খুব বেশি চিন্তাভাবনা করতে হবে না।

২. ব্যয়ের ধারণা: পছন্দের বদলে প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিলেই সঞ্চয় সম্ভব। কোনও জিনিস কেনার আগে কমপক্ষে সাতদিন চিন্তাভাবনা করা উচিত যে সেই জিনিসটি সত্যিই কি প্রয়োজনীয়? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উত্তরটা না হওয়ায় অনেকটাই অর্থ সঞ্চয় সম্ভব। সুতরাং, কেনার আগে অবশ্যই দুবার ভাবনাচিন্তা করুন।

৩. অতিরিক্ত আয়: চাকরি শেষে হাতে অনেকটা সময় থাকলে বিকল্প কোনও কাজের মাধ্যমেও অতিরিক্ত আয় সম্ভব। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ, জীবনবিমাতেও ভবিষ্যতে লাভের মুখ দেখা যায়।

৪. অবসরের পরিকল্পনা: কেরিয়ারের শুরুতেই যদি আপনি কত বছরে অবসর গ্রহণ করতে চান এবং সেই সময় কত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স দেখতে চান, তার একটি হিসাব কষে ফেলেন, তবে ভবিষ্যত পরিকল্পনায় তা সাহায্য করবে।

৫. ধারদেনা থেকে দূরে থাকা: আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশি-এই ধারণাকে সম্পূর্ণ রূপে পরিত্যাগ করুন। শখ মেটাতে যত ধারদেনা বাড়বে, ভবিষ্যতে ততই চাপ বাড়বে আপনার উপর।

৬. জরুরি তহবিল: বিপদ যে কারোর জীবনে আসতে পারে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্তে পুরো হাত খালি করার বদলে আপনি যদি আগে থেকেই একটি তহবিল বা ফান্ড তৈরি করেন, তবে ভবিষ্য়তে তা অবশ্যই সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: দুর্মূল্যের বাজারেও বিনিয়োগ করে ফেরত পাবেন দ্বিগুণ অর্থ, মেনে চলুন এই নিয়ম